নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রাজধানীকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি। মাঝে কয়েকটি রুটে বাস চললেও তা ৫ আগস্টের পর আর শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগিরই নগর পরিবহন আবার শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকায় যেকোনো রুটে বাস চলতে হলে ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় আসতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৯ তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। মহানগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিএসসিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে আর বিভিন্ন নামের বাস থাকবে না। বাসগুলোর নাম হবে নগর পরিবহন, সেগুলোর গায়ে রুটের নাম ও নম্বর থাকবে। এ ছাড়া নগর পরিবহনের ব্যবস্থা অনুযায়ী, সবগুলো বাসকে নির্দিষ্ট স্টপেজে থামতে এবং টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ফলে তারা আর যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করাতে পারবে না।
নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাজধানীতে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য নগর পরিবহনের আওতায় আসতে আবেদন করার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত ৮০টি বাস কোম্পানি আবেদন করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলো আবেদন করতে পারবে।’ ঢাকায় গণপরিবহন চলতে হলে নগর পরিবহনের আওতায় চলতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছোট (১০–১২ জনের) একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই কমিটি বিজনেস মডেল এবং বাসগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করবে। আমরা আগামী ১১ ডিসেম্বর আবার মিটিং করব। আমরা ঢাকার ৪২টি রুটের কোম্পানিগুলোর বাস নগর পরিবহন নামেই অপারেট করব। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন যোগ্যতায় বিবেচনা করে নির্বাচন করা হবে। আমরা আশা করি, আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে, তাতে বাস মালিকেরা সহযোগিতা করবেন। আরামদায়ক ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম চালু থাকবে।’
২০১৬ সালের শুরুতে ছয়টি কোম্পানির অধীনে ছয় রঙের বাস নামানোর উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। তবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর থেমে যায় প্রকল্প। এরপর আবার ২০২০ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৯টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ডিটিসিএর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় যখন নগর পরিবহন চলাচল শুরু হয় তখন বাসের মোট রুট ছিল ১১০টি। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ টিতে। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ১৩০টি রুটে বাস চলাচল করে। এসব রুট কমিয়ে ৪২টি রুট করবে ডিটিসিএ।
২০২১ সালে ২১ নম্বর রুট (ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর-জিগাতলা-প্রেস ক্লাব-মতিঝিল-যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর) পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে প্রথম বাস সেবা শুরু হয়। এরপর আরও তিনটি রুটে বাস চালু করা হয়। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকা নগর পরিবহনের সব রুট বন্ধ হয়ে যায়। এখন কোনো রুটেই নগর পরিবহনের বাস চলছে না।
নগর পরিবহন চালু হলে ২১ নম্বর রুটে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাস দিয়ে রুট চালু হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই মাসের মধ্যে এতে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল আরও ১০০টি বাস। তবে দীর্ঘ সময়ে এই রুট ৫০টি বাসেরও মুখ দেখেনি, ট্রান্স সিলভা এখন আর নেই। এরপর ২২ নম্বর রুটে অভি মোটরসের বাস চলাচল শুরু করে। এই রুটে তাদের ৫০টি বাস চলার কথা থাকলেও শুরু হয়েছিল ৩০টি বাস দিয়ে। পরে তা না বেড়ে উল্টো কমে দাঁড়িয়েছিল ২০ টিতে। আর ২৬ নম্বর রুটে বিআরটিসির ৫০টি ডবল ডেকার বাস দেওয়ার কথা ছিল। তবে বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত বাস চলেছে সর্বোচ্চ ২৫টি।
আজ বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব শিগগিরই নগর পরিবহন চালু করা হবে। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় বাস চালাতে হলে নগর পরিবহনে যুক্ত হতে হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলো আবেদন করার সময় পাবে এখন পর্যন্ত ৮০টি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই হচ্ছে।’
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রাজধানীকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি। মাঝে কয়েকটি রুটে বাস চললেও তা ৫ আগস্টের পর আর শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগিরই নগর পরিবহন আবার শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকায় যেকোনো রুটে বাস চলতে হলে ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় আসতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৯ তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। মহানগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিএসসিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে আর বিভিন্ন নামের বাস থাকবে না। বাসগুলোর নাম হবে নগর পরিবহন, সেগুলোর গায়ে রুটের নাম ও নম্বর থাকবে। এ ছাড়া নগর পরিবহনের ব্যবস্থা অনুযায়ী, সবগুলো বাসকে নির্দিষ্ট স্টপেজে থামতে এবং টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ফলে তারা আর যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করাতে পারবে না।
নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাজধানীতে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য নগর পরিবহনের আওতায় আসতে আবেদন করার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত ৮০টি বাস কোম্পানি আবেদন করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলো আবেদন করতে পারবে।’ ঢাকায় গণপরিবহন চলতে হলে নগর পরিবহনের আওতায় চলতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছোট (১০–১২ জনের) একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই কমিটি বিজনেস মডেল এবং বাসগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করবে। আমরা আগামী ১১ ডিসেম্বর আবার মিটিং করব। আমরা ঢাকার ৪২টি রুটের কোম্পানিগুলোর বাস নগর পরিবহন নামেই অপারেট করব। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন যোগ্যতায় বিবেচনা করে নির্বাচন করা হবে। আমরা আশা করি, আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে, তাতে বাস মালিকেরা সহযোগিতা করবেন। আরামদায়ক ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম চালু থাকবে।’
২০১৬ সালের শুরুতে ছয়টি কোম্পানির অধীনে ছয় রঙের বাস নামানোর উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। তবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর থেমে যায় প্রকল্প। এরপর আবার ২০২০ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৯টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ডিটিসিএর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় যখন নগর পরিবহন চলাচল শুরু হয় তখন বাসের মোট রুট ছিল ১১০টি। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ টিতে। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ১৩০টি রুটে বাস চলাচল করে। এসব রুট কমিয়ে ৪২টি রুট করবে ডিটিসিএ।
২০২১ সালে ২১ নম্বর রুট (ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর-জিগাতলা-প্রেস ক্লাব-মতিঝিল-যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর) পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে প্রথম বাস সেবা শুরু হয়। এরপর আরও তিনটি রুটে বাস চালু করা হয়। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকা নগর পরিবহনের সব রুট বন্ধ হয়ে যায়। এখন কোনো রুটেই নগর পরিবহনের বাস চলছে না।
নগর পরিবহন চালু হলে ২১ নম্বর রুটে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাস দিয়ে রুট চালু হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই মাসের মধ্যে এতে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল আরও ১০০টি বাস। তবে দীর্ঘ সময়ে এই রুট ৫০টি বাসেরও মুখ দেখেনি, ট্রান্স সিলভা এখন আর নেই। এরপর ২২ নম্বর রুটে অভি মোটরসের বাস চলাচল শুরু করে। এই রুটে তাদের ৫০টি বাস চলার কথা থাকলেও শুরু হয়েছিল ৩০টি বাস দিয়ে। পরে তা না বেড়ে উল্টো কমে দাঁড়িয়েছিল ২০ টিতে। আর ২৬ নম্বর রুটে বিআরটিসির ৫০টি ডবল ডেকার বাস দেওয়ার কথা ছিল। তবে বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত বাস চলেছে সর্বোচ্চ ২৫টি।
আজ বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব শিগগিরই নগর পরিবহন চালু করা হবে। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় বাস চালাতে হলে নগর পরিবহনে যুক্ত হতে হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলো আবেদন করার সময় পাবে এখন পর্যন্ত ৮০টি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই হচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যারোসল কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় একটি সোয়েটার কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধসহ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানী প্রেসক্লাবের সামনে তোপখানা ও পল্টন সড়ক, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে...
১ ঘণ্টা আগে