নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ফলে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন। তবে ঈদ শেষে বৃহস্পতিবার যাঁরা বাস ও লঞ্চে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, শুক্রবার সকালে তাঁরা রাজধানীতে পৌঁছেছেন। কিন্তু গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীতে ফেরত যাত্রীরা।
শুক্রবার বিধিনিষেধের প্রথম দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় রাজধানী কিছুটা ফাঁকা। তবে সকালে যেসব যাত্রী ঢাকা ফিরেছেন তাঁদের পদচারণে মুখরিত ছিল রাজধানীর সড়ক।
রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নামার পরে বেশির ভাগ যাত্রী হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্য যাচ্ছেন। যানবাহন না পেয়ে অসংখ্য মানুষ হেঁটে কুড়িল বিশ্বরোড, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। এসব মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চে করে সদরঘাটে এসেছিলেন।
এমনিতেই বন্ধ গণপরিবহন। তার ওপর পর্যাপ্ত রিকশা না পাওয়াই অনেকেই ভ্যানে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এর মধ্যে নারী-শিশুরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। সদরঘাট থেকে দীর্ঘ পথ কেউ কেউ হেঁটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। বড় বড় ব্যাগ মাথায় নিয়ে ছুটছেন মানুষ। ঢাকাফেরত সবারই চোখেমুখে ছিল ভোগান্তি।
শরিফুল হাসান নামের এক যাত্রী বরিশাল থেকে ঢাকা এসেছেন, যাবেন আব্দুল্লাহপুর। রামপুরা এলাকায় তাঁর সঙ্গে কথা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বরিশাল থেকে লঞ্চে এসে সদরঘাট টার্মিনালে পৌঁছেছি ভোর চারটার দিকে। নামার পরে কোনো যানবাহন না পেয়ে মালিবাগ পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। এরপর একটি ভ্যানে রামপুরা এলাম, ভাড়া নিল ২০০ টাকা। এখন রামপুরা থেকে আব্দুল্লাহপুর কীভাবে যাব, সেটাই বুঝতে পারছি না। অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি।’
দক্ষিণাঞ্চল থেকে ফেরা আরেক যাত্রী নাজনীন আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় ভালোমতোই আসতে পেরেছি। সমস্যাটা হয়েছে সদরঘাট থেকে ঢাকার মধ্যে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গন্তব্যে যেতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে আমাকে। এমনিতেই আমার ছোট বাচ্চা, ব্যাগপত্র নিয়ে কীভাবে যাব। যে দু–একটা রিকশা পাওয়া যাচ্ছে ভাড়া চাচ্ছে তিন গুণ। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দেওয়ার অধিকার সরকারের নেই।’
ঈদের এক দিন পরেই বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণে ঢাকায় ফেরা বেশির ভাগ যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ হিসেবে যাত্রীরা বলছেন, ঈদের পরের দিন যারা ঢাকা আসতে রওনা হয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন সকালে পৌঁছাবেন। সুতরাং তাঁরা কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছাবেন, সেটা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। সিএনজিচালিত অটো, রিকশা কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উপায় না দেখে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।
তবে কিছু যাত্রী করোনার মধ্যেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পেরে ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। তাই ঢাকায় ফেরার পথের এই ভোগান্তিকে মেনে নিয়েছেন। ঢাকাফেরত যাত্রীরা বলছেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে হচ্ছে।
এদিকে একই অবস্থা গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়। দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো সকালে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার পরে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। যানবাহন না থাকায় হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিতে হচ্ছে তাঁদেরও। তবে রাজধানীর সড়কে রিকশার তুলনায় ভ্যানের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কঠোর বিধিনিষেধে শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আগের মতো বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। তবে ঢাকা ফেরা এসব সাধারণ মানুষদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোথাও কোনো ধরনের বাধা দিতে দেখা যায়নি। যে যাঁর মতো করে গন্তব্যে ফিরছেন।
আজ থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ফলে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন। তবে ঈদ শেষে বৃহস্পতিবার যাঁরা বাস ও লঞ্চে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, শুক্রবার সকালে তাঁরা রাজধানীতে পৌঁছেছেন। কিন্তু গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীতে ফেরত যাত্রীরা।
শুক্রবার বিধিনিষেধের প্রথম দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় রাজধানী কিছুটা ফাঁকা। তবে সকালে যেসব যাত্রী ঢাকা ফিরেছেন তাঁদের পদচারণে মুখরিত ছিল রাজধানীর সড়ক।
রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নামার পরে বেশির ভাগ যাত্রী হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্য যাচ্ছেন। যানবাহন না পেয়ে অসংখ্য মানুষ হেঁটে কুড়িল বিশ্বরোড, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। এসব মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চে করে সদরঘাটে এসেছিলেন।
এমনিতেই বন্ধ গণপরিবহন। তার ওপর পর্যাপ্ত রিকশা না পাওয়াই অনেকেই ভ্যানে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এর মধ্যে নারী-শিশুরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। সদরঘাট থেকে দীর্ঘ পথ কেউ কেউ হেঁটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। বড় বড় ব্যাগ মাথায় নিয়ে ছুটছেন মানুষ। ঢাকাফেরত সবারই চোখেমুখে ছিল ভোগান্তি।
শরিফুল হাসান নামের এক যাত্রী বরিশাল থেকে ঢাকা এসেছেন, যাবেন আব্দুল্লাহপুর। রামপুরা এলাকায় তাঁর সঙ্গে কথা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বরিশাল থেকে লঞ্চে এসে সদরঘাট টার্মিনালে পৌঁছেছি ভোর চারটার দিকে। নামার পরে কোনো যানবাহন না পেয়ে মালিবাগ পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। এরপর একটি ভ্যানে রামপুরা এলাম, ভাড়া নিল ২০০ টাকা। এখন রামপুরা থেকে আব্দুল্লাহপুর কীভাবে যাব, সেটাই বুঝতে পারছি না। অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি।’
দক্ষিণাঞ্চল থেকে ফেরা আরেক যাত্রী নাজনীন আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় ভালোমতোই আসতে পেরেছি। সমস্যাটা হয়েছে সদরঘাট থেকে ঢাকার মধ্যে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গন্তব্যে যেতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে আমাকে। এমনিতেই আমার ছোট বাচ্চা, ব্যাগপত্র নিয়ে কীভাবে যাব। যে দু–একটা রিকশা পাওয়া যাচ্ছে ভাড়া চাচ্ছে তিন গুণ। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দেওয়ার অধিকার সরকারের নেই।’
ঈদের এক দিন পরেই বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণে ঢাকায় ফেরা বেশির ভাগ যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ হিসেবে যাত্রীরা বলছেন, ঈদের পরের দিন যারা ঢাকা আসতে রওনা হয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন সকালে পৌঁছাবেন। সুতরাং তাঁরা কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছাবেন, সেটা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। সিএনজিচালিত অটো, রিকশা কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উপায় না দেখে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।
তবে কিছু যাত্রী করোনার মধ্যেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পেরে ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। তাই ঢাকায় ফেরার পথের এই ভোগান্তিকে মেনে নিয়েছেন। ঢাকাফেরত যাত্রীরা বলছেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে হচ্ছে।
এদিকে একই অবস্থা গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়। দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো সকালে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার পরে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। যানবাহন না থাকায় হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিতে হচ্ছে তাঁদেরও। তবে রাজধানীর সড়কে রিকশার তুলনায় ভ্যানের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কঠোর বিধিনিষেধে শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আগের মতো বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। তবে ঢাকা ফেরা এসব সাধারণ মানুষদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোথাও কোনো ধরনের বাধা দিতে দেখা যায়নি। যে যাঁর মতো করে গন্তব্যে ফিরছেন।
পিরোজপুরে ধর্ষণ মামলায় শামীম মৃধা (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহম্মদ আসাদুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
৪ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সনাতনী শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করেন তারা।
১০ মিনিট আগেরাজবাড়ীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী লতিফ কাজীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
১৩ মিনিট আগেবরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পুরো বিভাগে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫২ জনের মৃত্যু হলো।
২৪ মিনিট আগে