‘রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা রাজুকে অপমান’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩: ০৩
Thumbnail image

রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণ আবৃত করে রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শহীদ মইন হোসেন রাজুর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন ও বামপন্থী সংগঠনগুলোর সাবেক নেতারা। তারা ছাত্রলীগের এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস ও দখলদারত্ব অবসানের দাবি জানান তারা।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীর পাঠানো এক বিবৃতিতে গত বৃহস্পতিবার ও মঙ্গলবার ছাত্র ইউনিয়ন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, খাগড়াছড়িতে চারজন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে টিএসসিতে সমাবেশ শুরু হলে ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নিজামউদ্দিন হৃদয়, নিনাদ খান, পূর্ণময় খিসা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মোজাম্মেল আহমেদসহ অনেকেই আহত হন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন অপকর্ম ও সন্ত্রাসকে আড়াল করতে বুধবার সকাল থেকে রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে ছাত্রলীগ। তারা ছাত্র ইউনিয়নকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে রাজু ভাস্কর্যে ব্যানার টানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নেতা-কর্মীদের ওপর আবারও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। সেদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পর হাকিম চত্বর ও শাহবাগে নেতা-কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করা হয়।

প্রতিবাদ বিবৃতিতে সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে সর্বত্র ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের সাক্ষী। বিশ্বজিৎ হত্যা, আবু বকর হত্যা, আবরার হত্যাকাণ্ডের মত নারকীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের বিভিন্ন আন্দোলনে তারা অব্যাহতভাবে হামলা-নির্যাতন-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে কিশোর শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।

বিবৃতিতে অবিলম্বে ছাত্র ইউনিয়ন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। ছাত্রলীগের ক্ষমতা ও দখলদারত্বের দন্ত এ দেশের ছাত্রসমাজের প্রতিরোধের মুখে চূর্ণ হবে।

এ বিবৃতিতে সাক্ষর করেন—মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রাগিব আহসান মুন্না, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, ইমতিয়াজ মাহমুদ, কামরুল আহসান খান, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন, শাহাদাত হোসেন, মাহমুদ হাসান বুলু, বাকি বিল্লাহ, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, এস এম শুভ, মো. আলমগীর হোসেন, নীলুফার জাহান, ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত