নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। এ সাতজনের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টি নামের একটি দল থেকে দুজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। গণতন্ত্রী পার্টির দুজনের মধ্যে একজন মো. কামরুল ইসলাম। আরেকজন অশোক কুমার ধর।
একনজরে প্রার্থীদের হলফনামা
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ)। তিনি পেশা হিসেবে শিক্ষকতা দেখিয়েছেন। তাঁর বছরে আয় ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৫ টাকা। আরাফাতের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি ব্যাংক সুদ থেকে বছরে আয় করেন ৯২ হাজার ৪৭৭ টাকা। তাঁর কাছে নগদ ও ব্যাংক জমার স্থিতিসহ ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা রয়েছে। আরাফাতের নামে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ১ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা।
আরাফাতের পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকা। তাঁর থাকা বাস, ট্রাক, মালগাড়ি ও মোটরসাইকেলের দাম ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। আরাফাতের ৩ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। আরও ৩ লাখ টাকার আসবাব রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরাফাত একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য অগ্রিম ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। আর স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড (এসএফআইএল) থেকে ঋণ নিয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ দশমিক ৯০ টাকা।
ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, মো. কামরুল ইসলাম এইচএসসি পাস। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ১ লাখ টাকা। তাঁর কাছে নগদ টাকা রয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে কামরুলের বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা। কামরুলের স্বর্ণ রয়েছে ২০ তোলা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার টাকার এবং আসবাব রয়েছে ১ লাখ টাকার। কামরুলের অকৃষি জমি রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮০ টাকা।
গণতন্ত্রী পার্টির আরেকজন অশোক কুমার ধর। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ও দৈনিক স্বদেশ বিচিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। অশোক কুমার ধর ব্যবসার মাধ্যমে বছরে আয় করেন ১৭ লাখ ২ হাজার ৭৮৯ টাকা। চাকরি করে আয় করেন ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া অশোক কুমার ধরের হাতে নগদ ২ লাখ। তাঁর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮২ টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ, আসবাবে ৫ লাখ ও অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ টাকা।
অশোক কুমার ধরের কৃষিজমির আর্থিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে হলফনামায়। তাঁর অকৃষি জমির আর্থিক মূল্য দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ টাকা, দালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া অশোক কুমার ধরের নিজ নামে ৬১ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান বিএসসি পাস করেছেন। তিনি পাঁচ মামলার আসামি। এর মধ্যে তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। সিকদার আনিসুর রহমান বাসা ও দোকান ভাড়া থেকে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১২ লাখ ও অবসরভাতা হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৩ টাকা আয় করেন। তাঁর হাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৮ টাকা তাঁর জমা রাখা আছে। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল খাতে আনিসুর ১৭ লাখ টাকার হিসাব দেখিয়েছেন। তাঁর ৩ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ৪ লাখ টাকার আসবাব রয়েছে।
তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি বাড়ি ভাড়া, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া পান ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫২১ টাকা, পেশা থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পান। হাতে নগদ আছে ৫ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ টাকা। অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য দেখিয়েছেন ২৩৩ কোটি ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। একটি দালানে মূল্য দেখিয়েছেন ১৩ লাখ ২২ টাকা এবং ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৯ টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি রয়েছে তাঁর।
আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। এ সাতজনের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টি নামের একটি দল থেকে দুজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। গণতন্ত্রী পার্টির দুজনের মধ্যে একজন মো. কামরুল ইসলাম। আরেকজন অশোক কুমার ধর।
একনজরে প্রার্থীদের হলফনামা
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ)। তিনি পেশা হিসেবে শিক্ষকতা দেখিয়েছেন। তাঁর বছরে আয় ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৫ টাকা। আরাফাতের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি ব্যাংক সুদ থেকে বছরে আয় করেন ৯২ হাজার ৪৭৭ টাকা। তাঁর কাছে নগদ ও ব্যাংক জমার স্থিতিসহ ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা রয়েছে। আরাফাতের নামে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ১ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা।
আরাফাতের পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকা। তাঁর থাকা বাস, ট্রাক, মালগাড়ি ও মোটরসাইকেলের দাম ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। আরাফাতের ৩ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। আরও ৩ লাখ টাকার আসবাব রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরাফাত একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য অগ্রিম ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। আর স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড (এসএফআইএল) থেকে ঋণ নিয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ দশমিক ৯০ টাকা।
ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, মো. কামরুল ইসলাম এইচএসসি পাস। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ১ লাখ টাকা। তাঁর কাছে নগদ টাকা রয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে কামরুলের বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা। কামরুলের স্বর্ণ রয়েছে ২০ তোলা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার টাকার এবং আসবাব রয়েছে ১ লাখ টাকার। কামরুলের অকৃষি জমি রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮০ টাকা।
গণতন্ত্রী পার্টির আরেকজন অশোক কুমার ধর। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ও দৈনিক স্বদেশ বিচিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। অশোক কুমার ধর ব্যবসার মাধ্যমে বছরে আয় করেন ১৭ লাখ ২ হাজার ৭৮৯ টাকা। চাকরি করে আয় করেন ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া অশোক কুমার ধরের হাতে নগদ ২ লাখ। তাঁর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮২ টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ, আসবাবে ৫ লাখ ও অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ টাকা।
অশোক কুমার ধরের কৃষিজমির আর্থিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে হলফনামায়। তাঁর অকৃষি জমির আর্থিক মূল্য দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ টাকা, দালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া অশোক কুমার ধরের নিজ নামে ৬১ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান বিএসসি পাস করেছেন। তিনি পাঁচ মামলার আসামি। এর মধ্যে তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। সিকদার আনিসুর রহমান বাসা ও দোকান ভাড়া থেকে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১২ লাখ ও অবসরভাতা হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৩ টাকা আয় করেন। তাঁর হাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৮ টাকা তাঁর জমা রাখা আছে। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল খাতে আনিসুর ১৭ লাখ টাকার হিসাব দেখিয়েছেন। তাঁর ৩ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ৪ লাখ টাকার আসবাব রয়েছে।
তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি বাড়ি ভাড়া, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া পান ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫২১ টাকা, পেশা থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পান। হাতে নগদ আছে ৫ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ টাকা। অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য দেখিয়েছেন ২৩৩ কোটি ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। একটি দালানে মূল্য দেখিয়েছেন ১৩ লাখ ২২ টাকা এবং ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৯ টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি রয়েছে তাঁর।
বরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগেজেলার খবর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সুবর্ণচর, গৃহবধূ, লাশ উদ্ধার, স্বজন, অভিযোগ, পিটিয়ে হত্যা
২৩ মিনিট আগেবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কোণঠাসা করে রাখতে নিজের মাকে জামায়াতের রুকন বলে প্রচার করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তুরিন একসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৩৩ মিনিট আগেরাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের ছেলে রেজাউন-উল হক তরঙ্গকে (২৭) অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের মধ্যস্থতায় তরঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে