চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মচারী নিয়োগে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেজিস্ট্রার অফিসের এক নিম্নমান সহকারীর বিরুদ্ধে। দেড় বছর আগে নেওয়া এই টাকা ফেরত চাইলে এক প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন ওই কর্মচারী। চাকরি না পেয়ে প্রতারণার অভিযোগে এবং টাকা ফেরত চেয়ে সম্প্রতি ওই কর্মচারীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক প্রার্থী। টাকা লেনদেনের ব্যাংক স্লিপ ও হুমকির কথোপকথন আজকের পত্রিকার কাছে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম মানিক চন্দ্র দাস। তিনি রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। যদিও তিনি নিজেকে সব জায়গায় সেকশন অফিসার পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে তিন চাকরিপ্রার্থী হলেন মাদারীপুরের রাকিব ফরাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুস সালেহীন।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২১ সালের ৩১ মে ও ১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাদারীপুরের রাকিব ফরাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুস সালেহীনের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক। পরে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে এক ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মানিক। তাই প্রতারণার অভিযোগ এনে এবং টাকা ফেরত পেতে গত ২৫ জুলাই মানিক চন্দ্রের কাছে একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাকসুদুস সালেহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় স্ত্রীকে পড়ানোর সুবাদে মানিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে নিজেকে সেকশন অফিসার পরিচয় দিত। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই সে আমাকে জানিয়েছিল। প্রথমে সে বলেছিল ৩০ হাজার টাকা দিলেই হবে। এরপর সে কিছুদিন পর ৭০ হাজার, কিছুদিন পর ‘ লাখ টাকা নিল। এক বড় ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলত। সে বলত, বড় ভাই বলছে টাকা না দিলে চাকরি হবে না। এরপর আমার সাথে আমার দুজন ছাত্রও টাকা দিয়েছে।’
মাকসুদুস আরও বলেন, ‘প্রথমে মানিক বলেছিল টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে চেক, স্ট্যাম্প সবই দিবে। কিন্তু কিছুদিন পরে সে কিছুই দিতে চাইছে না। একপর্যায়ে কৌশল করে তাকে বললাম ওরা এসব ছাড়া টাকা দিচ্ছে না, তখন সে আমাদের বোকা বানিয়ে স্বাক্ষর ছাড়া চেক পাঠিয়েছে। পরে আবার স্বাক্ষর করে চেক পাঠিয়েছে। তখন সে বলে, ডিসেম্বরের মধ্যে সব হয়ে যাবে। তখন আমরা বলছি, আমরা সবাই গরিব মানুষ, না হলে আমাদের টাকা দিয়ে দিবেন। তখন সে কথা অনুযায়ী গত বছর ২৮ ডিসেম্বর তারিখের একটা ও ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের দুইটা চেক পাঠায়। এরপর অনেক অনুনয়-বিনয়ের পরও সে টাকা দেয় নাই। শুধু ঘুরিয়েছে আর হুমকি-ধমকি দিয়েছে। পরে একটা চেকের মেয়াদ শেষ হলে চেক ডিজঅনার করিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক চন্দ্র দাস বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করছে তারা। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব। যদি সে এ ধরনের কোনো কিছু করে থাকে, অবশ্যই তাঁকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অর্থ লেনদেনসংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। অপর একটিতে ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উপাচার্যের পিএসকে অপসারণ করে তাঁকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কর্মচারী আহমদ হোসেনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মচারী নিয়োগে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেজিস্ট্রার অফিসের এক নিম্নমান সহকারীর বিরুদ্ধে। দেড় বছর আগে নেওয়া এই টাকা ফেরত চাইলে এক প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন ওই কর্মচারী। চাকরি না পেয়ে প্রতারণার অভিযোগে এবং টাকা ফেরত চেয়ে সম্প্রতি ওই কর্মচারীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক প্রার্থী। টাকা লেনদেনের ব্যাংক স্লিপ ও হুমকির কথোপকথন আজকের পত্রিকার কাছে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম মানিক চন্দ্র দাস। তিনি রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। যদিও তিনি নিজেকে সব জায়গায় সেকশন অফিসার পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে তিন চাকরিপ্রার্থী হলেন মাদারীপুরের রাকিব ফরাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুস সালেহীন।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২১ সালের ৩১ মে ও ১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাদারীপুরের রাকিব ফরাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুস সালেহীনের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক। পরে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে এক ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মানিক। তাই প্রতারণার অভিযোগ এনে এবং টাকা ফেরত পেতে গত ২৫ জুলাই মানিক চন্দ্রের কাছে একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাকসুদুস সালেহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় স্ত্রীকে পড়ানোর সুবাদে মানিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে নিজেকে সেকশন অফিসার পরিচয় দিত। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই সে আমাকে জানিয়েছিল। প্রথমে সে বলেছিল ৩০ হাজার টাকা দিলেই হবে। এরপর সে কিছুদিন পর ৭০ হাজার, কিছুদিন পর ‘ লাখ টাকা নিল। এক বড় ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলত। সে বলত, বড় ভাই বলছে টাকা না দিলে চাকরি হবে না। এরপর আমার সাথে আমার দুজন ছাত্রও টাকা দিয়েছে।’
মাকসুদুস আরও বলেন, ‘প্রথমে মানিক বলেছিল টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে চেক, স্ট্যাম্প সবই দিবে। কিন্তু কিছুদিন পরে সে কিছুই দিতে চাইছে না। একপর্যায়ে কৌশল করে তাকে বললাম ওরা এসব ছাড়া টাকা দিচ্ছে না, তখন সে আমাদের বোকা বানিয়ে স্বাক্ষর ছাড়া চেক পাঠিয়েছে। পরে আবার স্বাক্ষর করে চেক পাঠিয়েছে। তখন সে বলে, ডিসেম্বরের মধ্যে সব হয়ে যাবে। তখন আমরা বলছি, আমরা সবাই গরিব মানুষ, না হলে আমাদের টাকা দিয়ে দিবেন। তখন সে কথা অনুযায়ী গত বছর ২৮ ডিসেম্বর তারিখের একটা ও ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের দুইটা চেক পাঠায়। এরপর অনেক অনুনয়-বিনয়ের পরও সে টাকা দেয় নাই। শুধু ঘুরিয়েছে আর হুমকি-ধমকি দিয়েছে। পরে একটা চেকের মেয়াদ শেষ হলে চেক ডিজঅনার করিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক চন্দ্র দাস বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করছে তারা। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব। যদি সে এ ধরনের কোনো কিছু করে থাকে, অবশ্যই তাঁকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অর্থ লেনদেনসংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। অপর একটিতে ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উপাচার্যের পিএসকে অপসারণ করে তাঁকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কর্মচারী আহমদ হোসেনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত নতুন প্রজন্মের স্বাধীনতার পর এবার ভিন্ন আলোকে উদ্যাপন হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের গতিশীল নেতৃত্বে ৫ আগস্ট পরবর্তী সংকটময় মুহূর্তেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৪ মিনিট আগেজামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল চালুসহ বেকার শ্রমিকদের কর্ম সংস্থানের দাবি জানিয়েছেন পাটকল শ্রমিকরা। আজ রোববার সকালে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংলগ্ন সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়কে উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
৪ মিনিট আগেমূল সড়কে চলাচলের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন...
১০ মিনিট আগেরাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষকদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে হত্যার ছয় বছর পর মামলা করেছে পরিবার। এ মামলায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে