রায়পুরায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে কয়েক শ পরিবার

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ১৮: ০৫
Thumbnail image

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনাবেষ্টিত চরমধুয়ায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের এক বছরের মধ্যে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেড় ঘণ্টায় ৭০ মিটার নির্মাণাধীন বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা।

উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের চরমধুয়া ইউনিয়নের চরমধুয়া গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ওই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়ে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে আসেন সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড ও নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের নির্দেশনা দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৭০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালে কাজটি শেষ হয়। বাঁধ নির্মাণকাজের সময় ২০২২ সালের ৮ জুন বাঁধের ১০০ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মেঘনায় বর্ষায় পানি বৃদ্ধি প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের ৭০ মিটার অংশ দেড় ঘণ্টায় মেঘনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, বসতঘর ফসলি জমিসহ বেশ কয়েক শ পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, মেঘনায় বর্ষায় পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের ৭০ মিটার অংশ মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, বসতঘর ফসলি জমিসহ বেশ কয়েক শ পরিবার।

স্থানীয় বাসিন্দা কালিপদ দাস বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষায় পানি বৃদ্ধি প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের তিন বিঘা অংশ মেঘনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে রয়েছি।’ 

নরসিংদী পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাঁধটি নির্মাণ করে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। আগামী এক বছরের মধ্যে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাই মেরামত করবে। নির্মাণাধীন ৭০ মিটারের মতো বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে নরসিংদী পাউবো ও সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে মেরামতের নির্দেশনা দেয়।

চরমধুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহসান শিকদার বলেন, গত বছর ওই এলাকায় বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হয়। গতকাল সকালে প্রচল স্রোতে জিওব্যাগ, সিসি ব্লকসহ বাঁধের তিন বিঘার মতো অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মূলত পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে নিচের বালু সরে যাওয়ায় এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘ভাঙনের কারণে চরমধুয়া এলাকার বসতভিটা, ফসলি জমিসহ কয়েক শ পরিবার হুমকির মধ্যে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত