শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ৩৭

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এ মামলার চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমানকে জেরা করা শেষ হওয়ার পর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

পরে বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আগামী ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ মামলার চারজন আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন ও সাফাই সাক্ষীর দিন ধার্য করেন। ওইদিন ড. ইউনুসসহ চারজনকে আদালতে হাজির থাকতে হবে।

ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আদালতে চতুর্থ সাক্ষীকে জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী শুনানিতে অংশ নিন।

ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোমবার মামলার বাদীপক্ষের চতুর্থ ও শেষ সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে। এরপর আগামী ৯ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখা এবং সাফাই সাক্ষী দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছে।

গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর আজ তাকে আসামিপক্ষ জেরা করেন।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

গত ৬ জুন এই মামলায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনুসের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানালে হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করেন। পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের নামে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি দায়ের হওয়ার পর এটা বাতিলের জন্য ড. ইউনুস হাইকোর্টে আবেদন করেন।

একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন  করেন। আপিল বিভাগ গত ৮ মে ড. ইউনুসের আবেদন খারিজ করে দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত