তৌফিকুল ইসলাম
ঢাকা: পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ এর ফলে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও গণপরিবহন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে শহরের ভেতরে চলবে গণপরিবহন। তবে এক জেলার বাস যেতে পারবে না অন্য জেলায়। একই সাথে কাল থেকে সব রুটে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
অভ্যন্তরীণ রুটে কাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে গণপরিবহন। যাত্রী, বাসের চালক ও হেলপারেকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আগের মতই যাত্রীদের ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে আগামীকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি তাঁরা দূরপাল্লার বাস চালাতে চান। সড়কে যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার গাবতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও, মানুষের চলাচল বন্ধ হয়নি। রাজধানী থেকে প্রাইভেট কার, মটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা করে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ । এসব বাহনে যাত্রীদের প্রায় তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ বিষয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
টার্মিনালে কথা হয় শ্যামলী পরিবহনের গাড়িচালক মো. আবু রায়হান সাথে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'লকডাউনের এক মাসে গাড়ি চালাইনি, কোনো উপার্জন হয়নি। গত এক মাসে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। সেটা দিয়েই চলছি। এভাবে আর কতদিন। ঈদকে সামনে রেখে সবকিছুই স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার। কেবল দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রেই যতো সমস্যা।'
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার গণপরিবহন চালাতে দেবে কিন্তু দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেবে না। আমরা এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত না। শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। কাল থেকে কোনো শ্রমিক যদি দূরপাল্লার বাস চালায় সে ক্ষেত্রে ফেডারেশন দায়ী থাকবে না। লকডাউনে এক মাস যাবত পরিবহন শ্রমিকদের দুরবস্থা চলছে। সরকার তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। উল্টো ঈদেও দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখল। আমরা শ্রমিকদের আর দমিয়ে রাখতে পারছি না।
ওসমান আলী আরো বলেন, ঈদের আগে দূরপাল্লার বাস চালু না হলে, কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। পরিবহন শ্রমিকরা মাঠে নেমে আসবে। পরিবহন চালুর বিষয়ে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আগামী শুক্রবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শ্রমিকদের দূরপাল্লার বাস চালানোর হুমকির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে যোগাযোগ করা হলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই মুহূর্তে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধৈর্য ধরা উচিত। পরিস্থিতি বুঝে আমরা ধীরে ধীরে সব কিছু চালু করবো। কিন্তু সেটার জন্য আমাদের সময় দিতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের আগে সরকার দূরপাল্লার বাস চালু করবে না। শ্রমিকরা যদি সরকারের কথা অমান্য করে দূরপাল্লার গাড়ি চালায় আমার ব্যবস্থা নেব।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় সরকার। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ ১১টি সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালু করা হয়। এরপর ১৩ তারিখে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় গণপরিবহন। পরে গত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল এবং পরে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। নতুন করে এই বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে।
ঢাকা: পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ এর ফলে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও গণপরিবহন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে শহরের ভেতরে চলবে গণপরিবহন। তবে এক জেলার বাস যেতে পারবে না অন্য জেলায়। একই সাথে কাল থেকে সব রুটে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
অভ্যন্তরীণ রুটে কাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে গণপরিবহন। যাত্রী, বাসের চালক ও হেলপারেকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আগের মতই যাত্রীদের ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে আগামীকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি তাঁরা দূরপাল্লার বাস চালাতে চান। সড়কে যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার গাবতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও, মানুষের চলাচল বন্ধ হয়নি। রাজধানী থেকে প্রাইভেট কার, মটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা করে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ । এসব বাহনে যাত্রীদের প্রায় তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ বিষয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
টার্মিনালে কথা হয় শ্যামলী পরিবহনের গাড়িচালক মো. আবু রায়হান সাথে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'লকডাউনের এক মাসে গাড়ি চালাইনি, কোনো উপার্জন হয়নি। গত এক মাসে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। সেটা দিয়েই চলছি। এভাবে আর কতদিন। ঈদকে সামনে রেখে সবকিছুই স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার। কেবল দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রেই যতো সমস্যা।'
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার গণপরিবহন চালাতে দেবে কিন্তু দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেবে না। আমরা এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত না। শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। কাল থেকে কোনো শ্রমিক যদি দূরপাল্লার বাস চালায় সে ক্ষেত্রে ফেডারেশন দায়ী থাকবে না। লকডাউনে এক মাস যাবত পরিবহন শ্রমিকদের দুরবস্থা চলছে। সরকার তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। উল্টো ঈদেও দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখল। আমরা শ্রমিকদের আর দমিয়ে রাখতে পারছি না।
ওসমান আলী আরো বলেন, ঈদের আগে দূরপাল্লার বাস চালু না হলে, কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। পরিবহন শ্রমিকরা মাঠে নেমে আসবে। পরিবহন চালুর বিষয়ে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আগামী শুক্রবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শ্রমিকদের দূরপাল্লার বাস চালানোর হুমকির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে যোগাযোগ করা হলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই মুহূর্তে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধৈর্য ধরা উচিত। পরিস্থিতি বুঝে আমরা ধীরে ধীরে সব কিছু চালু করবো। কিন্তু সেটার জন্য আমাদের সময় দিতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের আগে সরকার দূরপাল্লার বাস চালু করবে না। শ্রমিকরা যদি সরকারের কথা অমান্য করে দূরপাল্লার গাড়ি চালায় আমার ব্যবস্থা নেব।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় সরকার। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ ১১টি সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালু করা হয়। এরপর ১৩ তারিখে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় গণপরিবহন। পরে গত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল এবং পরে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। নতুন করে এই বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে।
সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে আদালতের মুন্সি সমিতি (অ্যাডভোকেটস ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন) সহায়তা করেছে এমন দাবি তুলে কার্যালয় ভাঙচুর
৬ ঘণ্টা আগেশেরপুরের মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাফেজ উদ্দিন (৩৯) নামে একজন মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে এবং সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি-উন্মাদনা-হামলা রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বুধবার বিকেলে বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে নগরের আম্বরখানার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। ওই বহরে থাকা চট্টগ্রামের আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি অভিযোগ করেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।
৯ ঘণ্টা আগে