সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে মোহাম্মদ উজ্জ্বল মোল্লা (৪২) নামের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে শহরের মাঠপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত উজ্জ্বল মোল্লা মাঠপাড়া এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। মুন্সিগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তিনি।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর ধরে উজ্জ্বলদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাঁর আত্মীয় সেলিনা-রুবিনা বেগমদের। কয়েক মাস আগে বিরোধপূর্ণ সেই জমির পাওয়ার নেন শহরের দক্ষিণ কোটগাঁও এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী হুমায়ুন। পাওয়ার নেওয়ার পর থেকে উজ্জ্বলদের কাছ থেকে জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন হুমায়ুন। এর জেরে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে হুমায়ুন ও তাঁর ছোট ভাই সোহেলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন উজ্জ্বলের মাঠপাড়ার বাড়িতে হামলা চালান। উজ্জ্বল তাঁদের বাধা দিতে গেলে হুমায়ুন, সোহেল ও তাঁদের লোকজন উজ্জ্বলকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা উজ্জ্বলকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস হাসান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যক্তি মারা যান। তবে তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহতের ভাই রাজু মোল্লা বলেন, ‘জমি নিয়ে অসংখ্যবার পৌরসভায় বসা হয়। আমরা বলেছি, আইনে যা রায় আসে, তাই মেনে নেব। হুমায়ুনরা আইনকে তোয়াক্কা করছিল না। তারা শক্তি দিয়ে সম্পদ দখল করতে যায়। বাড়িতে ফাঁকা গুলি করে। আমাকে ও আমার ভাইকে বেদম মারধর করে। মার সহ্য করতে না পেরে উজ্জ্বল শেষ পর্যন্ত মারা যায়।’
আহাদ (৮) এবং আরাফ নামে (৬ মাস) উজ্জ্বলের দুটি ছেলে রয়েছে। তাঁর স্ত্রী রুবিনা আক্তার বলেন, ‘হুমায়ুনরা জায়গা দখল করতে গিয়ে আমার স্বামীকে মেরেই ফেলল। সামান্য জায়গার জন্য মানুষ কতটা নির্মম হয়। আমি আমার দুটি ছোট বাচ্চা নিয়ে এখন কোথায় যাব? আমাদের কে দেখবে? আমরা উজ্জ্বল হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন ও তাঁর ভাই সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিল-ঘুষি দিলে যেমন হয়, মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে তেমন রক্ত জমাট রয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মুন্সিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে মোহাম্মদ উজ্জ্বল মোল্লা (৪২) নামের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে শহরের মাঠপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত উজ্জ্বল মোল্লা মাঠপাড়া এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। মুন্সিগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তিনি।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর ধরে উজ্জ্বলদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাঁর আত্মীয় সেলিনা-রুবিনা বেগমদের। কয়েক মাস আগে বিরোধপূর্ণ সেই জমির পাওয়ার নেন শহরের দক্ষিণ কোটগাঁও এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী হুমায়ুন। পাওয়ার নেওয়ার পর থেকে উজ্জ্বলদের কাছ থেকে জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন হুমায়ুন। এর জেরে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে হুমায়ুন ও তাঁর ছোট ভাই সোহেলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন উজ্জ্বলের মাঠপাড়ার বাড়িতে হামলা চালান। উজ্জ্বল তাঁদের বাধা দিতে গেলে হুমায়ুন, সোহেল ও তাঁদের লোকজন উজ্জ্বলকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা উজ্জ্বলকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস হাসান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যক্তি মারা যান। তবে তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহতের ভাই রাজু মোল্লা বলেন, ‘জমি নিয়ে অসংখ্যবার পৌরসভায় বসা হয়। আমরা বলেছি, আইনে যা রায় আসে, তাই মেনে নেব। হুমায়ুনরা আইনকে তোয়াক্কা করছিল না। তারা শক্তি দিয়ে সম্পদ দখল করতে যায়। বাড়িতে ফাঁকা গুলি করে। আমাকে ও আমার ভাইকে বেদম মারধর করে। মার সহ্য করতে না পেরে উজ্জ্বল শেষ পর্যন্ত মারা যায়।’
আহাদ (৮) এবং আরাফ নামে (৬ মাস) উজ্জ্বলের দুটি ছেলে রয়েছে। তাঁর স্ত্রী রুবিনা আক্তার বলেন, ‘হুমায়ুনরা জায়গা দখল করতে গিয়ে আমার স্বামীকে মেরেই ফেলল। সামান্য জায়গার জন্য মানুষ কতটা নির্মম হয়। আমি আমার দুটি ছোট বাচ্চা নিয়ে এখন কোথায় যাব? আমাদের কে দেখবে? আমরা উজ্জ্বল হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন ও তাঁর ভাই সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিল-ঘুষি দিলে যেমন হয়, মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে তেমন রক্ত জমাট রয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে