গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে ধানগাছ নষ্ট করে খাল পুনর্খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরোখেতে ফেলা হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন শত কৃষক। পাউবোতে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তাঁরা।
একদিকে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, খালে পানি থাকায় তাঁরা সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেননি। অন্যদিকে কাজ দেরিতে শুরু করে কৃষকদের ক্ষতির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ী করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জয় ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কিলোমিটারের খাগাইল খালটি পুনর্খননের কার্যাদেশ দেয় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। অদৃশ্য কারণে খননের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
যে সময়টিতে খালের দুই পাড়ের বেশির ভাগ জমির ধানে শিষ বের হওয়া শুরু হয়। ধান নষ্ট হওয়ায় জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন কৃষকেরা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাব খাঁটিয়ে খাল খননের মাটি জোর করে ধানগাছের ওপর ফেলছেন। বিলের এক ফসলি বোরো ধানের এ জমিই কৃষকদের একমাত্র অবলম্বন। এ ঘটনার ফলে এখানকার কৃষকদের প্রায় ১০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক নিয়ামত খাঁ বলেন, ‘আমাদের এখানে এক ফসলি জমি। আমার দুই দাগে মোট দুই বিঘা জমিতে ধান হয়। আমরা গরিব মানুষ। এই ধান লাগিয়ে আমরা খাই। আমার ধানের খেতে মাটি ফেলা হয়। মানা করেছি, ঠিকাদার শোনেনি। বলেছেন, অল্প একটু ফেলাবানি। কিন্তু তা না করে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে।’
শাহানুর মোল্লা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমাগে এই একবার ফসল হয়। আমাগে বিশাল ক্ষতি করা হয়েছে। আগে বলল না কেন।’
কৃষক আবুল মৃধা বলেন, ‘আমাকে জমির ফোলা ধানের ওপর মাটি ফেলাইছে। কিছুদিন পরে আবার মাটি ফেলালি ধান আরও নষ্ট হবে। আমাগে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
হরিদাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘খাগাইল খালটি খনন করা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই জরুরি ছিল। এই খালের দরপত্র হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাঁর কাছে এই খাল খননের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, টেন্ডার হয়েছে। দ্রুতই কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
তাঁকে বলেছিলাম, সামনে শীত মৌসুম, সে সময় খাল খনন করলে মাটি ফেলানোর পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে। খনন শেষে কৃষক তাঁদের চাষাবাদও করতে পারবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা, সেই কাজ কেন পাঁচ মাস পরে ধানি জমি নষ্ট করে শুরু হলো? আমি কৃষকদের এই ব্যাপক ক্ষতির জন্য ঠিকাদার নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করব।’
গোপালগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের খাগাইল খালটির পুনর্খননের কার্যাদেশ গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় খালে পানি থাকায় খনন করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে খননকাজের মেয়াদ শেষ হবে। কৃষকদের সেচের সুবিধার জন্য এই খাল খননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খননের ওই মাটি কৃষকেরা জমিতে ব্যবহার করতে পারবেন।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে ধানগাছ নষ্ট করে খাল পুনর্খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরোখেতে ফেলা হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন শত কৃষক। পাউবোতে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তাঁরা।
একদিকে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, খালে পানি থাকায় তাঁরা সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেননি। অন্যদিকে কাজ দেরিতে শুরু করে কৃষকদের ক্ষতির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ী করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জয় ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কিলোমিটারের খাগাইল খালটি পুনর্খননের কার্যাদেশ দেয় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। অদৃশ্য কারণে খননের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
যে সময়টিতে খালের দুই পাড়ের বেশির ভাগ জমির ধানে শিষ বের হওয়া শুরু হয়। ধান নষ্ট হওয়ায় জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন কৃষকেরা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাব খাঁটিয়ে খাল খননের মাটি জোর করে ধানগাছের ওপর ফেলছেন। বিলের এক ফসলি বোরো ধানের এ জমিই কৃষকদের একমাত্র অবলম্বন। এ ঘটনার ফলে এখানকার কৃষকদের প্রায় ১০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক নিয়ামত খাঁ বলেন, ‘আমাদের এখানে এক ফসলি জমি। আমার দুই দাগে মোট দুই বিঘা জমিতে ধান হয়। আমরা গরিব মানুষ। এই ধান লাগিয়ে আমরা খাই। আমার ধানের খেতে মাটি ফেলা হয়। মানা করেছি, ঠিকাদার শোনেনি। বলেছেন, অল্প একটু ফেলাবানি। কিন্তু তা না করে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে।’
শাহানুর মোল্লা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমাগে এই একবার ফসল হয়। আমাগে বিশাল ক্ষতি করা হয়েছে। আগে বলল না কেন।’
কৃষক আবুল মৃধা বলেন, ‘আমাকে জমির ফোলা ধানের ওপর মাটি ফেলাইছে। কিছুদিন পরে আবার মাটি ফেলালি ধান আরও নষ্ট হবে। আমাগে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
হরিদাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘খাগাইল খালটি খনন করা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই জরুরি ছিল। এই খালের দরপত্র হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাঁর কাছে এই খাল খননের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, টেন্ডার হয়েছে। দ্রুতই কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
তাঁকে বলেছিলাম, সামনে শীত মৌসুম, সে সময় খাল খনন করলে মাটি ফেলানোর পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে। খনন শেষে কৃষক তাঁদের চাষাবাদও করতে পারবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা, সেই কাজ কেন পাঁচ মাস পরে ধানি জমি নষ্ট করে শুরু হলো? আমি কৃষকদের এই ব্যাপক ক্ষতির জন্য ঠিকাদার নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করব।’
গোপালগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের খাগাইল খালটির পুনর্খননের কার্যাদেশ গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় খালে পানি থাকায় খনন করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে খননকাজের মেয়াদ শেষ হবে। কৃষকদের সেচের সুবিধার জন্য এই খাল খননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খননের ওই মাটি কৃষকেরা জমিতে ব্যবহার করতে পারবেন।’
ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির দাবি করেন, ‘এই ছেলেটা (সোহেল) আগে জাসদ ছাত্রদল করত। পরে সমন্বয়ক হয়ে গেছে। সে সুবিধাবাদী। এ জন্য তার ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে শুনেছি।’
৮ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ কেন? আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। হয় তো বা রিফর্ম হতে পারে। আওয়ামী লীগের সব লোক যে দোষী তা তো নয়। যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। যারা নির্দোষ, কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না, জনপ্রিয় মানুষ, তারা কেন নির্বাচনে বঞ্চিত থাকবে।
২৮ মিনিট আগেফ্যাসিবাদ বাংলাদেশ থেকে এখনো যায়নি, কেবল ফ্যাসিবাদের একজন নেতা ভারতে পালিয়ে গেছেন। এমনটাই বলেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘স্বৈরাচার থেকে ফ্যাসিবাদ, শেখ মুজিব থেকে হাসিনা: ফ্যাসিবাদ
৩৪ মিনিট আগেই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ এর স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও পৃষ্ঠপোষক শেখ সোহেল রানাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালতে পুরনো পল্টনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী গাজী ফিরোজ কায়ছার এই মামলা দায়ের করেন।
৩৮ মিনিট আগে