নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের টেন্ডার জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষতিসাধনের মামলায় মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুই আসামি হলেন মো. রবিউল করিম (৪৫) ও শান্তনু কুমার দাশ (৪৬)।
বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে গুলশান থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিলাল আল আজাদ প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অপর দিকে আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির (মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লি.) চাকরির বিধি অনুযায়ী চাকরি করাকালীন কোনো কর্মচারী সমজাতীয় পণ্যের ব্যবসা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি জাপানি কোম্পানি ফুজি ফিল্ম এবং সেমাজুয়ের একক পরিবেশক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে।
১ নম্বর আসামি মো. রবিউল করিমকে কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
১ এপ্রিল প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশের মাধ্যমে কোম্পানি জানতে পারে ১ নম্বর আসামি কোম্পানিতে কর্মরত থাকাবস্থায় সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধভাবে এবং সরকারি সংস্থার কাছে তথ্য গোপন করে প্রতারণা ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে অপর একটি প্রতিষ্ঠান দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। সেই প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং ব্যবস্থাপনার অংশীদার হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
এ ছাড়া তিনি প্রযুক্তি ইন্টারন্যাশনাল নামে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে কোম্পানি জানতে পারে ২ নম্বর আসামি তথা শান্তনু কুমার দাশ আসামি রবিউলের ব্যবসায়ী অংশীদার হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে এমন বেআইনি কাজ করছেন।
আসামি রবিউল কোম্পানির লেটার হেড জাল করে, জাল স্বাক্ষর করে প্রতারণামূলকভাবে ১৩ এপ্রিল প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে একটি চিঠি ইস্যু করেন এবং উল্লেখ করেন, তিনি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে আছেন।
তথ্য গোপন করে ১ নম্বর আসামি তাঁর ব্যক্তিগত এবং দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল নামে কোম্পানি মেডি গ্রাফিক কোম্পানির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং আসামিরা বিভিন্ন নামে বেনামে অনেক সম্পত্তি অর্জন করেন।
যদিও তাঁরা সামান্য বেতনে কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে আসামি রবিউল ঢাকার মধ্যে বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাট, রংপুরে বাগানবাড়ি, নাটোর ৫০ বিঘা জমির মালিক হন। আসামিদের কাছে মালামাল বিক্রয়ের হিসাব চাওয়া হলে তাঁরা হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। আসামি শান্তনু বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ও বেআইনিভাবে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট,দুটি প্লট, গাড়ি ও ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা নামে-বেনামে জমা রাখেন।
আসামিরা দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লি. থেকে সম্পূর্ণ খরচ দেখিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করতেন। ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তথ্য গোপন করে মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এবং ব্যবসায়িক প্রায় ৩০ কোটি ক্ষতিসাধন করেন।
এ ঘটনায় মেডি গ্রাফিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ জাকির হোসেন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার উদ্দেশ্য জাল-জালিয়াতি, নকল দলিল ব্যবহার, কোম্পানির অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের টেন্ডার জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষতিসাধনের মামলায় মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুই আসামি হলেন মো. রবিউল করিম (৪৫) ও শান্তনু কুমার দাশ (৪৬)।
বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে গুলশান থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিলাল আল আজাদ প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অপর দিকে আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির (মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লি.) চাকরির বিধি অনুযায়ী চাকরি করাকালীন কোনো কর্মচারী সমজাতীয় পণ্যের ব্যবসা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি জাপানি কোম্পানি ফুজি ফিল্ম এবং সেমাজুয়ের একক পরিবেশক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে।
১ নম্বর আসামি মো. রবিউল করিমকে কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
১ এপ্রিল প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশের মাধ্যমে কোম্পানি জানতে পারে ১ নম্বর আসামি কোম্পানিতে কর্মরত থাকাবস্থায় সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধভাবে এবং সরকারি সংস্থার কাছে তথ্য গোপন করে প্রতারণা ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে অপর একটি প্রতিষ্ঠান দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। সেই প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং ব্যবস্থাপনার অংশীদার হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
এ ছাড়া তিনি প্রযুক্তি ইন্টারন্যাশনাল নামে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে কোম্পানি জানতে পারে ২ নম্বর আসামি তথা শান্তনু কুমার দাশ আসামি রবিউলের ব্যবসায়ী অংশীদার হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে এমন বেআইনি কাজ করছেন।
আসামি রবিউল কোম্পানির লেটার হেড জাল করে, জাল স্বাক্ষর করে প্রতারণামূলকভাবে ১৩ এপ্রিল প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে একটি চিঠি ইস্যু করেন এবং উল্লেখ করেন, তিনি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে আছেন।
তথ্য গোপন করে ১ নম্বর আসামি তাঁর ব্যক্তিগত এবং দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল নামে কোম্পানি মেডি গ্রাফিক কোম্পানির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং আসামিরা বিভিন্ন নামে বেনামে অনেক সম্পত্তি অর্জন করেন।
যদিও তাঁরা সামান্য বেতনে কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে আসামি রবিউল ঢাকার মধ্যে বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাট, রংপুরে বাগানবাড়ি, নাটোর ৫০ বিঘা জমির মালিক হন। আসামিদের কাছে মালামাল বিক্রয়ের হিসাব চাওয়া হলে তাঁরা হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। আসামি শান্তনু বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ও বেআইনিভাবে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট,দুটি প্লট, গাড়ি ও ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা নামে-বেনামে জমা রাখেন।
আসামিরা দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের নামে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লি. থেকে সম্পূর্ণ খরচ দেখিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করতেন। ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তথ্য গোপন করে মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এবং ব্যবসায়িক প্রায় ৩০ কোটি ক্ষতিসাধন করেন।
এ ঘটনায় মেডি গ্রাফিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ জাকির হোসেন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার উদ্দেশ্য জাল-জালিয়াতি, নকল দলিল ব্যবহার, কোম্পানির অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মো. আলম নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর-পতেঙ্গা) আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আ
৫ মিনিট আগেদীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। আজ বুধবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ভোট গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে
২৬ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পৌর শহরের পূর্ব বাজার এলাকার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা ধরে রাখা জনগণ হয়তো সন্দেহের চোখে দেখছে। দ্রুত উল্লেখযোগ্য সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এ সরকারের প্রধান কাজ।’
৩১ মিনিট আগে