সরকারি কলেজের শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ ৫ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ০৮

সরকারি কলেজে আত্তীকৃত শিক্ষকদের জন্য দ্রুত পদসোপান তৈরিসহ পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন এবং নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের অতি দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজশিক্ষক পরিষদ। আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ সরকারি কলেজশিক্ষক পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তারা এসব দাবি জানান। 

সরকারি কলেজগুলোতে আত্তীকৃত শিক্ষকদের অধ্যাপক পর্যন্ত পদসোপান তৈরি করে পদোন্নতি দিয়ে বদলির ব্যবস্থা করা, বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রদান এবং স্থায়ীকরণ করা; ও বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত বেতন স্কেল বহাল, সপ্তম গ্রেডধারী শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান, বেসরকারি আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ বঞ্চিত না করার লক্ষ্যে এই মতবিনিময় আয়োজিত হয়। 

সভায় বক্তারা বলেন, সরকারি কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারীকরণ করা হলেও শিক্ষা খাতে তৎকালীন সময়ে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এতে করে শিক্ষক স্বার্থ বিরোধী, বৈষম্যমূলক আত্মীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর কালো বিধির কারণে আত্তিকৃত শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ সরকারি কলেজে চাকরি করেও বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার ও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণে অতীতের মূলনীতি ও ধারাবাহিকতা অনুসরণ না করে আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ তে ভিন্ন নিয়ম চালু হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক ও মানবাধিকার পরিপন্থী। 

তারা আরও বলেন, এই বিধিতে একটি অদ্ভুত পদসোপান তৈরি করা হয়েছে যা সরকারি কলেজে বিদ্যমান নেই এবং এনাম কমিটির সুপারিশ পরিপন্থী। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো পদোন্নতির বিধান রাখা হয়নি। অপরদিকে সরকারীকৃত কলেজে সপ্তম গ্রেডে কর্মরত প্রভাষক, সপ্তম গ্রেডে কর্মরত লাইব্রেরিয়ান, নবম গ্রেডে কর্মরত প্রদর্শক ও শরীর চর্চা শিক্ষক, দশম গ্রেডে কর্মরত সহকারী লাইব্রেরিয়ানদের বেতন অবনমন করে পদের প্রারম্ভিক ধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে, ফলে তাদের সবার বেতন আগের চেয়ে কমে গিয়েছে। 

এ সময় বৈষম্য ও সমস্যাসমূহ সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিসমূহ হলো—

 ১. সরকারিকৃত কলেজে আত্তীকৃত শিক্ষকদের জন্য দ্রুত পদসোপান তৈরি সহ পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক হতে সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক হতে অধ্যাপক পদে এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে বদলি ব্যবস্থা চালু করা ও অবিলম্বে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক কর্মচারীদের অতি দ্রুততম সময়ে চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

 ২. টাইম স্কেল প্রাপ্ত/সপ্তম গ্রেডধারী শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও আর্থিক অবনমন রোধ করে বে-সরকারি আমলে বিদ্যমান স্বীয় গ্রেডে, স্বীয় স্কেলের চলমান ধাপে বেতন–ভাতাদি চালু রাখা এবং শতভাগ চাকরিকাল গণনা সহ জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা। 

 ৩. অবিলম্বে নন ক্যাডার রিক্রুটমেন্ট রুলস অ্যান্ড কম্পোজিশন তৈরি করে সে অনুযায়ী নন ক্যাডার শূন্য পদের বিপরীতে পিএসসির মাধ্যমে নন ক্যাডার শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করা এবং নন ক্যাডার শূন্য পদে ক্যাডার পদ হতে অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষকসহ কোনো পদে প্রেষণে কিংবা ডেপুটেশনে নিয়োগ প্রদান না করা। 

 ৪. বেসরকারি আমলে কর্মরত কোনো শিক্ষক কর্মচারীকে প্যাটার্ন অথবা অন্য কোনো অজুহাতে বঞ্চিত না করা এবং অনার্স/মাস্টার্স নিয়োগপ্রাপ্ত সেমিনার সহকারী, সহায়ক, কম্পিউটার অপারেটর আত্মীকরণ করার ব্যবস্থা করা। 

 ৫. প্রতিষ্ঠান সরকারীকরণের তারিখ থেকে কল্যাণ ট্রাস্টে এমপিও হতে কেটে রাখা অর্থ ফেরত দেওয়া। 

সংগঠনের সভাপতি কে এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন মৃধা, সিনিয়র সহ সভাপতি আনিসুর রহমান, সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত