Ajker Patrika

পাহাড়ি এলাকায় উজাড় হচ্ছে বন, প্রযুক্তি প্রয়োগে সংরক্ষণ সম্ভব

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জে ‘বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

কর্মশালায় প্রযুক্তিসমূহ উপস্থাপন করেন বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. শেখ মোহাম্মদ রবিউল আলম ও বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মো. রওশন আলী। কর্মশালার র‍্যাপোর্টিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ শাখার ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর মিজানুর রহমান।

কর্মশালায় কিশোরগঞ্জের বন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিআরডিবি, সমবায় অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, তথ্য অফিস, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, কাঠ ব্যবসায়ী, নার্সারি ব্যবসায়ী, করাতকল ও ফার্নিচার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের আয়তনের মধ্যে শতকরা ১৭ দশমিক ৪ ভাগ বন আচ্ছাদিত। আবার এই ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বনভূমির মধ্যে শতকরা প্রায় ৫ ভাগ পাহাড়ি বন এবং শতকরা প্রায় ২ ভাগ গ্রামীণ বন রয়েছে। পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণ তাঁদের জীবন ধারণের জন্য বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। বনজ বৃক্ষ উজাড় করে তাঁরা জুমচাষ করছেন। ফলে পাহাড় ধ্বংসে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এ সীমিত বনজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা সম্ভব। ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বন ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর উদ্ভাবিত ১১০টি প্রযুক্তির মধ্যে ৪০টি ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে রয়েছে। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সারা দেশে স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ চাইলে ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে সহায়তা।

কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত