Ajker Patrika

ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীর বিরুদ্ধে চোরাই গরু দখলে রাখার প্রমাণ মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীর বিরুদ্ধে চোরাই গরু দখলে রাখার প্রমাণ মিলেছে

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক বাবলী আক্তারের বিরুদ্ধে চোরাই গরু কিনে তা অধিক লাভে বিক্রয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রলীগের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলায় সম্প্রতি দাখিল করা অভিযোগ পত্রে এ কথা বলা হয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত সপ্তাহে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়েছে, বাবলীর দখল থেকে চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে, এটারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগপত্রে বাবলিসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন মো. হাবুল সরদার, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম ও মো. মোর্শেদ আলী। এ ছাড়া নাম ঠিকানা না পাওয়ায় পলাতক গরু চোর শহীদ ও ট্রাক চালকের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তবে চার্জশিটে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারলে তাঁদেরকে চার্জশিট ভুক্ত করা হবে।

২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গরু চুরির ঘটনায় আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ওই বছরের ২ নভেম্বর ভোরে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

মামলার নথি থেকে অভিযোগপত্রে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ধামরাইয়ের আব্দুল লতিফ তাঁর দুইটি গরু গোয়াল ঘরে রেখে দরজায় তালা মেরে ঘুমাতে যান। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাইরে শব্দ শুনতে পান। ঘুম থেকে উঠে দেখেন চার পাঁচজন চোর তাঁর দুইটি গরু ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন বের হন। ট্রাক থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হন আসামি হাবুল সরদার। এরপর স্থানীয় জনসাধারণ তাঁকে আটক করে। আসামি আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. মোর্শেদ আলী ও পলাতক আসামি শহীদ গরু দুইটি চুরি করে নিয়ে এসে আসামি বাবলী আক্তারের কাছে বিক্রয় করে। এরপর আসামি বাবলী লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে গরুগুলো পুনরায় উল্লেখিত আসামিদের মাধ্যমে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রয় করেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর গাজীপুর থেকে আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় চুরি হওয়া দেড় লাখ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভি উদ্ধার করা হয়। এরপর আসামি সাইদুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অন্যান্য আসামিদের কাছ থেকে গরু কেনার কথা স্বীকার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত