ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ৫৩২ নং কক্ষের চার শিক্ষার্থীকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের নেতৃত্বে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধর করে জোরপূর্বক মুচলেকা নিয়ে ঐ চার শিক্ষার্থীকে হলছাড়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জানা যায়, ছাত্রত্ব শেষ হওয়া এক শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই চার শিক্ষার্থীদের মারধর করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর, জেরা ও টর্চার শেষে 'মুচলেকা' নিয়ে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সিয়াম রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
অভিযুক্ত বাকি ছাত্রলীগ নেতারা হলেন — হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামিদ কারজাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান অভি,আব্দুল আহাদ, আপ্যায়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নীরব ও উপ আইন সম্পাদক মুহাম্মদ তালহা।
এদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আলম বাদশা, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী
লুৎফুর রহমান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আল আমীন ও একই সেশনের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। তারা সকলেই ৫৩২ নং কক্ষে থাকতেন। মারধর শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী আলম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, '২০১৩-১৪ সেশনের অবৈধ ছাত্র সুমন আহমেদ আমাদের কক্ষে থাকতেন, আমরা তাকে হল থেকে বের করে দিই। পরে সুমনের মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান আমাদেরকে আজ বিকাল ৩টায় তার রুমে ডেকে আনে। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিয়াম ও তার সহযোগী আহাদ, হামিদ কারজাই মিলে আমাদের ফোন চেক করে এবং ফেসবুকে ডিটেইলস দেখে। কিন্তু অনৈতিক কোনো তথ্য পায়নি, এরপর আমাদের সবাইকে ৩-৪ ঘন্টা ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, স্ট্যাম্প দিয়ে পিঠায় এবং পায়ে প্রচণ্ড আঘাত করে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।'
আলম আরো বলেন,'সিয়াম রহমান আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক সরকার বিরোধী মুচলেকা নেয় যে 'আমরা বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত নই। আমি রুমের বড় ভাইকে অন্যায়ভাবে বের করেছি এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে একমত না এরকম পোস্ট দিয়েছি এটা হলের বড় ভাইয়েরা জানার পর হল থেকে বের করে দেয়। আমি সজ্ঞানে হল থেকে বের হয়ে যাচ্ছি এটা লিখে নেয়। মুচলেকা নেয়ার পর রাত ৮টার পর আমাদেরকে ছেড়ে দেয়।'
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান আলম বাদশা।
এ বিষয়ে সুমন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন,'গত পরশু (রোববার) আশিক বলে আমি কবে রুম ছেড়ে দিবো! তখন বলি — কোন একটা চাকরির ব্যবস্থা হলে ছেড়ে দিবো। পরেরদিন আমার কাগজপত্র ও জিনিসপত্র রুম থেকে করিডোরে বের করে রাখে এবং আমাকে ফোন দিয়ে বলে, আপনার জিনিসপত্র রুমের বাহিরে আছে, আমরা জুনিয়র তুলব। পরেরদিন দুপুরে এসে দেখি সব জিনিসপত্র বাইরে , কিন্তু তারা আমাকে রুমে ৫ মিনিট বসারও সুযোগ দিলো না। বিষয়টি আমি হল ছাত্রলীগের ছোট ভাইদের জানালে তারা আমাকে আশ্বস্ত করে, আমি হলে থাকতে পারবো।
হল প্রশাসন থাকতে ছাত্রলীগকে অভিযোগ করলেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সুমন বলেন, 'হল তো নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগ। হলে আমিও ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে উঠেছি।'
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিয়াম রহমান ও আব্দুল আহাদকে ফোন দেওয়া হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। হামিদ কারজাই, নীরব, অভি ও তালহা মারধরের বিষয় অস্বীকার করেন। তবে হামিদ কারজাই বলেন,'যারা আমাদের নামে অভিযোগ দিয়েছে তারা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানি, তারা রুমের মধ্যে সরকারবিরোধী কথা বলত — রুমমেটরা এমন তথ্য আমাদের দিয়েছে।'
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ' এরকম কোন ঘটনা শুনিনি। হলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ছিলাম, কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ৫৩২ নং কক্ষের চার শিক্ষার্থীকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের নেতৃত্বে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধর করে জোরপূর্বক মুচলেকা নিয়ে ঐ চার শিক্ষার্থীকে হলছাড়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জানা যায়, ছাত্রত্ব শেষ হওয়া এক শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই চার শিক্ষার্থীদের মারধর করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর, জেরা ও টর্চার শেষে 'মুচলেকা' নিয়ে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সিয়াম রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
অভিযুক্ত বাকি ছাত্রলীগ নেতারা হলেন — হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামিদ কারজাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান অভি,আব্দুল আহাদ, আপ্যায়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নীরব ও উপ আইন সম্পাদক মুহাম্মদ তালহা।
এদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আলম বাদশা, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী
লুৎফুর রহমান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আল আমীন ও একই সেশনের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। তারা সকলেই ৫৩২ নং কক্ষে থাকতেন। মারধর শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী আলম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, '২০১৩-১৪ সেশনের অবৈধ ছাত্র সুমন আহমেদ আমাদের কক্ষে থাকতেন, আমরা তাকে হল থেকে বের করে দিই। পরে সুমনের মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান আমাদেরকে আজ বিকাল ৩টায় তার রুমে ডেকে আনে। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিয়াম ও তার সহযোগী আহাদ, হামিদ কারজাই মিলে আমাদের ফোন চেক করে এবং ফেসবুকে ডিটেইলস দেখে। কিন্তু অনৈতিক কোনো তথ্য পায়নি, এরপর আমাদের সবাইকে ৩-৪ ঘন্টা ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, স্ট্যাম্প দিয়ে পিঠায় এবং পায়ে প্রচণ্ড আঘাত করে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।'
আলম আরো বলেন,'সিয়াম রহমান আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক সরকার বিরোধী মুচলেকা নেয় যে 'আমরা বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত নই। আমি রুমের বড় ভাইকে অন্যায়ভাবে বের করেছি এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে একমত না এরকম পোস্ট দিয়েছি এটা হলের বড় ভাইয়েরা জানার পর হল থেকে বের করে দেয়। আমি সজ্ঞানে হল থেকে বের হয়ে যাচ্ছি এটা লিখে নেয়। মুচলেকা নেয়ার পর রাত ৮টার পর আমাদেরকে ছেড়ে দেয়।'
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান আলম বাদশা।
এ বিষয়ে সুমন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন,'গত পরশু (রোববার) আশিক বলে আমি কবে রুম ছেড়ে দিবো! তখন বলি — কোন একটা চাকরির ব্যবস্থা হলে ছেড়ে দিবো। পরেরদিন আমার কাগজপত্র ও জিনিসপত্র রুম থেকে করিডোরে বের করে রাখে এবং আমাকে ফোন দিয়ে বলে, আপনার জিনিসপত্র রুমের বাহিরে আছে, আমরা জুনিয়র তুলব। পরেরদিন দুপুরে এসে দেখি সব জিনিসপত্র বাইরে , কিন্তু তারা আমাকে রুমে ৫ মিনিট বসারও সুযোগ দিলো না। বিষয়টি আমি হল ছাত্রলীগের ছোট ভাইদের জানালে তারা আমাকে আশ্বস্ত করে, আমি হলে থাকতে পারবো।
হল প্রশাসন থাকতে ছাত্রলীগকে অভিযোগ করলেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সুমন বলেন, 'হল তো নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগ। হলে আমিও ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে উঠেছি।'
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিয়াম রহমান ও আব্দুল আহাদকে ফোন দেওয়া হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। হামিদ কারজাই, নীরব, অভি ও তালহা মারধরের বিষয় অস্বীকার করেন। তবে হামিদ কারজাই বলেন,'যারা আমাদের নামে অভিযোগ দিয়েছে তারা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানি, তারা রুমের মধ্যে সরকারবিরোধী কথা বলত — রুমমেটরা এমন তথ্য আমাদের দিয়েছে।'
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ' এরকম কোন ঘটনা শুনিনি। হলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ছিলাম, কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'
পিরোজপুরে ধর্ষণ মামলায় শামীম মৃধা (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহম্মদ আসাদুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
৪ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সনাতনী শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করেন তারা।
৯ মিনিট আগেরাজবাড়ীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী লতিফ কাজীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেবরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পুরো বিভাগে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫২ জনের মৃত্যু হলো।
২৪ মিনিট আগে