নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
রাজধানীর দক্ষিণখানে মো. মাহবুবুর রহমান (৬২) নামের এক ব্যক্তি উম্মে হাবিবা আফরিন (৪০) নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নতুন সংসারে সন্তান নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন মাহবুবুর। তিনি নাতি-নাতনিকে নিয়েই সময় কাটাতেন বেশি। এতে আফরিন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মাহবুবুরের এক বছর বয়সী নাতিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শুক্রবার ভোরে দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ উত্তরপাড়ার নূরানী জামে মসজিদ রোডের ৬৬৭ নম্বর বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎ দাদি উম্মে হাবিবা আফরিনসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ওই শিশুর নাম মো. শেখ মাহতাব উদ্দিন মেহেমেত। সে মহিউদ্দিন বাপ্পি ও ইসরাত জাহান ইভা দম্পতির ছেলে। এর আগে আফরিন দুধে বিষ শিশুটিকে মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভিযোগ রয়েছে।
শিশুটির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দক্ষিণখানের গণকবরস্থানে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। নিহত শিশুটির মা, বাবা, নানি ও স্থানীয় এক বিচারক আজ শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শিশুটির পরিবারের দাবি, শিশুটির দাদা মো. মাহবুবুর রহমান (৬২) প্রায় তিন বছর পূর্বে উত্তরখানের রাজাবাড়ী এলাকার উম্মে হাবিবা আফরিন (৪০) নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পরও দাদা নাতি-নাতনিকে আদর করতেন। রাতদিন তাদের সঙ্গেই খেলাধুলা করতেন। বড় বড় সন্তান ও নাতি-নাতনি থাকায় আর সন্তান নিতে চাননি।
এদিকে সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন আফরিন। তাঁর ধারণা ছিল নাতিকে সরিয়ে দিলেই তাঁকে সময় দেবে এবং তিনিও সন্তানের মা হবেন। এই প্রতিহিংসা থেকেই দ্বিতীয় দফায় চেষ্টা চালিয়ে শিশুটিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোতলা বাড়ির উত্তর-পূর্ব পাশের কোণার রুমের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত মেহমেত। তাদের রুমের জানালা ছিল রাস্তার পাশে। পশ্চিম পাশের রুমে দাদা থাকেন। দক্ষিণ পাশে চাচার রুম। তাঁর দক্ষিণের গেটের সামনের রুমে স্বমলা নামের একজন ভাড়াটিয়া থাকেন। ঘটনাস্থলের রুমটিতে পুলিশ ক্রাইম সিনের আলামতের জন্য তালাবদ্ধ করে রেখেছে। পাশের রুমেই কান্না করছিলেন শিশুটির নানি মোছা. রোসমা বেগম।
শিশুটির মা ইসরাত জাহান ইভা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত জুলাই মাসের ২৭ তারিখে প্রথমে আমার ছেলেকে দুধের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরে সর্বশেষ ছেলেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। সেখানে চার দিন চিকিৎসার পর সুস্থ করে বাসায় নিয়ে আসি। তখন চিকিৎসকেরা জানায় দুধের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল।’
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইভা বলেন, ‘সকালে গ্যাস থাকে না। যার কারণে আজ (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রান্নার জন্য ঘুম থেকে উঠি। যখন রান্নাবাড়া করছিলাম, তখন বাবুর চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখি—আমার বাবার শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। ওর নাড়ি বেরিয়ে গেছে। পরে আমি চিৎকার করে বাবুর দাদাকে ডেকে তুলি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই বাবু মারা যায়।’
ইভা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে নানার বাড়ি টাঙ্গাইলে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী আবদুল্লাহপুরের মাছের আড়তে কাজে ছিল। রুমে আমি ছেলে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। ছেলে শরীর থেকে ঘাম ঝরছে। যার কারণে জানালার থাই গ্লাস খুলে দিয়েছিলাম। এই জানালা খুলে দেওয়াই হলো কাল হলো আমার। জানালা দিয়ে ছুরিকাঘাত করে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’
কে কেন হত্যা করল—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরাত জাহান ইভা বলেন, ‘আমার দুই সন্তানকে তার দাদা অনেক আদর করত। ওদের নিয়েই সব সময় খেলাধুলা করত। এদিকে বাবুর সৎ দাদিও বাচ্চা নেওয়ার জন্য পাগল ছিল, বিভিন্ন সময় চাপ দিত। কিন্তু বড় বড় সন্তান থাকায় দাদা আর সন্তান নেয়নি। যার কারণে মনে করছে, মেহেমেতকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলেই সৎ দাদিকে সন্তান দেবে তাঁর দাদা।’
ইভা আরও বলেন, ‘বাবুর সৎ দাদি উম্মে হাবিবা আফরিন (৪০), তার মা নিলুফা ইয়াসমিন সাথি (৬০) ও তার ছোট ভাই সিয়াম (২৩) এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আফরিন ও সাথির পরিকল্পনা অনুযায়ী সিয়াম ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।’
শিশুটির দাদা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জুলাই মাসে বিষ খাওয়ানোর আগে আমার বউ আফরিন জিজ্ঞাসা করছিল, তোমার জান কে? তখন উত্তরে আমি বলেছিলাম নাতি। তখন বউ বলছিল, আমি তাহলে তোমার কে? উত্তরে বউ বলা হয়েছিল। ওই সময় আফরিনও বলেছিল, তার সন্তান লাগবে। কিন্তু আমি বলছিলাম, ছেলেরা বড় হয়ে গেছে, এখন কি করে সম্ভব? এই নিয়ে আমাদের মধ্যে মমনমালিন্য চলছিল। যার থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বলে আমার ধারণা।’
শিশুটির নানি মোছা. রোসমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই মাসে যেদিন রাতে মেহেমেতকে বিষ খাওয়ায়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, ওই দিন সন্ধ্যায়ও আমি আমার কলিজার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। আমার মেয়ে রাতে পিঠা ভেজে নাতি নাতনিকে দুধ খাওয়ার জন্য তিনটি ফিডারে তাল মিছরি দিয়ে রেখেছিল। পরে গরুর দুধ গরম বসিয়ে দিয়ে মেয়েকে খাবার খাইয়েছিল।
‘এই সময়ের মধ্যেই ওদের সৎ দাদি দুই বাচ্চাকে মেরে ফেলার জন্য দুধে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। দুটি ফিটারের একটি মেহেমেতের জন্য, দুটি মুনতাহার জন্য। রাতে যখন মেহেমেতকে দুধ খাইয়েছে, তখন ও জানি কেমন শুরু করে, আর হাত-পা আছড়াইছে। তখন আমার মেয়ে নাতনিকে ফিডার খাওয়াইতে মানা করেছিল তার দাদাকে। ওই সময় তার দাদি পাশের রুমে থাকা সত্ত্বেও কাছেও যায় নাই। একবারও কিছুই জিজ্ঞাসা করে নাই। শুধু মুচকি হাসি দিছে।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় মোড়ল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাচ্চাটির সৎ দাদি যখন ওকে বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিল, তখন আমি বিচার সালিস করেছিলাম। গত তিন মাস আগের বিচারে ওর সৎ দাদিকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে আমার ধারণা। ওই পরিকল্পনা থেকেই ওর সৎ দাদি ও তার সহযোগীরা মিলে বাবুটিকে হত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটির মা ও তাঁর সৎ শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। যার কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি শিশুটির স্বজনদের। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ দাদীসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা হবে।’
রাজধানীর দক্ষিণখানে মো. মাহবুবুর রহমান (৬২) নামের এক ব্যক্তি উম্মে হাবিবা আফরিন (৪০) নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নতুন সংসারে সন্তান নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন মাহবুবুর। তিনি নাতি-নাতনিকে নিয়েই সময় কাটাতেন বেশি। এতে আফরিন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মাহবুবুরের এক বছর বয়সী নাতিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শুক্রবার ভোরে দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ উত্তরপাড়ার নূরানী জামে মসজিদ রোডের ৬৬৭ নম্বর বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎ দাদি উম্মে হাবিবা আফরিনসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ওই শিশুর নাম মো. শেখ মাহতাব উদ্দিন মেহেমেত। সে মহিউদ্দিন বাপ্পি ও ইসরাত জাহান ইভা দম্পতির ছেলে। এর আগে আফরিন দুধে বিষ শিশুটিকে মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভিযোগ রয়েছে।
শিশুটির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দক্ষিণখানের গণকবরস্থানে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। নিহত শিশুটির মা, বাবা, নানি ও স্থানীয় এক বিচারক আজ শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শিশুটির পরিবারের দাবি, শিশুটির দাদা মো. মাহবুবুর রহমান (৬২) প্রায় তিন বছর পূর্বে উত্তরখানের রাজাবাড়ী এলাকার উম্মে হাবিবা আফরিন (৪০) নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পরও দাদা নাতি-নাতনিকে আদর করতেন। রাতদিন তাদের সঙ্গেই খেলাধুলা করতেন। বড় বড় সন্তান ও নাতি-নাতনি থাকায় আর সন্তান নিতে চাননি।
এদিকে সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন আফরিন। তাঁর ধারণা ছিল নাতিকে সরিয়ে দিলেই তাঁকে সময় দেবে এবং তিনিও সন্তানের মা হবেন। এই প্রতিহিংসা থেকেই দ্বিতীয় দফায় চেষ্টা চালিয়ে শিশুটিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোতলা বাড়ির উত্তর-পূর্ব পাশের কোণার রুমের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত মেহমেত। তাদের রুমের জানালা ছিল রাস্তার পাশে। পশ্চিম পাশের রুমে দাদা থাকেন। দক্ষিণ পাশে চাচার রুম। তাঁর দক্ষিণের গেটের সামনের রুমে স্বমলা নামের একজন ভাড়াটিয়া থাকেন। ঘটনাস্থলের রুমটিতে পুলিশ ক্রাইম সিনের আলামতের জন্য তালাবদ্ধ করে রেখেছে। পাশের রুমেই কান্না করছিলেন শিশুটির নানি মোছা. রোসমা বেগম।
শিশুটির মা ইসরাত জাহান ইভা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত জুলাই মাসের ২৭ তারিখে প্রথমে আমার ছেলেকে দুধের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরে সর্বশেষ ছেলেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। সেখানে চার দিন চিকিৎসার পর সুস্থ করে বাসায় নিয়ে আসি। তখন চিকিৎসকেরা জানায় দুধের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল।’
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইভা বলেন, ‘সকালে গ্যাস থাকে না। যার কারণে আজ (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রান্নার জন্য ঘুম থেকে উঠি। যখন রান্নাবাড়া করছিলাম, তখন বাবুর চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখি—আমার বাবার শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। ওর নাড়ি বেরিয়ে গেছে। পরে আমি চিৎকার করে বাবুর দাদাকে ডেকে তুলি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই বাবু মারা যায়।’
ইভা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে নানার বাড়ি টাঙ্গাইলে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী আবদুল্লাহপুরের মাছের আড়তে কাজে ছিল। রুমে আমি ছেলে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। ছেলে শরীর থেকে ঘাম ঝরছে। যার কারণে জানালার থাই গ্লাস খুলে দিয়েছিলাম। এই জানালা খুলে দেওয়াই হলো কাল হলো আমার। জানালা দিয়ে ছুরিকাঘাত করে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’
কে কেন হত্যা করল—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরাত জাহান ইভা বলেন, ‘আমার দুই সন্তানকে তার দাদা অনেক আদর করত। ওদের নিয়েই সব সময় খেলাধুলা করত। এদিকে বাবুর সৎ দাদিও বাচ্চা নেওয়ার জন্য পাগল ছিল, বিভিন্ন সময় চাপ দিত। কিন্তু বড় বড় সন্তান থাকায় দাদা আর সন্তান নেয়নি। যার কারণে মনে করছে, মেহেমেতকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলেই সৎ দাদিকে সন্তান দেবে তাঁর দাদা।’
ইভা আরও বলেন, ‘বাবুর সৎ দাদি উম্মে হাবিবা আফরিন (৪০), তার মা নিলুফা ইয়াসমিন সাথি (৬০) ও তার ছোট ভাই সিয়াম (২৩) এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আফরিন ও সাথির পরিকল্পনা অনুযায়ী সিয়াম ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমার স্বামী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।’
শিশুটির দাদা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জুলাই মাসে বিষ খাওয়ানোর আগে আমার বউ আফরিন জিজ্ঞাসা করছিল, তোমার জান কে? তখন উত্তরে আমি বলেছিলাম নাতি। তখন বউ বলছিল, আমি তাহলে তোমার কে? উত্তরে বউ বলা হয়েছিল। ওই সময় আফরিনও বলেছিল, তার সন্তান লাগবে। কিন্তু আমি বলছিলাম, ছেলেরা বড় হয়ে গেছে, এখন কি করে সম্ভব? এই নিয়ে আমাদের মধ্যে মমনমালিন্য চলছিল। যার থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বলে আমার ধারণা।’
শিশুটির নানি মোছা. রোসমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই মাসে যেদিন রাতে মেহেমেতকে বিষ খাওয়ায়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, ওই দিন সন্ধ্যায়ও আমি আমার কলিজার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। আমার মেয়ে রাতে পিঠা ভেজে নাতি নাতনিকে দুধ খাওয়ার জন্য তিনটি ফিডারে তাল মিছরি দিয়ে রেখেছিল। পরে গরুর দুধ গরম বসিয়ে দিয়ে মেয়েকে খাবার খাইয়েছিল।
‘এই সময়ের মধ্যেই ওদের সৎ দাদি দুই বাচ্চাকে মেরে ফেলার জন্য দুধে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। দুটি ফিটারের একটি মেহেমেতের জন্য, দুটি মুনতাহার জন্য। রাতে যখন মেহেমেতকে দুধ খাইয়েছে, তখন ও জানি কেমন শুরু করে, আর হাত-পা আছড়াইছে। তখন আমার মেয়ে নাতনিকে ফিডার খাওয়াইতে মানা করেছিল তার দাদাকে। ওই সময় তার দাদি পাশের রুমে থাকা সত্ত্বেও কাছেও যায় নাই। একবারও কিছুই জিজ্ঞাসা করে নাই। শুধু মুচকি হাসি দিছে।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় মোড়ল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাচ্চাটির সৎ দাদি যখন ওকে বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিল, তখন আমি বিচার সালিস করেছিলাম। গত তিন মাস আগের বিচারে ওর সৎ দাদিকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে আমার ধারণা। ওই পরিকল্পনা থেকেই ওর সৎ দাদি ও তার সহযোগীরা মিলে বাবুটিকে হত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটির মা ও তাঁর সৎ শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। যার কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি শিশুটির স্বজনদের। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ দাদীসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা হবে।’
নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
৩৩ মিনিট আগে