Ajker Patrika

কোরবানির পশুর হাটে দর কষাকষি বেশি, বিক্রি কম

মো.নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) 
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১৭: ৪৭
কোরবানির পশুর হাটে দর কষাকষি বেশি, বিক্রি কম

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ৭টি অস্থায়ী পশুরহাটের ইজারা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এসব অস্থায়ী পশুর হাটগুলো চলবে ১৪ জুন শুক্রবার থেকে ১৬ জুন রোববার পর্যন্ত। 

এ ছাড়াও ৩টি স্থায়ী পশুর হাটে চলবে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। আজ শুক্রবার প্রথম দিন থেকেই জমে উঠতে শুরু করেছে এসব হাটে পশু বেচাকেনা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি বেশি হলেও বিক্রি কম। 

প্রথম দিনে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের দাবি পশুর দাম বেশি চাচ্ছেন পাইকারেরা। অন্যদিকে পাইকারদের দাবি কোরবানির পশুর তুলনায় হাটে ক্রেতা কম, তাই আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না। 

অন্যদিকে হাট ইজারাদারদের দাবি আজ শুক্রবার সকালে এমনিতেই হাটে ক্রেতা কম, বিকেল থেকে বাড়বে ক্রেতার চাপ। পাইকার ও ক্রেতাদের সুবিধার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আগানগর বালুর মাঠ ও হাসনাবাদ বালুর মাঠ হাট দুটিতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাট দুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার গরু এসেছে। হাটের প্রথম দিন সকাল বেলা তেমন বেচাকেনা লক্ষ করা যায়নি। তবে পাইকার ও ক্রেতাদের মধ্যে দামদর করতে দেখা গেছে। 

অন্যদিকে হাটে ঘুরে ঘুরে পাইকারদের পরামর্শ দিতে দেখা গেছে পশু চিকিৎসকদের। 

রাজধানীর জুরাইন থেকে কোরবানির গরু ক্রয় করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘সকালে হাসনাবাদ হাটে গরু কিনতে এসেছি। হাটে বেশ কয়েকটি গরু দামাদামি করেছি, কিন্তু পাইকারদের সঙ্গে দামে বনিবনা হচ্ছে না।’ তিনি দাবি করেন, পাইকাররা গরুর দাম অনেক বেশি হাঁকাচ্ছেন বলে এখনো হাটে তেমন গরু বেচাকেনা হচ্ছে না। তবে হাটে বিপুল পরিমাণ কোরবানির পশুর আমদানি রয়েছে। 

ঝিনাইদাহ থেকে হাসনাবাদ হাটে আসা পাইকার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি আমার পালের ২টি ও ৩টি গরু কিনে মোট ৫টি গরু নিয়ে এই হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছি। ইতিমধ্যে ১টি গরু বিক্রি করতে পারলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বাকিগুলো বিক্রি করতে পারছি না।’ 

হাটে আনা পশু। ছবি: আজকের পত্রিকামাগুরা থেকে ১৫টি গরু নিয়ে আগানগর বালুর মাঠে এসেছেন পাইকার আবুল ব্যাপারী। তিনি জানান, ‘মাগুরা থেকে ১৫টি লাল গরু কিনে গত রাতে এই হাটে এসেছি। ইতিমধ্যে ২টি গরু বিক্রি হয়েছে। তবে হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম, তাই বেচাকেনা হচ্ছে না।’ 

হাটে ঘুরে দেখা হয় পশু চিকিৎসক মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজননের দায়িত্বে রয়েছেন। হাটে নিয়ে আসা কোরবানির পশু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি হাটগুলো ঘুরে ঘুরে পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে হাটে আনা পশুগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। একটি পশু খামার থেকে বের করে হাট পর্যন্ত নিয়ে আসতে দীর্ঘ যাত্রা। এরপর হাটে আসার পর পরিবেশ ও খাওয়ার রুটিন পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক পশুই অসুস্থ হয়ে পরে। তাই পাইকারদের হাটে এনে গরুর বাড়তি পরিচর্যার পরামর্শ দিচ্ছি।’ 

হাসনাবাদ বালুর মাঠ হাটের ইজারাদার এমদাদুল হক দাদান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার হাটটি কেরানীগঞ্জে একমাত্র হাট, যে হাটটির সম্পূর্ণ অংশই সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হয়। হাটের আশপাশে পর্যাপ্ত ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে। পাইকারেরা গরু বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারবেন। তা ছাড়া আমরা হাট শুরুর আগেই হাট পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’

ইতিমধ্যে বর্জ্য ডাম্পিং করার জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হেয়ে গেছে, হাট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত জায়গায় বর্জ্য ডাম্পিং করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত