নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ঢাকা চট্টগ্রামসহ আরও চার সিটি করপোরেশন ও তিন জেলায় জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চসিকের পাঁচটি ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে একাধিক জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিন হ্যাকারসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি সিপিইউ, দুইটি মনিটর, তিনটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, একটি প্রিন্টার ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম, নড়াইল, ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে টানা অভিযানে এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁরা জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও নরসিংদী জেলায় অসংখ্য জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করেছে।’ যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপকমিশনার লিয়াকত আলী খান আরও বলেন, ‘এর আগে চক্রের ছয় সদস্যকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে আদালতে দেওয়া দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাগর আহমেদ জোভানের নাম আসে। পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জোভানের তথ্যের ভিত্তিতে পরে নড়াইল থেকে হ্যাকার শেখ সেজানকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে ঢাকা কলাবাগান থানা এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে, সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ থানা এলাকা থেকে হ্যাকার মো. শাকিল হোসেন ও গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকা থেকে আরেক হ্যাকার মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তাঁরা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশ করে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে সরবরাহ করে আসছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন– চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট গ্রামের সাগর আহমেদ জোভান (২৩), নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের শেখ সেজান (২৩), কুমিল্লা তিতাস এলাকার বাসিন্দা, বর্তমানে ঢাকার গ্রিন রোডের মেহেদী হাসান (২৩), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার শাকিল হোসেন (২৩) ও ময়মনসিংহ ফুলপুর থানার বাসিন্দা-বর্তমানে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার মাসুদ রানা (২৭)।
আসামিরা জন্মনিবন্ধন সার্ভারের আইডি হ্যাক করে গত ৮ জানুয়ারি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০টি, ৯ জানুয়ারি ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ১০টি, ৪০ নম্বর পতেঙ্গা ওয়ার্ডে ৮৪টি, ২৩ জানুয়ারি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩৯টি ও ১১ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ৪০৯টি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করে। এই ঘটনায় খুলশী, হালিশহর, বন্দর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।’ মামলাগুলো তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে জোভান হচ্ছে চট্টগ্রামের মূল হোতা আর সেজান হচ্ছে ঢাকার হোতা। হ্যাকার সেজান ইন্টারনেট কুকিজের মাধ্যমে মূল সার্ভার থেকে লগইন সেশন চুরি করে সার্ভারে প্রবেশ করত।’ সার্ভার হ্যাকের মূল কাজটি মূলত সেজান করত।’
ঢাকা চট্টগ্রামসহ আরও চার সিটি করপোরেশন ও তিন জেলায় জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চসিকের পাঁচটি ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে একাধিক জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিন হ্যাকারসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি সিপিইউ, দুইটি মনিটর, তিনটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, একটি প্রিন্টার ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম, নড়াইল, ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে টানা অভিযানে এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁরা জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও নরসিংদী জেলায় অসংখ্য জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করেছে।’ যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপকমিশনার লিয়াকত আলী খান আরও বলেন, ‘এর আগে চক্রের ছয় সদস্যকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে আদালতে দেওয়া দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাগর আহমেদ জোভানের নাম আসে। পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জোভানের তথ্যের ভিত্তিতে পরে নড়াইল থেকে হ্যাকার শেখ সেজানকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে ঢাকা কলাবাগান থানা এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে, সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ থানা এলাকা থেকে হ্যাকার মো. শাকিল হোসেন ও গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকা থেকে আরেক হ্যাকার মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তাঁরা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশ করে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে সরবরাহ করে আসছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন– চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট গ্রামের সাগর আহমেদ জোভান (২৩), নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের শেখ সেজান (২৩), কুমিল্লা তিতাস এলাকার বাসিন্দা, বর্তমানে ঢাকার গ্রিন রোডের মেহেদী হাসান (২৩), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার শাকিল হোসেন (২৩) ও ময়মনসিংহ ফুলপুর থানার বাসিন্দা-বর্তমানে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার মাসুদ রানা (২৭)।
আসামিরা জন্মনিবন্ধন সার্ভারের আইডি হ্যাক করে গত ৮ জানুয়ারি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০টি, ৯ জানুয়ারি ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ১০টি, ৪০ নম্বর পতেঙ্গা ওয়ার্ডে ৮৪টি, ২৩ জানুয়ারি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩৯টি ও ১১ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ৪০৯টি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করে। এই ঘটনায় খুলশী, হালিশহর, বন্দর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।’ মামলাগুলো তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে জোভান হচ্ছে চট্টগ্রামের মূল হোতা আর সেজান হচ্ছে ঢাকার হোতা। হ্যাকার সেজান ইন্টারনেট কুকিজের মাধ্যমে মূল সার্ভার থেকে লগইন সেশন চুরি করে সার্ভারে প্রবেশ করত।’ সার্ভার হ্যাকের মূল কাজটি মূলত সেজান করত।’
বরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
৭ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে