ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image
রামপুরার ডেল্টা হেলথকেয়ার হাসপাতালের সিঁড়িতে পড়ে থাকা রিকশাচালক ইসমাইল আলী। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় মো. ইসমাইল নামের এক রিকশা চালকের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় রামপুরার ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদি বিন শামস, মার্কেটিং অফিসার হাসান মিয়া, মেইনটেন্যান্স বোরহান উদ্দিন, সিকিউরিটি গার্ড ইসমাইল ও নাজিম উদ্দিন।

বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই হিরণ মোল্লা আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, রাজধানীর রামপুরার ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের সামনের সিঁড়িতে রক্তাক্ত এক ব্যক্তি পড়ে আছেন। জানা যায়, তিনি রিকশাচালক মো. ইসমাইল। জীবন বাঁচানোর জন্য সাহায্যের আকুতি জানান তিনি। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা দরজা খোলেননি, চিকিৎসাও দেননি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সিঁড়ির ওপরেই প্রাণ হারান ইসমাইল।

বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নজরে আসার পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে ডেলটা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে হাতিরঝিল থানা–পুলিশ।

আবেদনে বলা হয়, ইসমাইল (৪৬) ঘটনার দিন ১৯ জুলাই বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে রামপুরার ডেলটা হেলথ কেয়ারের প্রবেশ পথের সিঁড়িতে পড়ে ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় সেখানেই তিনি মারা যান।

গ্রেপ্তারের পর এই পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা ঘটনার সময় ডেলটা হেলথ কেয়ারে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা ইসমাইলকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেননি। এই মৃত্যুর জন্য তাঁদের অবহেলা ছিল মর্মে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর এ ঘটনায় লাকি বেগম নামে একজন হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত