দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আতঙ্কে কয়েক দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটছে কুমিল্লার গোমতী নদীতীরের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন মসজিদ থেকে দেওয়া হচ্ছিল সতর্ক থাকার ঘোষণা। সেই আশঙ্কা সত্যি হলো, নেমে এলো ভয়াবহ দুর্ভোগ!
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ধসে গিয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, ভরাসার, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল, রাজাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ে। রাতে আতঙ্কিত মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। অনেককে গোমতী বাঁধের ওপরে আসবাবপত্র ও গবাদি পশু নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলের পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদী ও খালগুলোতে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে এই নদী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বুড়বুড়িয়ায় বাঁধে ধস নামার আগ পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে।’
খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সংরাইশ-টিক্কারচর এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধের অংশে গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় মসজিদে ঘোষণা আসে। পরে এলাকাবাসী যে যার মতো করে বালুর বস্তা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে কটকবাজার, আড়াইওড়া, চাঁনপুর, মুরাদনগর ও দেবীদ্বারের বিভিন্ন স্থানে বাঁধের গর্ত ও ফাটল দিয়ে পানি প্রবেশ করছে এমন খবর মাইকে প্রচারিত হলে, স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে রাত জেগে সেগুলো মেরামত করেন।
তবে, অনেক জায়গায় গুজব ছড়ানোর কথা জানা যায় বলেও জানান তিনি।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, ‘গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। পানির প্রবল প্রবাহের কারণে বাঁধ আরও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছি।’
এ দিকে কুমিল্লা সদর, মুরাদনগর ও দেবিদ্বার উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভারতের ঢলে প্লাবিত হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ।
গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোমতীর বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো স্থানীয়দের বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার অংশে বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়য়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানি জেলার ১৭ উপজেলায় কম-বেশি প্রবাহিত হচ্ছে, যা এখনো অবনতির দিকে। ইতিমধ্যে জেলায় ৫৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজারের মতো লোক আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
পানিবন্দী অসহায়দের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মাঠে কাজ করছেন।
বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আতঙ্কে কয়েক দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটছে কুমিল্লার গোমতী নদীতীরের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন মসজিদ থেকে দেওয়া হচ্ছিল সতর্ক থাকার ঘোষণা। সেই আশঙ্কা সত্যি হলো, নেমে এলো ভয়াবহ দুর্ভোগ!
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ধসে গিয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, ভরাসার, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল, রাজাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ে। রাতে আতঙ্কিত মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। অনেককে গোমতী বাঁধের ওপরে আসবাবপত্র ও গবাদি পশু নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলের পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদী ও খালগুলোতে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে এই নদী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বুড়বুড়িয়ায় বাঁধে ধস নামার আগ পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে।’
খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সংরাইশ-টিক্কারচর এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধের অংশে গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় মসজিদে ঘোষণা আসে। পরে এলাকাবাসী যে যার মতো করে বালুর বস্তা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে কটকবাজার, আড়াইওড়া, চাঁনপুর, মুরাদনগর ও দেবীদ্বারের বিভিন্ন স্থানে বাঁধের গর্ত ও ফাটল দিয়ে পানি প্রবেশ করছে এমন খবর মাইকে প্রচারিত হলে, স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে রাত জেগে সেগুলো মেরামত করেন।
তবে, অনেক জায়গায় গুজব ছড়ানোর কথা জানা যায় বলেও জানান তিনি।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, ‘গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। পানির প্রবল প্রবাহের কারণে বাঁধ আরও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছি।’
এ দিকে কুমিল্লা সদর, মুরাদনগর ও দেবিদ্বার উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভারতের ঢলে প্লাবিত হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ।
গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোমতীর বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো স্থানীয়দের বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার অংশে বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়য়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানি জেলার ১৭ উপজেলায় কম-বেশি প্রবাহিত হচ্ছে, যা এখনো অবনতির দিকে। ইতিমধ্যে জেলায় ৫৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজারের মতো লোক আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
পানিবন্দী অসহায়দের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মাঠে কাজ করছেন।
চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মো. আলম নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর-পতেঙ্গা) আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আ
২ মিনিট আগেদীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। আজ বুধবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ভোট গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে
২৩ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পৌর শহরের পূর্ব বাজার এলাকার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৮ মিনিট আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা ধরে রাখা জনগণ হয়তো সন্দেহের চোখে দেখছে। দ্রুত উল্লেখযোগ্য সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এ সরকারের প্রধান কাজ।’
২৯ মিনিট আগে