চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের হুমকি-ধমকি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চকরিয়ার একটি হোটেলে তাঁরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা। যে কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এবং তাঁর পক্ষের লোকজন নির্বাচন কমিশনে এসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন। এই অভিযোগের প্রতিবাদে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়ার আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি; যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যের সহায়ক।’
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাঁর পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তাঁর গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া তাঁর কর্মী বাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগাতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে; যা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং লাগাতে বাধা প্রদানের মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায়।
এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানি রোধে উল্লিখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানাই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, বিএমচরের এস এম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালীর নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালীর নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের আওরঙ্গজেব বুলেট, কাকারার শাহাব উদ্দিন, বমু বিলছড়ি মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়ার মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের হুমকি-ধমকি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া ও পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চকরিয়ার একটি হোটেলে তাঁরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা। যে কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এবং তাঁর পক্ষের লোকজন নির্বাচন কমিশনে এসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন। এই অভিযোগের প্রতিবাদে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়ার আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি; যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যের সহায়ক।’
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাঁর পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তাঁর গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া তাঁর কর্মী বাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগাতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে; যা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং লাগাতে বাধা প্রদানের মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায়।
এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানি রোধে উল্লিখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানাই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, বিএমচরের এস এম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালীর নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালীর নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের আওরঙ্গজেব বুলেট, কাকারার শাহাব উদ্দিন, বমু বিলছড়ি মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়ার মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
নুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
১৮ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
৩ ঘণ্টা আগে