নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর প্রশ্ন সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা সাজেদুল ইসলাম। তিনি অফিস সহায়ক (ডেসপাস)। চক্রের সব সদস্যদের ধার্য করা নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের জোগাড় করতেন।
আসামিরা জবানবন্দিতে আরও বলেছেন, প্রশ্নপত্র সংগ্রহের পর তা পিএসসির গাড়ি চালক আবেদ আলীর কাছে রাখা হতো। আবেদ আলী চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতেন। সূত্রটি আরও জানায়, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই তাঁরা ফাঁস করেন। তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলেও স্বীকার করেন।
জবানবন্দি দেওয়া আবেদ আলী ছাড়াও অপর ৫ জন হলেন পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডেসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন, সাইম হোসেন ও লিটন সরকার।
বেলা ১টার দিকে ১৭ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক জুয়েল চাকমা সাতজনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। তাঁদের সাতজনকে বিচারকের খাস কামরায় পাঠানো হয়।
বিচারকেরা হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী, শান্ত ইসলাম মল্লিক, শাকিল আহমেদ, মেহেদী হাসান, আলী হায়দার ও মাহবুব আহমেদ।
সাতজনের মধ্যে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন।
অন্য ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। ওই ১০ জন হলেন পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবীর, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। এই ১০ জনকে শুনানি শেষে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।
যে ছয়জন জবানবন্দি দিয়েছেন এবং যিনি জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেছেন, তাঁদের সবাইকে সন্ধ্যার পর কারাগারে পাঠানো হয়।
গত রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে।
পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করে সিআইডি। আটকের পর পুলিশের কাছে এরা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাত ১২টার পর সিআইডি পুলিশের এসআই নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আগে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সেটা প্রকাশ করেন এবং বিতরণ করেন। বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পিএসসির বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে এই অসাধু চক্রটি জড়িত।
পলাতক ১৪ জন
পলাতক ১৪ জন হলেন পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বণিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, একেএম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মোহাম্মদ গোলাম হামিদুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর প্রশ্ন সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা সাজেদুল ইসলাম। তিনি অফিস সহায়ক (ডেসপাস)। চক্রের সব সদস্যদের ধার্য করা নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের জোগাড় করতেন।
আসামিরা জবানবন্দিতে আরও বলেছেন, প্রশ্নপত্র সংগ্রহের পর তা পিএসসির গাড়ি চালক আবেদ আলীর কাছে রাখা হতো। আবেদ আলী চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতেন। সূত্রটি আরও জানায়, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই তাঁরা ফাঁস করেন। তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলেও স্বীকার করেন।
জবানবন্দি দেওয়া আবেদ আলী ছাড়াও অপর ৫ জন হলেন পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডেসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন, সাইম হোসেন ও লিটন সরকার।
বেলা ১টার দিকে ১৭ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক জুয়েল চাকমা সাতজনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। তাঁদের সাতজনকে বিচারকের খাস কামরায় পাঠানো হয়।
বিচারকেরা হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী, শান্ত ইসলাম মল্লিক, শাকিল আহমেদ, মেহেদী হাসান, আলী হায়দার ও মাহবুব আহমেদ।
সাতজনের মধ্যে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন।
অন্য ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। ওই ১০ জন হলেন পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবীর, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। এই ১০ জনকে শুনানি শেষে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।
যে ছয়জন জবানবন্দি দিয়েছেন এবং যিনি জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেছেন, তাঁদের সবাইকে সন্ধ্যার পর কারাগারে পাঠানো হয়।
গত রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে।
পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করে সিআইডি। আটকের পর পুলিশের কাছে এরা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাত ১২টার পর সিআইডি পুলিশের এসআই নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আগে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সেটা প্রকাশ করেন এবং বিতরণ করেন। বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পিএসসির বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে এই অসাধু চক্রটি জড়িত।
পলাতক ১৪ জন
পলাতক ১৪ জন হলেন পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বণিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, একেএম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মোহাম্মদ গোলাম হামিদুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।
চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মো. আলম নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর-পতেঙ্গা) আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আ
৭ মিনিট আগেদীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। আজ বুধবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ভোট গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে
২৮ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পৌর শহরের পূর্ব বাজার এলাকার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৩ মিনিট আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা ধরে রাখা জনগণ হয়তো সন্দেহের চোখে দেখছে। দ্রুত উল্লেখযোগ্য সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এ সরকারের প্রধান কাজ।’
৩৩ মিনিট আগে