Ajker Patrika

ফরিদপুরে রমজান মাসব্যাপী ন্যায্যমূল্যের বাজার শুরু, ক্রেতাদের স্বস্তি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে দেওয়া বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে দেওয়া বাজার। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিবছর রমজান মাসে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে অস্বস্তিতে পড়তে হয় ক্রেতাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসব্যাপী শুরু হয়েছে ‘ন্যায্যমূল্যের বাজার’। যেখানে মাছ, মাংস থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য মিলবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এমন আয়োজন চলবে প্রতিটি উপজেলায়।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের আলীপুর হাসিবুল লাবলু সড়কসংলগ্ন পরিত্যক্ত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা। এ সময় পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই চত্বরে বসেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা। যেখানে দেখা যায়, গরুর মাংস, মুরগি, মাছ, ডিম, দুধ, ফল ও সবজির দোকান। এ ছাড়া বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। এমন আয়োজনের খবরে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্যমূল্যে বাজার শেষে স্বস্তির কথা জানান তাঁরা।

এই বাজার থেকে এক কেজি গরুর মাংস ৬৮০ টাকায় কেনেন সিলভী জামান নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘বাজারে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখানে এসে মাত্র ৬৮০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। এখানে সবকিছু স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পেরেছি। এটি আমাদের মতো মানুষের জন্য খুবই ভালো উদ্যোগ। জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৯০ টাকা, বেগুন ৩০, শিম ৩০, তরমুজ ৬৫, প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকা, খেজুর প্রকারভেদে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি পণ্য অন্যান্য বাজারের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কম মূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মনিরুজ্জামান রনি নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময় জেলা প্রশাসন সুন্দর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে সবকিছু বাজারের তুলনায় কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে এখানে মাছ, মাংসসহ সবকিছু কিনতে পারব।’

এসবের পাশাপাশি জেলা খাদ্য কার্যালয় কর্তৃক সেখানে বসেছে সরকার পরিচালিত ওএমএস দোকান। যেখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ ও আটা ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেক ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে বলে ব্যানারে টানানো রয়েছে।

এমন উদ্যোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা জানান, ‘পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে শুরু হয়েছে ন্যায্যমূল্যের বাজার। জেলা শহরের বাইরেও প্রতিটি উপজেলা সদরে বাজারের ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং রমজান যে আত্মশুদ্ধির মাস, সেই বার্তা ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত