পাহাড়ি নারী পাচারকারীদের ধরতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৩২
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ১৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি নারীদের চীনে পাচারের খবরে টনক নড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। ইতিমধ্যে পাচার চক্রের সদস্যদের ধরতে কাজ শুরু করেছে রাঙামাটি পুলিশ। এরই মধ্যে রাঙামাটি শহরে এক পাচারকারীকে খোঁজা হচ্ছে।

শংখমালা চাকমা নামের ওই নারী পাচারকারীর বাড়ি রাঙামাটি শহরের রাঙাপানী গ্রামে। তাঁর নাম সম্প্রতি আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল। স্থানীয় সূত্র জানায়, বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে। এ কারণে তিনি পলাতক রয়েছেন।

সূত্রটি জানায়, ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাঙামাটি সদরের কুদুকছড়ি ইউনিয়ন থেকে এক কিশোরীকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে তুলে নিতে একটি অটোরিকশা পাঠানো হয়। বিষয়টি জানার পর এলাকার মানুষ পাহারা বসায়। অটোরিকশাচালক শুক্রসেন চাকমা কুতুকছড়িতে গেলে মেয়েসহ তাঁকে হাতেনাতে ধরে অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়। পরে এলাকাবাসী জানতে পারে অটোরিকশাচালক নিরীহ লোক। পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে অটোরিকশাটি রেখে দেয় গ্রামবাসী।

রাঙামাটি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মানস বড়ুয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সঠিক। আমরা তদন্ত করছি। শংখমালা এখন পলাতক। শংখমালাকে পাওয়া গেলে পাচার চক্র নিয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।’

এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নে অস্পরী চাকমা নামের এক পাচারকারী সদস্যকে আটক করেছে গ্রামবাসী। অস্পরী বাবুছড়ার দাদন কার্বারীপাড়ার সুখময় চাকমার মেয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের যুব সমাজের এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর গ্রামের মানুষ অস্পরীকে আটক করেছে। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বসানো হয়। সেই সালিসে অস্পরী পাচার চক্রের মাধ্যমে একাধিক নারীকে চীনে পাচার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাঁকে আপাতত গ্রামের বাইরে না যেতে গ্রামের সমাজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় ‘চীনে বিক্রি পাহাড়ি তরুণীরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। এ পাচার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হয় বিভিন্ন মহল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত