সীমান্তে আবার গোলাগুলির শব্দ, ২৩ দিন পর বুধবার খুলছে তমব্রুর ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২: ৩৫
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২: ৪১

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবারও উত্তেজনা শুর হয়েছে। গতকাল রোববার রাতভর ও আজ সোমবার থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিকট শব্দ শোনা গেছে এপার থেকেও।

এদিকে সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, গতকাল রোববার রাত ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গোলাগুলি, মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ও ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা গেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী, টেকনাফ সদর, হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের সীমান্তে। আজ সকালের পর কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুরে হোয়াইক্যং সীমান্তে আবার গোলাগুলি শুরু হয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত ওপারের কুমিরখালী সীমান্তচৌকি ঘিরে সংঘর্ষ হয়।

একই পরিস্থিতি জানিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, কয়েক দিন সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো ছিল। এখন আবার উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। গতকাল রোববার রাতের পর আজ সোমবার দিনেও মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে এপারে মাঝে–মধ্যে গোলাগুলি ও বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে অনুপ্রবেশকালে তিন দফায় ৭৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

২৩ দিন পর খুলছে ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জলপাইতলী গ্রামে। এতে একজন বাংলাদেশি নারী এবং একজন রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হন। ওই দিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আগামী বুধবার থেকে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত