ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৭ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ ২৫১ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে ছাগলনাইয়া থানায় মামলাটি করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভুট্টো। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের উত্তর লাঙ্গলমোড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার ও আবদুল আলিম, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এম মোস্তফা ও ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।

সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভুট্টো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারে যাচ্ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, গুলি করে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

এ সময় ২৫-৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে গুরুতর আহত হন। হামলার ঘটনায় প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর চালায়, চাঁদাবাজি করে।

সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার বলেন, এত দিন বিগত সরকারের ভয়ে মামলা করা সম্ভব হয়নি। এখন দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।