নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধ্যাত্মবাদী, সমাজসংগঠক, সৃষ্টির কল্যাণে আত্মনিবেদিত একজন আদর্শ মহান ব্যক্তি ছিলেন হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা। আধ্যাত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি অবিভক্ত বাংলায় শিক্ষা সংস্কার ও সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান আজও অবিস্মরণীয়। সৃষ্টিকর্তার আরাধনা, জগতের কল্যাণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের শৃঙ্খলা—এই তিনটি শক্তির সমন্বয় যে অসম্ভব নয়, তা তিনি দেখিয়ে গেছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ১৫০তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘মানবতার সেবায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) ’-শীর্ষক মাসব্যাপী কার্যক্রমের উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা, সারভাইক্যাল ক্যানসার নির্ণয়, তরুণ প্রজন্মদের নিয়ে সভা-সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সেমিনার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্কুল কর্মসূচি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিডিও বার্তা প্রচার, বিশেষ প্রকাশনা ইত্যাদি কার্যক্রম রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘মানবজাতির কল্যাণে তিনি নানামুখী কাজ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর কৃত ও আরাধ্য কাজের কর্মী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন, মানুষে মানুষে পার্থক্য নিশ্চিহ্ন করতে দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। তার কাছ আমাদের শিক্ষণীয় হচ্ছে, আমরা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক, গতিময়। আমাদের সৃষ্টিকর্তা, প্রকৃতি, আদর্শিকতার প্রতি মনোযোগী হয়ে মাঝেমধ্যে একটু থামতে শিখতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি গড়ার পেছনে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্যসহ নানান ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ ছিল। তিনি তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন। তিনি বৈষম্যহীন সমাজেরই স্বপ্ন দেখতেন। নিপীড়িত মানুষকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের সাধনা করেছেন।’
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা নিপীড়িত মানব সমাজ-সংলগ্ন আধ্যাত্মিক সাধক। তার মধ্যে ছিল অপরিসীম সাংগঠনিক ক্ষমতা। তিনি সমাজ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের পথ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা এর মানব সেবা ও জীবনাদর্শ বর্তমান প্রজন্মসহ বিভিন্ন মহলে তুলে ধরা এবং তাঁর নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রচার করা মাসব্যাপী এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।’
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ. এফ. এম গোলাম শরফুদ্দিন বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা এর মন ও ভাবনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মানুষের প্রতি তাঁর ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং মানুষের সেবা করার মধ্যেই তিনি বিমল আনন্দ অনুভব করেছেন।’
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটি সদস্য ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন একজন লেখক ও সাহিত্যিক। তিনি অনগ্রসর মুসলমানদের শিক্ষিত করতে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের হোস্টেল, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সব সময় উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শিক্ষা প্রসার করেছিলেন। তাঁর লেখার মধ্যেও সমাজ চিন্তা ও শিক্ষার উন্নয়নের কথা ফুটে উঠেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন—ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের সহকারী পরিচালক ডা: নায়লা পারভিন। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমসহ মিশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাত্মবাদী, সমাজসংগঠক, সৃষ্টির কল্যাণে আত্মনিবেদিত একজন আদর্শ মহান ব্যক্তি ছিলেন হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা। আধ্যাত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি অবিভক্ত বাংলায় শিক্ষা সংস্কার ও সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান আজও অবিস্মরণীয়। সৃষ্টিকর্তার আরাধনা, জগতের কল্যাণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের শৃঙ্খলা—এই তিনটি শক্তির সমন্বয় যে অসম্ভব নয়, তা তিনি দেখিয়ে গেছেন।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ১৫০তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘মানবতার সেবায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) ’-শীর্ষক মাসব্যাপী কার্যক্রমের উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা, সারভাইক্যাল ক্যানসার নির্ণয়, তরুণ প্রজন্মদের নিয়ে সভা-সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সেমিনার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্কুল কর্মসূচি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিডিও বার্তা প্রচার, বিশেষ প্রকাশনা ইত্যাদি কার্যক্রম রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘মানবজাতির কল্যাণে তিনি নানামুখী কাজ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর কৃত ও আরাধ্য কাজের কর্মী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন, মানুষে মানুষে পার্থক্য নিশ্চিহ্ন করতে দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। তার কাছ আমাদের শিক্ষণীয় হচ্ছে, আমরা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক, গতিময়। আমাদের সৃষ্টিকর্তা, প্রকৃতি, আদর্শিকতার প্রতি মনোযোগী হয়ে মাঝেমধ্যে একটু থামতে শিখতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি গড়ার পেছনে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্যসহ নানান ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ ছিল। তিনি তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন। তিনি বৈষম্যহীন সমাজেরই স্বপ্ন দেখতেন। নিপীড়িত মানুষকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের সাধনা করেছেন।’
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা নিপীড়িত মানব সমাজ-সংলগ্ন আধ্যাত্মিক সাধক। তার মধ্যে ছিল অপরিসীম সাংগঠনিক ক্ষমতা। তিনি সমাজ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের পথ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা এর মানব সেবা ও জীবনাদর্শ বর্তমান প্রজন্মসহ বিভিন্ন মহলে তুলে ধরা এবং তাঁর নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রচার করা মাসব্যাপী এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।’
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ. এফ. এম গোলাম শরফুদ্দিন বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা এর মন ও ভাবনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মানুষের প্রতি তাঁর ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং মানুষের সেবা করার মধ্যেই তিনি বিমল আনন্দ অনুভব করেছেন।’
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটি সদস্য ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন একজন লেখক ও সাহিত্যিক। তিনি অনগ্রসর মুসলমানদের শিক্ষিত করতে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের হোস্টেল, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সব সময় উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শিক্ষা প্রসার করেছিলেন। তাঁর লেখার মধ্যেও সমাজ চিন্তা ও শিক্ষার উন্নয়নের কথা ফুটে উঠেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন—ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের সহকারী পরিচালক ডা: নায়লা পারভিন। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমসহ মিশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৭ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৭ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৮ ঘণ্টা আগে