বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকদের ৩টি প্যাকেজ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ৩৬
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩: ০৬
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী বছর পবিত্র হজ পালনে এবার তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকেরা। তাঁদের সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ১৮ হাজার এবং সর্বোচ্চটি ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। যা গতকাল বুধবার সাধারণ হজ এজেন্সি মালিকদের ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে কম।

বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকবৃন্দের ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। তাঁদের দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকদের আহ্বায়ক মো. আখতার উজ্জামান, সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পেয়ারুসহ অনেক হজ এজেন্সির মালিক।

তাঁরা আগের দিন সাধারণ হজ এজেন্সি মালিকদের ব্যানারে ঘোষিত দুটি প্যাকেজ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এগুলো যাত্রীবান্ধব হয়নি।

সাধারণ হজ এজেন্সি মালিকদের ব্যানারে গতকাল মূলত হাবের বাতিল হওয়া কমিটির নেতারাই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ২৩ হাজার এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

গত ৩০ অক্টোবর সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানে সাধারণ প্যাকেজের মূল্য ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ এবং অন্যটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এগুলো চলতি বছরের চেয়ে কম হলেও প্যাকেজে খাবারের টাকা অন্তর্ভুক্ত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. আখতার উজ্জামান বলেন, হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্য, বিমানভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন নৈরাজ্যের কারণে চলতি বছর প্রায় ৪৫ হাজার নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ পালন করতে ব্যর্থ হন।

মাহমুদুল হক পেয়ারু বলেন, ‘বুধবার ঘোষিত প্যাকেজের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি।’

বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকেরা বলেন, বিমানভাড়া এবং হজ প্যাকেজের খরচ কিছুটা কমানো হলেও এখনো তা অনেকের সাধ্যের মধ্যে নেই। হজযাত্রীদের স্বার্থে বিমানভাড়া, সৌদি মোয়াল্লেম ফি এবং ভ্যাট বা ট্যাক্স আরও কমানো প্রয়োজন। কোটা পূরণ এবং রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হজনীতি অনুযায়ী প্রতিটি এজেন্সির জন্য ১০০ জন কোটা নির্ধারণের প্রস্তাবও দেন তাঁরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত