প্রতিনিধি
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ইটভাটায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অভাবী কৃষকদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে স্বল্পমূল্যে উর্বর জমির মাটি (টপ সয়েল) কিনে ইটভাটায় বেশি মূল্যে বিক্রি করছে। এতে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর আমন ধান কাটার পরপরই ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। ওই সব মাটি নিচু জায়গা ভরাট করা ও ইট তৈরিসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বেচাকেনা চলছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, ট্রলি ও ট্রাক এসে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উপজেলার হারুয়ালছড়ি গ্রামের কৃষক নুরুল আলম (৩৩) বলেন, মাটি ব্যবসায়ীর কাছে তিন কানি (১২০ শতক) জমির উপরিভাগের দুই থেকে আড়াই ফুট মাটি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
পশ্চিম ভুজপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল বলেন, আমি সাত কানি (২৮০ শতক) জমির উপরিভাগের মাটি নয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ফসল উৎপাদনে লোকসান যাওয়ায় এমনটি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণহাটে মাটি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব বলেন, এ উপজেলায় আগে ২৫ থেকে ৩০টি ইটভাটা ছিল। এখন অর্ধ শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন মাটির চাহিদাও বেড়েছে। যাদের মাটির প্রয়োজন তারা আমাদের মতো মাটি ব্যবসায়ীর কাছে চুক্তি ভিত্তিক অর্ডার দেন। আমরা বিভিন্ন এলাকার কৃষকের থেকে পতিত জমির মাটি কিনে তা ভাটায় সরবরাহ করি।
পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের বর্গাচাষি এনাম (৪৩) বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি তুলে নেওয়ায় এসব জমি অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় পরিণত হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এভাবে ফসলি জমি কমে যাওয়ার কারণে খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভুজপুর গ্রামের একটি ভাটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইট তৈরির জন্য পতিত জমির সঙ্গে ফসলি জমির মাটিও কেনা হচ্ছে। এসব মাটি ব্যবসায়ীরা কিছু অভাবী জমির মালিকের কাছ থেকে কিনছেন। পরে এসব মাটি ব্যবসায়ীরা ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাকে করে ভাটায় সরবরাহ করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেব নাথ বলেন, 'জমির উপরিভাগে এক থেকে দেড় ফুট অংশের মধ্যেই মাটির মূল উর্বরাশক্তি বিদ্যমান। কিন্তু ওই অংশটিই কেটে নেওয়ার ফলে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়। পুনরায় ওই উর্বরাশক্তি ফিরে আসতে পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও জমির মালিক অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অভাবী কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট করছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।'
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ইটভাটায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অভাবী কৃষকদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে স্বল্পমূল্যে উর্বর জমির মাটি (টপ সয়েল) কিনে ইটভাটায় বেশি মূল্যে বিক্রি করছে। এতে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর আমন ধান কাটার পরপরই ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। ওই সব মাটি নিচু জায়গা ভরাট করা ও ইট তৈরিসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বেচাকেনা চলছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, ট্রলি ও ট্রাক এসে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উপজেলার হারুয়ালছড়ি গ্রামের কৃষক নুরুল আলম (৩৩) বলেন, মাটি ব্যবসায়ীর কাছে তিন কানি (১২০ শতক) জমির উপরিভাগের দুই থেকে আড়াই ফুট মাটি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
পশ্চিম ভুজপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল বলেন, আমি সাত কানি (২৮০ শতক) জমির উপরিভাগের মাটি নয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ফসল উৎপাদনে লোকসান যাওয়ায় এমনটি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণহাটে মাটি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব বলেন, এ উপজেলায় আগে ২৫ থেকে ৩০টি ইটভাটা ছিল। এখন অর্ধ শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন মাটির চাহিদাও বেড়েছে। যাদের মাটির প্রয়োজন তারা আমাদের মতো মাটি ব্যবসায়ীর কাছে চুক্তি ভিত্তিক অর্ডার দেন। আমরা বিভিন্ন এলাকার কৃষকের থেকে পতিত জমির মাটি কিনে তা ভাটায় সরবরাহ করি।
পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের বর্গাচাষি এনাম (৪৩) বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি তুলে নেওয়ায় এসব জমি অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় পরিণত হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এভাবে ফসলি জমি কমে যাওয়ার কারণে খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভুজপুর গ্রামের একটি ভাটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইট তৈরির জন্য পতিত জমির সঙ্গে ফসলি জমির মাটিও কেনা হচ্ছে। এসব মাটি ব্যবসায়ীরা কিছু অভাবী জমির মালিকের কাছ থেকে কিনছেন। পরে এসব মাটি ব্যবসায়ীরা ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাকে করে ভাটায় সরবরাহ করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেব নাথ বলেন, 'জমির উপরিভাগে এক থেকে দেড় ফুট অংশের মধ্যেই মাটির মূল উর্বরাশক্তি বিদ্যমান। কিন্তু ওই অংশটিই কেটে নেওয়ার ফলে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়। পুনরায় ওই উর্বরাশক্তি ফিরে আসতে পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও জমির মালিক অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অভাবী কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট করছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।'
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৩ ঘণ্টা আগে২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
৪ ঘণ্টা আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৪ ঘণ্টা আগে