নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকে যেন ঈদের ছুটির আমেজে বাড়ি ফিরছেন। বাস কাউন্টারগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন বাস কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, এই চাপ অনেকটা যেন ঈদের ছুটির সময়ের মতো।
কাউন্টারের লোকদের সঙ্গে এক প্রকার তর্কাতর্কি করেই ফরিদপুরগামী একটি বাসে পছন্দমতো দুটি টিকিট সংগ্রহ করেছেন এক নবদম্পতি। চালু অবস্থায় সেই বাস রাস্তায় দাঁড়ানো। কাউন্টার মাস্টারের তাগাদায় মাথায় বস্তা আর হাতে ব্যাগ নিয়ে হনহনিয়ে হাঁটছেন স্বামী। তাঁর পেছনে দুই হাতে তিনটি ছোট-বড় ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী।
ভোটের ছুটিতে কোথায় যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে যত দ্রুত হাঁটছেন তার চেয়েও দ্রুত উত্তর দিলেন, ‘শ্বশুরবাড়ি।’ ভোট দেবেন কি না—জানতে চাইলে আইনুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তো শ্বশুরবাড়ি এলাকার ভোটার না। আমার বাড়িওয়ালী (স্ত্রী) দিলে দেবে।’
দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটিসহ তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। কেউ ভোট দিতে, কেউ শুধুই ছুটি কাটাতে। আবার অনেকেই আছেন এই ছুটিতে জরুরি কাজ করবেন, পাশাপাশি সুযোগ হলে ভোটটাও দেবেন। এসব ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার প্রথম সকাল থেকেই বেশ কোলাহল ও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। কাউন্টারগুলোতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।
সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় সব পরিবহনের দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে। সব বাসই ভর্তি। এর পরে যে বাসগুলো যাবে, সেগুলোর সিটও বুকড। ঘরমুখো মানুষের চাপে বাসে সিট পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। তাই কিছুটা আশাহত মাগুরার হামুরিয়াগামী যাত্রী মো. মিজান।
ঢাকার একটি কেমিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করা মিজান ভোটের দিনের ছুটির সঙ্গে শুক্র-শনি বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। উদ্দেশ্য, বাড়ি ফিরে জমানো কিছু কাজ সারবেন। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলে ভোট দিতে যাবেন। তিনি বলেন, ‘এই ছুটিতি কিছু কাজ গুছায় নিতি হবে। ভোট হলি সময়-সুযোগ পালি কেন্দ্রে যাব।’
টানা ছুটিতে যাত্রীর বেশ চাপের কথা জানালেন একটি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. পাপ্পু। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ঈদের চাপ ভাই। সকাল থেকে ১০টা গাড়ি গেছে ফুল। পরের গাড়িগুলাতেও প্যাসেঞ্জার ভর্তি। পেছনের দিকে সিট আছে। এগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।’
জনপ্রিয় বাস পরিবহন কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় ও অপরিচিত বাসগুলোতেও বেড়েছে যাত্রী চাপ। স্বল্প পরিচিত একটি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুল কাঈয়ুম জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত একটা বাস ছেড়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীর চাপ শুক্রবার সকালের থেকে বেশি ছিল বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ভোটের ছুটি কাটাতে সপরিবারে বাড়ি ফিরছে মানুষ। গত রাত থেকে যাত্রীর চাপ বেশি। আজ সারা দিন ও কাল এমন থাকবে। আমাদের সব গাড়ি রাই ঢাকা ছেড়েছে সব সিট ভরে।’
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকে যেন ঈদের ছুটির আমেজে বাড়ি ফিরছেন। বাস কাউন্টারগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন বাস কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, এই চাপ অনেকটা যেন ঈদের ছুটির সময়ের মতো।
কাউন্টারের লোকদের সঙ্গে এক প্রকার তর্কাতর্কি করেই ফরিদপুরগামী একটি বাসে পছন্দমতো দুটি টিকিট সংগ্রহ করেছেন এক নবদম্পতি। চালু অবস্থায় সেই বাস রাস্তায় দাঁড়ানো। কাউন্টার মাস্টারের তাগাদায় মাথায় বস্তা আর হাতে ব্যাগ নিয়ে হনহনিয়ে হাঁটছেন স্বামী। তাঁর পেছনে দুই হাতে তিনটি ছোট-বড় ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী।
ভোটের ছুটিতে কোথায় যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে যত দ্রুত হাঁটছেন তার চেয়েও দ্রুত উত্তর দিলেন, ‘শ্বশুরবাড়ি।’ ভোট দেবেন কি না—জানতে চাইলে আইনুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তো শ্বশুরবাড়ি এলাকার ভোটার না। আমার বাড়িওয়ালী (স্ত্রী) দিলে দেবে।’
দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটিসহ তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। কেউ ভোট দিতে, কেউ শুধুই ছুটি কাটাতে। আবার অনেকেই আছেন এই ছুটিতে জরুরি কাজ করবেন, পাশাপাশি সুযোগ হলে ভোটটাও দেবেন। এসব ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার প্রথম সকাল থেকেই বেশ কোলাহল ও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। কাউন্টারগুলোতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।
সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় সব পরিবহনের দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে। সব বাসই ভর্তি। এর পরে যে বাসগুলো যাবে, সেগুলোর সিটও বুকড। ঘরমুখো মানুষের চাপে বাসে সিট পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। তাই কিছুটা আশাহত মাগুরার হামুরিয়াগামী যাত্রী মো. মিজান।
ঢাকার একটি কেমিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করা মিজান ভোটের দিনের ছুটির সঙ্গে শুক্র-শনি বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। উদ্দেশ্য, বাড়ি ফিরে জমানো কিছু কাজ সারবেন। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলে ভোট দিতে যাবেন। তিনি বলেন, ‘এই ছুটিতি কিছু কাজ গুছায় নিতি হবে। ভোট হলি সময়-সুযোগ পালি কেন্দ্রে যাব।’
টানা ছুটিতে যাত্রীর বেশ চাপের কথা জানালেন একটি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. পাপ্পু। তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ঈদের চাপ ভাই। সকাল থেকে ১০টা গাড়ি গেছে ফুল। পরের গাড়িগুলাতেও প্যাসেঞ্জার ভর্তি। পেছনের দিকে সিট আছে। এগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।’
জনপ্রিয় বাস পরিবহন কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় ও অপরিচিত বাসগুলোতেও বেড়েছে যাত্রী চাপ। স্বল্প পরিচিত একটি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুল কাঈয়ুম জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত একটা বাস ছেড়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীর চাপ শুক্রবার সকালের থেকে বেশি ছিল বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ভোটের ছুটি কাটাতে সপরিবারে বাড়ি ফিরছে মানুষ। গত রাত থেকে যাত্রীর চাপ বেশি। আজ সারা দিন ও কাল এমন থাকবে। আমাদের সব গাড়ি রাই ঢাকা ছেড়েছে সব সিট ভরে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
১ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার নগরীর আকবরশাহ উত্তর লেকসিটি, সুপারিবাগান ও ইসলামাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে