নিজস্ব প্রতিবেদক
নায়িকা–মডেল কাণ্ডে সরগরম দেশ। অভিযোগের তির ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, পুলিশসহ বড় বড় পদের লোকজনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কথা উঠেছে সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন পরীমণিকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। এরই মাঝে মুখ খুললেন মাসরুর আরেফীন। একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তিনি এই স্ট্যাটাসটি পোস্ট করেন। দাবি করেন কোনো দিন পরীমণির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। তাঁর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
নায়িকা পরীমণির সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে হলুদ সাংবাদিকতা
...
আমেরিকায় বিএসইসি আয়োজিত বিনিয়োগ রোড শো-তে অংশ নিয়ে আমি এখন ঢাকার পথে। এর মধ্যেই শিকার হলাম এক প্রবল মিথ্যাচারের। ইত্তেফাক লিখে দিল: "একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফীনের সঙ্গে পরীমণির অডিও রেকর্ডে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমণির গভীর সখ্যের বিষয়টি কথোপকথনে উঠে এসেছে।'
আমার কোনো কিছু বলার কোনো ভাষা নেই।
আমি এই মর্ত্যের পৃথিবীতে, এই ধরাধামে পরীমণি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমার কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকি ‘বোট ক্লাব ‘ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমণি নামটাও শুনিনি। আমার তখন মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমণি?
আমার কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাংকিং আর তারপর সাহিত্য নিয়ে পড়ে থাকা। ঢাকার কেউ (যারা ক্লাবে যান তাদের কেউও) বলতে পারবেন না তারা আমাকে কোনো দিন কোনো ক্লাব বা পার্টিতে দেখেছেন (এখানে আমি ক্লাব বা পার্টিতে যাওয়ার নিন্দা করছি না, সেটা যারা যাওয়ার তারা যেতেই পারেন; আমি শুধু বোঝাচ্ছি যে মানুষ হিসেবে আমার টাইপটা কী?)। এতটাই অফিস ও ঘরমুখী এক মানুষ আমি।
অতএব বলছি, পরীমণিকে গাড়ি দেওয়ার কথাটা আমার কানে লাগছে মঙ্গল গ্রহের ভাষায় বলা কিছুর কথার মতো।
আমার নিজের একটাও গাড়ি নেই। ব্যাংক আমাকে চলার জন্য গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে, তাতেই চড়ি। ব্যাংকের চাকরির শেষে নিশ্চয় কোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নিয়ে একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়ব।
কোনো অভিযোগের মধ্যে মিনিমাম মিনিমাম এক সুতো সত্য থাকতে হয়। কিন্তু এ এক ভয়ংকর বিষয় যে, আমি যাকে চিনি না, জীবনে যার বা যাদের সঙ্গে হ্যালো বলা দূরে থাক, যাদের নামটা পর্যন্ত আমি প্রথম জানলাম এই কদিন আগে, সেই নায়িকা বা মডেলকে আমি গাড়ি দিয়ে ফেললাম? কোথায় যোগাযোগ হল আমাদের? ফোন কল? তার নাম্বার কী? কল রেকর্ড আনা হোক।
তাহলে ঘটনা কী? আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে (অর্থাৎ এক অর্থে সিটি ব্যাংক নিয়ে) একটা 'সস্তা' ষড়যন্ত্র চলছে।
ইত্তেফাক-এর খবরে ওরা দ্যাখেন সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারেনি। লিখেছেন 'ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমণির গভীর সখ্যের বিষয়টি...।' শওকত রুবেল নামের মানুষটা কে? এই নামে তো কেউ নেই।
সাংবাদিক ভাইয়েরা, কী লিখেছেন আপনারা এসব? মানুষ ও তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন আপনাদের কাছে এতই ফেলনা যে, নামটাও ঠিক জেনে লিখবেন না? প্রিয় ইত্তেফাক, আমার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নাম আলাদা। সেটা শওকত রুবেল না।
আমার অনুমান এই যে, ব্যবসায়ী জনাব শওকত আজিজ রাসেল আমাদের ব্যাংক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই। একটা গোষ্ঠী তার হয়তো ক্ষতি চায়, এবং তারা তাদের সেই চাওয়ার সঙ্গে তাকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান ভেবে নিয়ে ব্যাংক প্রধান হিসেবে আমাকেও নিষ্ঠুর ও বাছবিচারহীন এক সামাজিক নর্দমার মধ্যে ঠেলে দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করলেন না।
তারা বুঝলেন না যে, 'আগস্ট আবছায়া ' (বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ওপরে চার বছরের গবেষণার শেষে লেখা আমাদের অন্যতম এক প্রধান উপন্যাস), 'আলথুসার' বা 'আন্ডারগ্রাউন্ড' নামের উপন্যাসের লেখকের, বাংলায় 'ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র' কিংবা 'হোমারের ইলিয়াড'-এর এই অনুবাদকের এক পয়সা দুর্নীতির টাকাও থাকতে পারে না যা দিয়ে তিনি নিজের জন্য—ব্যাংক লোন নেওয়া ব্যতিরেকে—একটা বিলাসী বা ভালো গাড়ি কিনতে পারেন। অন্যকে কিনে দেওয়ার কথা বাদই দিন।
এবার লেখক সত্তার জায়গা থেকে একটা কথা বলি। আইনি বিষয় ও সামাজিক বোঝাপড়ার বিষয়গুলো বেশ তো গুলিয়ে যাচ্ছে! আমার কাউকে কোনো গাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার কাউকে ধরুন ভালো লাগল (যার সম্ভাবনা বাস্তবে কম, কারণ আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে এক সুন্দর সংসার আছে), তখন তাকে যদি আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে দুই বক্স চকলেটও কিনে দিই, সেটা নিয়ে আইন ছাপিয়ে, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ছাপিয়ে ‘সমাজের বিচার’ নামের যে-এক ড্রাগন আছে, সে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে হাউ-হাউ করে উঠবে।
ব্যক্তি স্বাধীনতার সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নকে টেনে টেনে এনে আইনের আরও 'ঊর্ধ্বেই' বা 'বাইরেই' নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দৈনন্দিনের বাছ-বিচারগুলোকে। এ রকম সমাজে অনেকের লাভ, কারণ আমরা সাধারণ মানুষেরা তখন ইতিহাসের ল্যাবরেটরিতে কাঁউ-কাঁউ করে বেড়ানো ইঁদুর হয়ে থেকে যাই। আমাদেরকে সেই ইঁদুর হওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতি মুহূর্তের একটা "ongoing work"। এই রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতাগুলো—স্বাধীনতার যে কাজটুকু অন্যের জন্য ক্ষতিকর না—এভাবে কেড়ে না নিক। বাস্তবেই অনেক ক্ষতিকর কিছু ঘটছে অনেক দিকে, অনেক অবিচার ও আর্তনাদের ময়লা উড়ছে অনেক অনেক কোনায়। সেদিকে চোখ থাকুক আমাদের।
শেষ কথা একটাই, আমি আমার মানব জীবনে এই নায়িকা বা মডেলদেরকে দেখিনি। তাদের সঙ্গে না-দেখা জগতের ফোনের যে-হ্যালো, সেটাও কোনো দিন বলিনি। তারা কারা তাও আমি জানতাম না 'বোট ক্লাব' কাণ্ডের আগে।
এখন তাহলে এক ব্যক্তির ওপরে, এক সাধারণ মানুষের ওপরে, এক লেখক ও কবির ওপরে, এক 'কেউ-না এমন এক মানুষের ওপরে' অবিচারের মাত্রাটা বুঝুন। বাকি বিচার এই সমাজের, সমাজই যেহেতু আছে বিচারকের ভূমিকায়।
নায়িকা–মডেল কাণ্ডে সরগরম দেশ। অভিযোগের তির ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, পুলিশসহ বড় বড় পদের লোকজনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কথা উঠেছে সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন পরীমণিকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। এরই মাঝে মুখ খুললেন মাসরুর আরেফীন। একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তিনি এই স্ট্যাটাসটি পোস্ট করেন। দাবি করেন কোনো দিন পরীমণির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। তাঁর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
নায়িকা পরীমণির সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে হলুদ সাংবাদিকতা
...
আমেরিকায় বিএসইসি আয়োজিত বিনিয়োগ রোড শো-তে অংশ নিয়ে আমি এখন ঢাকার পথে। এর মধ্যেই শিকার হলাম এক প্রবল মিথ্যাচারের। ইত্তেফাক লিখে দিল: "একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফীনের সঙ্গে পরীমণির অডিও রেকর্ডে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমণির গভীর সখ্যের বিষয়টি কথোপকথনে উঠে এসেছে।'
আমার কোনো কিছু বলার কোনো ভাষা নেই।
আমি এই মর্ত্যের পৃথিবীতে, এই ধরাধামে পরীমণি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমার কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকি ‘বোট ক্লাব ‘ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমণি নামটাও শুনিনি। আমার তখন মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমণি?
আমার কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাংকিং আর তারপর সাহিত্য নিয়ে পড়ে থাকা। ঢাকার কেউ (যারা ক্লাবে যান তাদের কেউও) বলতে পারবেন না তারা আমাকে কোনো দিন কোনো ক্লাব বা পার্টিতে দেখেছেন (এখানে আমি ক্লাব বা পার্টিতে যাওয়ার নিন্দা করছি না, সেটা যারা যাওয়ার তারা যেতেই পারেন; আমি শুধু বোঝাচ্ছি যে মানুষ হিসেবে আমার টাইপটা কী?)। এতটাই অফিস ও ঘরমুখী এক মানুষ আমি।
অতএব বলছি, পরীমণিকে গাড়ি দেওয়ার কথাটা আমার কানে লাগছে মঙ্গল গ্রহের ভাষায় বলা কিছুর কথার মতো।
আমার নিজের একটাও গাড়ি নেই। ব্যাংক আমাকে চলার জন্য গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে, তাতেই চড়ি। ব্যাংকের চাকরির শেষে নিশ্চয় কোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নিয়ে একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়ব।
কোনো অভিযোগের মধ্যে মিনিমাম মিনিমাম এক সুতো সত্য থাকতে হয়। কিন্তু এ এক ভয়ংকর বিষয় যে, আমি যাকে চিনি না, জীবনে যার বা যাদের সঙ্গে হ্যালো বলা দূরে থাক, যাদের নামটা পর্যন্ত আমি প্রথম জানলাম এই কদিন আগে, সেই নায়িকা বা মডেলকে আমি গাড়ি দিয়ে ফেললাম? কোথায় যোগাযোগ হল আমাদের? ফোন কল? তার নাম্বার কী? কল রেকর্ড আনা হোক।
তাহলে ঘটনা কী? আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে (অর্থাৎ এক অর্থে সিটি ব্যাংক নিয়ে) একটা 'সস্তা' ষড়যন্ত্র চলছে।
ইত্তেফাক-এর খবরে ওরা দ্যাখেন সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারেনি। লিখেছেন 'ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমণির গভীর সখ্যের বিষয়টি...।' শওকত রুবেল নামের মানুষটা কে? এই নামে তো কেউ নেই।
সাংবাদিক ভাইয়েরা, কী লিখেছেন আপনারা এসব? মানুষ ও তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন আপনাদের কাছে এতই ফেলনা যে, নামটাও ঠিক জেনে লিখবেন না? প্রিয় ইত্তেফাক, আমার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নাম আলাদা। সেটা শওকত রুবেল না।
আমার অনুমান এই যে, ব্যবসায়ী জনাব শওকত আজিজ রাসেল আমাদের ব্যাংক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই। একটা গোষ্ঠী তার হয়তো ক্ষতি চায়, এবং তারা তাদের সেই চাওয়ার সঙ্গে তাকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান ভেবে নিয়ে ব্যাংক প্রধান হিসেবে আমাকেও নিষ্ঠুর ও বাছবিচারহীন এক সামাজিক নর্দমার মধ্যে ঠেলে দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করলেন না।
তারা বুঝলেন না যে, 'আগস্ট আবছায়া ' (বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ওপরে চার বছরের গবেষণার শেষে লেখা আমাদের অন্যতম এক প্রধান উপন্যাস), 'আলথুসার' বা 'আন্ডারগ্রাউন্ড' নামের উপন্যাসের লেখকের, বাংলায় 'ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র' কিংবা 'হোমারের ইলিয়াড'-এর এই অনুবাদকের এক পয়সা দুর্নীতির টাকাও থাকতে পারে না যা দিয়ে তিনি নিজের জন্য—ব্যাংক লোন নেওয়া ব্যতিরেকে—একটা বিলাসী বা ভালো গাড়ি কিনতে পারেন। অন্যকে কিনে দেওয়ার কথা বাদই দিন।
এবার লেখক সত্তার জায়গা থেকে একটা কথা বলি। আইনি বিষয় ও সামাজিক বোঝাপড়ার বিষয়গুলো বেশ তো গুলিয়ে যাচ্ছে! আমার কাউকে কোনো গাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার কাউকে ধরুন ভালো লাগল (যার সম্ভাবনা বাস্তবে কম, কারণ আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে এক সুন্দর সংসার আছে), তখন তাকে যদি আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে দুই বক্স চকলেটও কিনে দিই, সেটা নিয়ে আইন ছাপিয়ে, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ছাপিয়ে ‘সমাজের বিচার’ নামের যে-এক ড্রাগন আছে, সে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে হাউ-হাউ করে উঠবে।
ব্যক্তি স্বাধীনতার সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নকে টেনে টেনে এনে আইনের আরও 'ঊর্ধ্বেই' বা 'বাইরেই' নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দৈনন্দিনের বাছ-বিচারগুলোকে। এ রকম সমাজে অনেকের লাভ, কারণ আমরা সাধারণ মানুষেরা তখন ইতিহাসের ল্যাবরেটরিতে কাঁউ-কাঁউ করে বেড়ানো ইঁদুর হয়ে থেকে যাই। আমাদেরকে সেই ইঁদুর হওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতি মুহূর্তের একটা "ongoing work"। এই রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতাগুলো—স্বাধীনতার যে কাজটুকু অন্যের জন্য ক্ষতিকর না—এভাবে কেড়ে না নিক। বাস্তবেই অনেক ক্ষতিকর কিছু ঘটছে অনেক দিকে, অনেক অবিচার ও আর্তনাদের ময়লা উড়ছে অনেক অনেক কোনায়। সেদিকে চোখ থাকুক আমাদের।
শেষ কথা একটাই, আমি আমার মানব জীবনে এই নায়িকা বা মডেলদেরকে দেখিনি। তাদের সঙ্গে না-দেখা জগতের ফোনের যে-হ্যালো, সেটাও কোনো দিন বলিনি। তারা কারা তাও আমি জানতাম না 'বোট ক্লাব' কাণ্ডের আগে।
এখন তাহলে এক ব্যক্তির ওপরে, এক সাধারণ মানুষের ওপরে, এক লেখক ও কবির ওপরে, এক 'কেউ-না এমন এক মানুষের ওপরে' অবিচারের মাত্রাটা বুঝুন। বাকি বিচার এই সমাজের, সমাজই যেহেতু আছে বিচারকের ভূমিকায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান।’
১০ মিনিট আগেনীলফামারীর ডিমলায় তৃতীয় বিয়ে করায় যুবকের বিশেষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রী। আজ মঙ্গলবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত স্ত্রী।
১৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দ্রুত গতির মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আতর বানু (৭৭) নামের এক নারী নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডের কড়াইতালা এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
৩৪ মিনিট আগেহবিগঞ্জের মাধবপুরে গাড়ির ধাক্কায় সজল সরকার (৩০) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা আরোহী মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে