Ajker Patrika

ঢাবি শিক্ষককে মারধর, পা ধরে মাফ চাইলেন বাসের চালক-সহকারী

ঢাবি সংবাদদাতা
শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী ঢাবি শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন বাসের চালক ও সহকারীকে। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী ঢাবি শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন বাসের চালক ও সহকারীকে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে যাত্রী ওঠানোর জন্য দীর্ঘক্ষণ বাস দাঁড় করিয়ে রাখার প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণিত বিভাগের প্রভাষক আদীব শাহরিয়ার জামানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে। পরে ঢাবি শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানীর মিরপুরে বাসের মালিকসহ ‘মিরপুর সুপার লিংক’ এর পাঁচটি বাস জব্দ করে। পরে বাসের ওই চালক ও তাঁর সহকারীকে এনে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন তাঁরা।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার সড়কে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসচালকের নাম মো. সেলিম এবং বাসমালিকের নাম মো. হাসান।

মারধরের বিষয়টি বর্ণনা করে ঢাবির ভুক্তভোগী শিক্ষক বিকেলে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। ঘটনার বর্ণনায় তিনি লেখেন, শুক্রবার দুপুরে তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে নিউমার্কেট থেকে মিরপুরে যাওয়ার জন্য মিরপুর সুপার লিংকের (৩৬ নম্বর) বাসে ওঠেন। বাসটি মিরপুর-১০ নম্বর সিগনালে যাত্রী ওঠানোর জন্য ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করছিল। এ নিয়ে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয় বাসচালক এবং সহকারীর সঙ্গে। একপর্যায়ে তারা ভুক্তভোগী শিক্ষককে লাস্ট স্টপেজে নিয়ে পেটানোর হুমকি দেন। এমনকি তাঁরা অন্য যাত্রীকেও সঠিক স্থানে নামতে দিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে রাগারাগি করেন তিনি। পরে তিনি মিরপুর-১১ নম্বরের কাছে বাস থামাতে বাধ্য করলে বাসচালক ও তাঁর সহকারীও নেমে আসেন। সেখানে ওই বাসচালক একটি বাঁশ জোগাড় করে তাঁর মাথায় আঘাত করেন, পেটে লাথি দেন এবং পরনের টি-শার্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলেন।

পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর ওই দিন বিকেলে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মিরপুর সুপার লিংকের ৫টি বাস ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন তাঁরা। অন্যদিকে মিরপুরে বসবাসকারী ঢাবি শিক্ষার্থীরাও মিরপুর লিংকের ছয়টি বাস আটকে দেন। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে বাসচালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করে পল্লবী থানা-পুলিশ।

এ বিষয়ে মিরপুরে বসবাসকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিজ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চাপে পুলিশের মাধ্যমে চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছি। থানায় দায়িত্বরত ওসিও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

এ নিয়ে ভুক্তভোগী ঢাবি শিক্ষক আদীব শাহরিয়ার জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা (বাসচালক ও সহকারী) আমার পা ধরে মাফ চেয়েছে। আমিও তাই আর মামলা করিনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে। আজকে আটককৃতদের ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় কোর্টেও তুলতে পারে। তারা অন্য কোনো পদক্ষেপও নিতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত