রামপুরায় বিটিভি ভবনে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৬: ৫২
Thumbnail image

রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) কেন্দ্রে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটার পর বিটিভির প্রবেশদ্বার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা বিটিভি সেন্টারে প্রবেশের পর ভাঙচুর করেন ও আগুন জ্বালিয়ে দেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় তিন শতাধিক আন্দোলনকারী এতে অংশ নেন। 

এ সময় পুলিশ সেখান থেকে আবুল হোটেলের দিকে চলে যায়। ৩০ মিনিট পর পুলিশ একত্রিত হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা রামপুরা ইউলুপের নিচ থেকে স্লোগান দিতে থাকে। তাঁরা ১০টি গণপরিবহন ভাঙচুর করে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকদেরও ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। অধিকাংশই তাদের মা। তাঁরা সন্তানদের পানি, বিস্কুট এগিয়ে দিচ্ছেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। নিহত হয়েছেন একজন গাড়িচালক। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কাউকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ করে তাঁরা শাটডাউন পালন করছিলেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি (রাবার বুলেট) চালিয়ে আক্রমণ করেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (১টা ৪৭ মিনিট) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পুরো সড়ক রয়েছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দখলে। বাঁশ, লোহার রড নিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থা নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আশপাশের বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ। 

এ দিকে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে বাড্ডা হাতিরঝিল সংযোগ সড়কে। সেখান থেকে মাঝে মাঝে বের হয়ে এসে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে। আর শিক্ষার্থীদের একটি দল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে, একটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উলটা পাশের গলিতে অবস্থান নিয়েছে। 

সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হলে পুলিশ পিছু হটে। পরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে যায় পুলিশ। বাইরে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। 

সেখানে বেশ কয়েকটি দোকানপাট, স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীতে আরও অনেক শিক্ষার্থী এসে সড়কে অবস্থান নেয়। রামপুরা ব্রিজে একটি দল পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পুলিশ সড়কে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের দিকে রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছোড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীসহ অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত