Ajker Patrika

শিল্পীদের প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার সমান সম্মানী দেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিল্পীদের প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার সমান সম্মানী দেওয়ার দাবি

টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীদের প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদা ও সম্মান দেওয়ার দাবি করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। 

বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদী শিল্পী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। 

তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, রেডিও এবং টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী যারা আছেন, তারা কেন রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমপরিমাণ সম্মানী পাবেন না? আমাদের দাবি, তালিকাভুক্ত শিল্পীদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমপরিমাণ সম্মানী দিতে হবে। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’ 

গোলাম কুদ্দুছ আরও বলেন, ‘শিল্পীদের এভাবে শহীদ মিনারে দাঁড়ানোর কথা নয়। আমরা শহীদ মিনারে দাঁড়াই জাতীয় কোনো সংকট যদি আমাদের সামনে এসে পড়ে। সে সংকট মোকাবিলায় জাতির অংশ হিসেবে আমরাও আমাদের কণ্ঠ উচ্চারিত করি, করণীয় নির্ধারণ করি। কিন্তু শিল্পীরা তাদের অর্থনৈতিক দাবি আদায়ের জন্য শহীদ মিনারে দাঁড়াতে হবে, এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত ছিল না। স্যালারির ওপর ট্যাক্স হয়, সম্মানীর ওপর কখনো ট্যাক্স হয় না। এটি অন্যায়। এর আগে যখন এই ট্যাক্স ধার্য করা হয়, এই যুক্তি নিয়েই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।’ 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যখন সংস্কৃতিসেবীদের কল্যাণের জন্য, শিল্পী ভাতা বৃদ্ধির জন্য দাবি জানাই, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অনুদানের জন্য যখন দাবি জানাই, তখন অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আমলারা বলেন—সংস্কৃতিসেবীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলো অপচয়। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কখনোই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন না।’ 

শিল্পী সম্মানীর ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের প্রতিবাদে এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন বলেন, ‘ধরুন যিনি ১ হাজার টাকা সম্মানী পান তাঁর থেকে ১০ ভাগ কেটে নেওয়া হয়। তারপরে রিকশা ভাড়া দেওয়ার পরে আর কী থাকে? আমার কথা বলছি না, তৃতীয় গ্রেডের একজন শিল্পীর সম্মানী নিয়ে একটা উদাহরণ দিলাম। এই সরকার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার। আমি বলব, অর্থমন্ত্রীর কাছে সরাসরি যাওয়া উচিত। ওনারা আশ্বাস দিলে ভালো কথা। আর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কানেও যাওয়া উচিত। ওনার কানে যায়নি। উনি শুনলে নিশ্চয়ই সমাধান হয়ে যাবে।’ 

এই প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেছে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন, রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লোকসংগীত শিল্পী আকরামুল ইসলাম, শিল্পী বিশ্বজিৎ রায়, কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ, আবৃত্তিশিল্পী রুপা চক্রবর্তী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত