সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সাংবাদিক হত্যার বিচার, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সাংবাদিক নেতাদের নামে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় সমাবেশে সাংবাদিক নেতাদের নামে মিথ্যাচারের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে এসব দাবি জানান তাঁরা। 

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাইতে হবে কেন। এটা নিয়ে এত টালবাহানা কেন। কেন আপনারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না। কেন কোনো পুলিশের ইনকয়ারি করেননি, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’ 

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ১২ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা কোন বিচার পাইনি। যেহেতু ফ্যাসিবাদ মুক্তি হয়েছে তাই বর্তমান সরকারকে বলতে চাই অবিলম্বে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। কারণ, এ হত্যাকাণ্ডে ফ্যাসিবাদ সরকার জড়িত। পাশাপাশি সাংবাদিকদের কণ্ঠ বন্ধ করারা জন্য যত কালাকানুন আছে, তা সব বাতিল করতে হবে। আমরা যেমন সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চাই, ঠিক একইভাবে আর কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে যেন কোনো সাংবাদিক আহত না হয় সেটাও চাই।’ 

ত্যাগী সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে সাংবাদিক সমাজকে কলুষিত করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, দ্য নিউ নেশনের সাবেক এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, মুন্সিগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুবেল, বিএফইউজের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, সাবেক সহসভাপতি জাহিদুল করিম কচি, সাংবাদিক নেতা বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ, শাহীন হাসনাত, খন্দকার আলমগীর, সাঈদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।