শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে আল-হেরা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার মধ্যরাতে নিহতের স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত প্রসূতি হলেন শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম (৩৮)।
মৃত্যু ও হাসপাতাল ভাঙচুরের তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসার প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগে এনে হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার আল-হেরা হাসপাতালে অনেক মানুষকে চিল্লাচিল্লি করতে দেখা গেছে। রোগীর স্বজনেরা এক গাইনি চিকিৎসককে খুঁজছেন হাসপাতালের বিভিন্ন তলায়। স্বজনেরা লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালান অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের ফার্মেসিতে। এ ছাড়া নিহত প্রসূতির মরদেহবাহী আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের মূল ফটকে রেখে অবস্থান নেন স্বজনেরা।
নিহত প্রসূতির স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইসমত আরাকে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের গায়নি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকাকে দেখাই। ওই চিকিৎসক স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক জানান স্ত্রীর উচ্চরক্তচাপ রয়েছে চিকিৎসা দিতে হবে।
স্ত্রী ইসমত আরাকে আল-হেরা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসা শুরু করা হয় বলে জানান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক জানান আমার স্ত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে হাসপাতালে বিল পরিশোধ করে অ্যাম্বুলেন্স করে ময়মনসিংহের পথে রওনা হই। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় একটি স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু সেটি চলছিল না। আমার স্ত্রীর কোনো ধরনের নড়াচড়া ছিল না।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে দেখেই জানান অনেক আগেই সে মারা গেছে। আলহেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য আমার স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় অন্য হাসপাতালে পাঠায়। অথচ তাঁদের হাসপাতালেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আমাকে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমি অনেকবার বলেছি একজন নার্স দেন সঙ্গে, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। কারণ ওঁরা তো জানত আমার স্ত্রী মারা গেছে। তাহলে আমার সঙ্গে এ কেমন প্রতারণা করল? আর আমার স্ত্রীর শরীরে কী ইনজেকশন দিল যার কারণে আমার স্ত্রী মারা গেল?’
নিহতের শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘গতকাল দুপুরের দিকে আমার পুত্রবধূকে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। আসার তিন ঘণ্টা পর জানতে পারলাম পুত্রবধূ মারা গেছে। বাড়ি থেকে সুস্থ মানুষ নিয়ে এলাম হাসপাতালে। আর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এটা কেমন হাসপাতাল? যেখানে সুস্থ মানুষ নিয়ে এলে লাশ হয়ে ফিরতে হয়।’
নিহত প্রসূতির ছোট বোন চম্পা আক্তার বলেন, ‘বোন তো মারা গেছে হাসপাতালের আর ডাক্তারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত লাশ নিয়ে হাসপাতালে থাকব। প্রয়োজনে সারারাত এখানেই অবস্থান নেব। এটা হাসপাতাল না কসাইখানা। এই কসাইখানা বিচার করতে হবে তারপর লাশ দাফন হবে।’
হাসপাতালের ব্যবস্থাপককে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। অভিযোগ ওঠা গায়নি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকাকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, বিষয়টি রাতেই শুনেছি। স্বজনদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিধি মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রোগীর স্বজনদের হাসপাতাল ভাঙচুর না চালানোর জন্য বলা হয়েছে। স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে আল-হেরা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার মধ্যরাতে নিহতের স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত প্রসূতি হলেন শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম (৩৮)।
মৃত্যু ও হাসপাতাল ভাঙচুরের তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসার প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগে এনে হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার আল-হেরা হাসপাতালে অনেক মানুষকে চিল্লাচিল্লি করতে দেখা গেছে। রোগীর স্বজনেরা এক গাইনি চিকিৎসককে খুঁজছেন হাসপাতালের বিভিন্ন তলায়। স্বজনেরা লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালান অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের ফার্মেসিতে। এ ছাড়া নিহত প্রসূতির মরদেহবাহী আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের মূল ফটকে রেখে অবস্থান নেন স্বজনেরা।
নিহত প্রসূতির স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইসমত আরাকে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের গায়নি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকাকে দেখাই। ওই চিকিৎসক স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক জানান স্ত্রীর উচ্চরক্তচাপ রয়েছে চিকিৎসা দিতে হবে।
স্ত্রী ইসমত আরাকে আল-হেরা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসা শুরু করা হয় বলে জানান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক জানান আমার স্ত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে হাসপাতালে বিল পরিশোধ করে অ্যাম্বুলেন্স করে ময়মনসিংহের পথে রওনা হই। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় একটি স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু সেটি চলছিল না। আমার স্ত্রীর কোনো ধরনের নড়াচড়া ছিল না।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে দেখেই জানান অনেক আগেই সে মারা গেছে। আলহেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য আমার স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় অন্য হাসপাতালে পাঠায়। অথচ তাঁদের হাসপাতালেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আমাকে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমি অনেকবার বলেছি একজন নার্স দেন সঙ্গে, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। কারণ ওঁরা তো জানত আমার স্ত্রী মারা গেছে। তাহলে আমার সঙ্গে এ কেমন প্রতারণা করল? আর আমার স্ত্রীর শরীরে কী ইনজেকশন দিল যার কারণে আমার স্ত্রী মারা গেল?’
নিহতের শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘গতকাল দুপুরের দিকে আমার পুত্রবধূকে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। আসার তিন ঘণ্টা পর জানতে পারলাম পুত্রবধূ মারা গেছে। বাড়ি থেকে সুস্থ মানুষ নিয়ে এলাম হাসপাতালে। আর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এটা কেমন হাসপাতাল? যেখানে সুস্থ মানুষ নিয়ে এলে লাশ হয়ে ফিরতে হয়।’
নিহত প্রসূতির ছোট বোন চম্পা আক্তার বলেন, ‘বোন তো মারা গেছে হাসপাতালের আর ডাক্তারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত লাশ নিয়ে হাসপাতালে থাকব। প্রয়োজনে সারারাত এখানেই অবস্থান নেব। এটা হাসপাতাল না কসাইখানা। এই কসাইখানা বিচার করতে হবে তারপর লাশ দাফন হবে।’
হাসপাতালের ব্যবস্থাপককে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। অভিযোগ ওঠা গায়নি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকাকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, বিষয়টি রাতেই শুনেছি। স্বজনদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিধি মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রোগীর স্বজনদের হাসপাতাল ভাঙচুর না চালানোর জন্য বলা হয়েছে। স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
১৩ মিনিট আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
৪৩ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে