‘আয়নাঘরে’ বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন স্বজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২: ২৫

‘আয়নাঘরে’ বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় মানববন্ধনকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর মধ্যে—‘আয়না ঘর-আয়না ঘর, গুঁড়িয়ে গুঁড়িয়ে দাও’; ‘আমাদের দাবি-আমাদের দাবি, মানতে হবে’; ‘মুক্তি চাই-মুক্তি, বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।’ 

মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম। ২০১৩ সালে বাড়ির পাশে চা দোকান থেকে তাঁর বাবা বেল্লাল হোসেনকে র‍্যাব-১১ তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে র‍্যাব এখনো তা স্বীকার করেনি। 

মুজাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা কি আদৌ বেঁচে আছেন কি না, আমরা সেই তথ্য জানতে চাই। আজ পর্যন্ত যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।’ 

‘আয়নাঘরে’ বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনেরা।আয়না ঘর একটি বর্বরতার চিহ্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আলো বাতাস ছাড়া একটি রুমে মানুষকে বন্দী না করে মেরে ফেলাই ভালো। তবে স্বজনেরা যে মারা গেছেন, সেটাও যেন জানানো হয়।’ 

কক্সবাজারের বাসিন্দা সাজেদুল কবির সাজেল। তাঁর মা রেজিয়া বেগম রেভী ও ১২ বছরের বোন আফসানা নুরী আলিয়া ২০১৫ সালে নিখোঁজ হন। তার দাবি-মা ও বোনকে তুলে নিয়েছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে বোনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তাঁর মা। তার মা একজন বিমা কর্মী ছিলেন। 

‘আয়নাঘরে’ বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনেরাসাজেদুল কবির সাজেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মা একজন বিমা কর্মী ছিলেন। তিনি হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কক্সবাজার বাজার সার্ভিস সেন্টারে কাজ করতেন। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে গাবতলি শ্যামলী পরিবহন কাউন্টার থেকে আমার মা ও আমার বোনকে তুলে নেওয়া হয়। আমার বোনকে ফিরে ফেলেও মাকে পাইনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমি মাকে ফেরত চাই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত