কাপ্তাই মৎস্য আহরণ কেন্দ্রে ১৪ দিনে রাজস্ব আদায় ৭৩ লাখ টাকা

প্রতিনিধি, কাপ্তাই (রাঙামাটি) 
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৪
Thumbnail image

রাঙামাটির কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের জেটিঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বেড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। প্রতিদিন এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাপ্তাই লেকের মাছ নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে সরকার প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে বলে জানালেন কেন্দ্রটির মার্কেটিং সহকারী আব্দুস সালাম সরকার। 

গত মঙ্গলবার এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কাপ্তাই উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত অবধি সরব থাকে এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। লংগদু উপজেলার মাইনি মুখ ও কাট্রলি বিল, বরকলের সুভলং, বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেলেরা মাছ ধরে ইঞ্জিনচালিত বোটে করে এই জেটিঘাটে নিয়ে আসেন। এখান থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৎস্য ব্যাপারীরা মাছ নিয়ে যাচ্ছেন। 

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন, জসিম সওদাগর ও নুরুল হক সওদাগর জানান, সাধারণত আইড়, কাঁচকি, চাপিলা, পাবদা ও বাচা মাছ এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেরা নিয়ে আসেন। 

এই কেন্দ্রে গত ১৬ বছর ধরে ব্যবসা করছেন শরীয়তপুরের কালাম সওদাগর। তিনি জানান, প্রতিদিন তিনি এই কেন্দ্র থেকে মাছ কিনে বরফ দিয়ে ট্রাকে করে উত্তরবঙ্গে পাঠান। 

কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ আলম জানান, কাপ্তাই লেকে চার মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। গত ১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেরা ৪০০ মেট্রিক টন মাছ বিক্রি করেছেন। এর ফলে সরকার এই কেন্দ্র থেকে ৭৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। 

মো. মাসুদ আরও জানান, এই মৌসুমে কাপ্তাই লেকে ছোট জাতের মাছের পাশাপাশি জেলেদের জালে বড় মাছও ধরা পড়ছে। ফলে এ বছর রাজস্ব আদায় গত বছর থেকে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত