গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও ৪ জনের মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ১০

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১১: ২৯
Thumbnail image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে মারা যান জহিরুল ইসলাম কুটি (৩২) ও মোতালেব হোসেন (৪৮)। আজ সোমবার ভোরে মারা যায় সোলাইমান (১০) ও গোলাম রাব্বি (১১)। 

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তরিকুল ইসলাম বলেন, জহিরুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও মোতালেবের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আর সোলাইমানের শরীরের ৮০ শতাংশ ও রাব্বির ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। 

মৃত জহিরুলের ভাতিজা মো. বাবু হোসেন বলেন, তাঁদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ভেড়াখোলা গ্রামে। বর্তমানে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে গাজীপুর কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন। সেখানে মাছের ব্যবসা করতেন। জহিরুলের বাবার নাম আয়নাল ফকির। 

এদিকে মোতালেব হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন বলেন, তাঁদের বাসা টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ইদুলপুর গ্রামে। তাঁর বাবা–মা কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায় তাঁর মা রমিছা বেগমও (৩৮) দগ্ধ হয়েছেন। তাঁর শরীরের তিন শতাংশ পুড়েছে। তিনি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। 

মৃত সোলাইমানের মামা মো. সোহাগ বলেন, তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বালুকজান গ্রামে। বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। বাবা-মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকত। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত সে। এই ঘটনায় পরিবারের সবাই সুস্থ থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হওয়ার পর সেটি দেখতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিল সোলাইমান।

মৃত গোলাম রাব্বির বাবা শাহ আলম বলেন, তাঁদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার তারটিয়া গ্রামে। পরিবার নিয়ে গত ৮ বছর ধরে গাজীপুরে থাকেন তিনি। সেখানে ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করেন। গত পাঁচ বছর আগে রাব্বির মা নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে মারা যান। রাব্বি নাটোর ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিল রাব্বি। আসার পর সেখানে আগুনে দগ্ধ হয়।

আরও পড়ুন—

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত