Ajker Patrika

ঈদযাত্রায় প্রস্তুত ১২৬ লঞ্চ, অগ্রিম টিকিটে সাড়া নেই

মো. নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ৪৫
ঈদযাত্রায় প্রস্তুত ১২৬ লঞ্চ, অগ্রিম টিকিটে সাড়া নেই

পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে রাজধানীর ছেড়ে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। ঘরমুখী এসব মানুষের যাতায়াত নিশ্চিত করতে সদরঘাট টার্মিনালে ১২৬টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে এসব বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। 

তবে লঞ্চ মালিকদের দাবি, সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও আগের মতো সদরঘাটে আর যাত্রী চাপ নেই। পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়েছে নৌপথে। এমনকি লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ে তেমন সাড়া নেই বলে জানান তারা। 

আজ শুক্রবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে তেমন যাত্রী চাপ দেখা যায়নি। এমনকি টার্মিনালে নির্ধারিত অগ্রিম টিকিট বুকিং কাউন্টারগুলোও ফাঁকা দেখা গেছে। 

নৌপথে যাতায়াতকারীরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল এই লঞ্চ। কিন্তু এখন সবাই পদ্মা সেতু হয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে স্বস্তির যাতায়াতের জন্য এখনো অনেকের পছন্দের শীর্ষে লঞ্চযাত্রা। 

পটুয়াখালী কালাইয়া রুটের যাত্রী সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী, দুই পুত্র ও স্ত্রী বড় বোনকে লঞ্চে তুলে দিয়ে গেলাম। সড়কপথের চেয়ে লঞ্চে যাতায়াত অনেক নিরাপদ ও স্বস্তির। তাই আমি তাদের লঞ্চে তুলে দিয়ে গেলাম। আমি ঈদের পরে চলে যাব।’ 

বরিশালগামী এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের যাত্রী রহিম মিয়া বলেন, ‘২৫ রমজানে লঞ্চ এত ফাঁকা পাব ভাবতে পারিনি। অন্যান্য বছর লঞ্চে এসে ডেকে একটু জায়গা নেওয়ার জন্য ভোরে এসে বসে থাকতে হতো। অথচ এবার বিকেল হয়ে গেলেও লঞ্চে ডেকের অর্ধেক এখনো খালি রয়েছে। আশা করছি, এবার নিরাপদে ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারব।’ 

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য বছর এই সময়টায় দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের ভিড় লেগে থাকত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। ২৭ রমজানের পর টার্মিনালের পন্টুনে তিল ধারণে ঠাঁই থাকত না, তবে গত দুই বছর ধরে চিত্র ভিন্ন। সদরঘাটে যাত্রী চাপ একেবারেই কমে গেছে। 

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা ‘এবারের চিত্র তো আরও ভয়াবহ। অন্যান্য বছর এমন সময় লঞ্চের অগ্রিম টিকিটের ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে যেত। আর এবার লঞ্চের অগ্রিম টিকিটের প্রতি যাত্রীদের কোনো সাড়া নেই। এবার হয়তো দিনে এসে দিনেই লঞ্চের কেবিন নেওয়া যাবে।’ 

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে সদরঘাটে যাত্রী চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে, তবে সেটা স্বাভাবিক। এখনো অতিরিক্ত যাত্রী চাপ নেই। তবে গার্মেন্টস ছুটি হলে চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা নদী বন্দর থেকে ছেড়ে গেছে ২৮ লঞ্চ এবং ভিড়েছে ৩৭ টি। মোট ৭০টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ 

সদরঘাট টার্মিনালে প্রস্তুত ১২৬টি লঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা এদিকে আজ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে সদরঘাটের চিত্র পাল্টে গেছে। যাত্রী চাপ আগের তুলনায় কম হলেও, আমাদের কোনো নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ নেই। ছোট ছোট রুটগুলোতেও নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত ঢাকা নদী বন্দর থেকে ৭৬টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। ইতিমধ্যে ১২৬টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিরাপদ যাত্রীসেবার লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিড়াল মনিবকে কেন মৃত প্রাণী ‘উপহার’ দেয়

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

বৃষ্টি অপেক্ষায় রেখেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাহার করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত