নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ও তাঁর ‘অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী’র বিরুদ্ধে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গুম-হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বরাবর অভিযোগ সংবলিত একটি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণ করাতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি, যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের সহায়ক।’
অভিযোগে বলা হয়, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে যাচ্ছেন। তার বিপরীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে উক্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান সংসদ সদস্য ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ বা কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তাঁর গঠিত নিজস্ব সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁর উচ্ছৃঙ্খল কর্মীবাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন সব জায়গায় ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি সেগুলো লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে, যার তথ্যনির্ভর প্রমাণ রয়েছে, যা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘উপরন্তু এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিঁড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অতএব, এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানি রোধে উল্লিখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বচন কমিশনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খ ম আওরঙ্গজেব বুলেট, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ, বি এম চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমেদ, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদেের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী এবং বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ও তাঁর ‘অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী’র বিরুদ্ধে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গুম-হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বরাবর অভিযোগ সংবলিত একটি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণ করাতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি, যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের সহায়ক।’
অভিযোগে বলা হয়, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে যাচ্ছেন। তার বিপরীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে উক্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান সংসদ সদস্য ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ বা কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তাঁর গঠিত নিজস্ব সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁর উচ্ছৃঙ্খল কর্মীবাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন সব জায়গায় ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি সেগুলো লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে, যার তথ্যনির্ভর প্রমাণ রয়েছে, যা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘উপরন্তু এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিঁড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অতএব, এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানি রোধে উল্লিখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বচন কমিশনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খ ম আওরঙ্গজেব বুলেট, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ, বি এম চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমেদ, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদেের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী এবং বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৭ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৩২ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৪০ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৪২ মিনিট আগে