মাদারীপুর প্রতিনিধি
নিজের তৈরি করে রেখে যাওয়া কবরে দাফন করা হয়নি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। এমনকি তাঁর মরদেহও আনা হয়নি পৈতৃক ভিটায়। স্ত্রী ও দুই মেয়ের সিদ্ধান্তে তাঁকে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় শ্বশুরবাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে।
এদিকে প্রিয় নেতার মরদেহ একনজর দেখার জন্য মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার এলাকার পৈতৃক ভিটায় হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। আজ বেলা ১১টার দিকে ডাসারবাসী জানতে পারেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে আর পৈতৃক ভিটায় নিয়ে আসা হবে না।
এই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পরে এলাকাবাসী ও নেতা-কর্মীরা ডাসার উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ বাদ জুমা মাদারীপুর ডাসারে নিজ প্রতিষ্ঠিত মসজিদে মাঠে সৈয়দ আবুল হোসেনের জানাজা হওয়ার কথা ছিল। তাই ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা ডাসারে আবুল হোসেনের পৈতৃক ভিটা ও মসজিদ মাঠে ভিড় করতে থাকেন।
হঠাৎ বেলা ১১টার দিকে তাঁরা জানতে পারেন প্রিয় নেতার মরদেহ ডাসারে আসবে না। স্ত্রী খাজা নার্গিস হোসেন ও দুই মেয়ের সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেনের সিদ্ধান্তে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে শ্বশুরবাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। এতে মাদারীপুর-৩ (মাদারীপুর সদর একাংশ-কালকিনি-ডাসার উপজেলা) আসনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সৈয়দ আবুল হোসেন নিজে গড়েছিলেন তাঁর কবর। পাশে তৈরি করেছেন দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। যাতে ব্যয় হয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। সাত বছর আগে এই দুটি স্থাপনা তৈরি করেছেন তিনি।
ডাসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার ১৯৮৮ সাল থেকে পরিচয়। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পৈতৃক ভিটায় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও নিজের হাতে কবর তৈরি করে রেখেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ও ইচ্ছে ছিল এই কবরে থাকার। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যরা তা হতে দিলেন না। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা কিছুইতে এটা মানতে পারছি না।’
ডাসার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতাকে আমরা শেষবারের মতো দেখতে পেলাম না। তাঁর পরিবার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
কালকিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আবুল হোসেন তাঁর পৈতৃক ভিটার তাঁর বাবা ও মায়ের কবরের পাশে নিজেই তাঁর কবর তৈরি করেছিলেন। অনেক টাকা ব্যয় করে কবরটি তৈরি করেছিলেন। এমনকি কী টাইলস হবে, কী কাঠ হবে সবকিছু তিনি ঠিকাদারকে বলেও রেখেছিলেন। ছয় মাস ধরে কবরটির উন্নয়নকাজও চলছিল। অথচ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন না।’
সৈয়দ আবুল হোসেনের ছোট ভাই ডা. সৈয়দ আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি আমার ভাইয়ের মরদেহ ডাসারে আনার জন্য। কিন্তু আমরা তা পারিনি। আমার ভাইয়ের স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দাফন করা হয়েছে।’
কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা বহু চেষ্টা করেও আমাদের প্রিয় নেতার মরদেহ ডাসারে আনতে পারিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সৈয়দ আবুল হোসেনকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দ আবুল হোসেন। ১৯৫১ সালে মাদারীপুরের ডাসারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে খাজা নার্গিস হোসেনকে বিয়ে করেন। সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন এই দুই কন্যা থাকেন দেশের বাইরে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল হোসেন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এ ছাড়া তিনি কালকিনি, ডাসার ও মাদারীপুর সদরে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে গেছেন। যার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজ, ডিকে আতাহার আলী কলেজ, খোয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, এবিসি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, খাসেরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ প্রমুখ।
নিজের তৈরি করে রেখে যাওয়া কবরে দাফন করা হয়নি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। এমনকি তাঁর মরদেহও আনা হয়নি পৈতৃক ভিটায়। স্ত্রী ও দুই মেয়ের সিদ্ধান্তে তাঁকে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় শ্বশুরবাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে।
এদিকে প্রিয় নেতার মরদেহ একনজর দেখার জন্য মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার এলাকার পৈতৃক ভিটায় হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। আজ বেলা ১১টার দিকে ডাসারবাসী জানতে পারেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে আর পৈতৃক ভিটায় নিয়ে আসা হবে না।
এই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পরে এলাকাবাসী ও নেতা-কর্মীরা ডাসার উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ বাদ জুমা মাদারীপুর ডাসারে নিজ প্রতিষ্ঠিত মসজিদে মাঠে সৈয়দ আবুল হোসেনের জানাজা হওয়ার কথা ছিল। তাই ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা ডাসারে আবুল হোসেনের পৈতৃক ভিটা ও মসজিদ মাঠে ভিড় করতে থাকেন।
হঠাৎ বেলা ১১টার দিকে তাঁরা জানতে পারেন প্রিয় নেতার মরদেহ ডাসারে আসবে না। স্ত্রী খাজা নার্গিস হোসেন ও দুই মেয়ের সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেনের সিদ্ধান্তে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে শ্বশুরবাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। এতে মাদারীপুর-৩ (মাদারীপুর সদর একাংশ-কালকিনি-ডাসার উপজেলা) আসনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সৈয়দ আবুল হোসেন নিজে গড়েছিলেন তাঁর কবর। পাশে তৈরি করেছেন দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। যাতে ব্যয় হয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। সাত বছর আগে এই দুটি স্থাপনা তৈরি করেছেন তিনি।
ডাসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার ১৯৮৮ সাল থেকে পরিচয়। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পৈতৃক ভিটায় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও নিজের হাতে কবর তৈরি করে রেখেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ও ইচ্ছে ছিল এই কবরে থাকার। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যরা তা হতে দিলেন না। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা কিছুইতে এটা মানতে পারছি না।’
ডাসার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতাকে আমরা শেষবারের মতো দেখতে পেলাম না। তাঁর পরিবার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
কালকিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আবুল হোসেন তাঁর পৈতৃক ভিটার তাঁর বাবা ও মায়ের কবরের পাশে নিজেই তাঁর কবর তৈরি করেছিলেন। অনেক টাকা ব্যয় করে কবরটি তৈরি করেছিলেন। এমনকি কী টাইলস হবে, কী কাঠ হবে সবকিছু তিনি ঠিকাদারকে বলেও রেখেছিলেন। ছয় মাস ধরে কবরটির উন্নয়নকাজও চলছিল। অথচ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন না।’
সৈয়দ আবুল হোসেনের ছোট ভাই ডা. সৈয়দ আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি আমার ভাইয়ের মরদেহ ডাসারে আনার জন্য। কিন্তু আমরা তা পারিনি। আমার ভাইয়ের স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দাফন করা হয়েছে।’
কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা বহু চেষ্টা করেও আমাদের প্রিয় নেতার মরদেহ ডাসারে আনতে পারিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সৈয়দ আবুল হোসেনকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দ আবুল হোসেন। ১৯৫১ সালে মাদারীপুরের ডাসারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে খাজা নার্গিস হোসেনকে বিয়ে করেন। সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন এই দুই কন্যা থাকেন দেশের বাইরে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল হোসেন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এ ছাড়া তিনি কালকিনি, ডাসার ও মাদারীপুর সদরে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে গেছেন। যার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজ, ডিকে আতাহার আলী কলেজ, খোয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, এবিসি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, খাসেরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ প্রমুখ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাজমা মোবারেককে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে নতুন কাউকে পদায়ন করা
১৬ মিনিট আগেবেরোবির সব বিভাগে বাংলাদেশ স্টাডিজ নামক কোর্সে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯ মিনিট আগেসাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মুহাম্মাদ মোহসিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
১৯ মিনিট আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মামলা-সংক্রান্ত বিরোধে বাগ্বিতণ্ডায় এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বাবা-ছেলে ও ভাতিজা। মারধরের সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। এ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
২৮ মিনিট আগে