Ajker Patrika

কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের চাপ, নীলসাগর ট্রেনের সোয়া ১ ঘণ্টা বিলম্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২: ৪৪
বিকেলে দ্বিগুণ বাড়তে পারে যাত্রীর চাপ। ছবি: আজকের পত্রিকা।
বিকেলে দ্বিগুণ বাড়তে পারে যাত্রীর চাপ। ছবি: আজকের পত্রিকা।

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে আজ বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীর চাপ বিকেল শেষে দ্বিগুণ বাড়তে পারে। এদিকে, বেশির ভাগ ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেলেও নীলসাগর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্বে কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেছে। এতে এই ট্রেনের যাত্রীদের কিছুটা সময় স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ দিয়ে জানা গেছে, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি সকাল ৮টার সময় রওনা করেছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকা থেকে চিলাহাটির দিকে ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।

ট্রেন দেরিতে ছাড়া বিষয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনটি কমলাপুরে দেরিতে আসায় ছাড়তেও দেরি হয়েছে। ট্রেনের ক্রসিংগত কিছু সমস্যার কারণে ট্রেনটি আসতে দেরি হয়েছে।

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী নীলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে বলে বাসা থেকে ভোরে রওনা হয়ে কমলাপুর এসেছি। এসে দেখি ট্রেন সময়মতো ছাড়ছে না। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা একটা ভোগান্তির কাজ। এমনিতেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি, তারপরে বসে থাকা এটা একটা কষ্টকর বিষয়।’

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকায় বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের চেকিং শেষে যাত্রীকে স্টেশনের মধ্যে ঢুকতে হচ্ছে। টিকিট ছাড়া সকাল পর্যন্ত কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে বিকেলে যাত্রীর চাপ দ্বিগুণ বেড়ে গেলে টিকিট ছাড়া যাত্রী প্রবেশ ঠেকানো যাবে কি না, সেটি দেখার বিষয়।

এদিকে কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আন্তনগর ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় অনেক যাত্রী কমিউটার ট্রেনের দিকে ঝুঁকছেন।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে অনলাইনে টিকিট কেটেছি। তবে এবার চেকিং ব্যবস্থা ভালো। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে করে আমার সিটে আমি সুন্দরমতো উঠতে পেরেছি এবং যেতে পারছি। অন্যান্যবার যাত্রীর চাপে নিজের সিটেই ওঠা যায় না।’

বিকেলে দ্বিগুণ বাড়তে পারে যাত্রীর চাপ। ছবি: আজকের পত্রিকা।
বিকেলে দ্বিগুণ বাড়তে পারে যাত্রীর চাপ। ছবি: আজকের পত্রিকা।

১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘গতকাল যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনলাইনে চেষ্টা করে টিকিট পাইনি। বৃহস্পতিবারের টিকিট পেয়েছি, তাই আজ যেতে হচ্ছে। ট্রেনে যাওয়াটা নিরাপদ আরামদায়ক। এ জন্যই আসলে একটু দেরি আর কষ্ট হলেও ট্রেনেই যাই। তবে স্টেশনে বা ট্রেনে উঠতে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ভোগান্তি হয়নি।’

এদিকে বৃহস্পতিবার কমলাপুর থেকে প্রায় ৬৭টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৪৩টি আন্তনগর, ২৪টি মেইল কমিউটার এবং এসব ট্রেনের সঙ্গে আজকে দুটি বিশেষ ট্রেনও যুক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যে ২০টির মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে।

সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্যই বিনা টিকিটের বিষয়টি কাড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিকেলের পরে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে, সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। বেশির ভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আশা করি যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত