Ajker Patrika

এ বি এম মূসা-সেতারা মূসার জন্মবার্ষিকীতে আজীবন সম্মাননা পেলেন আমানউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ৫৭
এ বি এম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
এ বি এম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট এ বি এম মূসা এবং তাঁর স্ত্রী বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার অন্যতম অগ্রদূত সেতারা মূসার জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমানউল্লাহকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ বি এম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন কর্তৃক এ বি এম মূসার ৯৪তম এবং সেতারা মূসার ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, সাহিত্য ও সাংবাদিকতার মধ্যে মিল যেমন রয়েছে, অমিলও রয়েছে। সাহিত্য একক ব্যক্তির কাজ নিভৃত সাধনা। বিপরীতে সাংবাদিকতা হচ্ছে সামষ্টিক উদ্যোগ। গণমাধ্যমের (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক বা বৈদ্যুতিক) মূলমন্ত্র ‘আমি’ নয় আমরা। অতি অবশ্যই এটি একটি টিমওয়ার্ক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন রিপোর্টার চাঞ্চল্যকর, জনগুরুত্বসম্পন্ন কোনো ব্রেকিং নিউজ পেয়ে গেলেও এককভাবে সেটা শ্রোতা-দর্শক-পাঠকের কাছে তিনি পৌঁছাতে পারেন না। তাকে নির্ভরশীল হতে হয় আরও কয়েকজনের ওপর। সাহিত্য হচ্ছে সৃষ্টিশীল কাজ—কবি বা লেখকের নিভৃত সাধনার বিষয়। তাকেও পাঠক-শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে হলে অন্যের সহায়তা নিতে হয়। সাংবাদিক যে তথ্যসংবলিত রিপোর্টটি তার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রাণপাত পরিশ্রম করে থাকেন, সেই তথ্য কিন্তু একাধিক সাংবাদিকেরও করতলগত হতে পারে। কিন্তু সাহিত্য হচ্ছে মৌলিক বিষয়, সেটি লেখকের মস্তিষ্ক ও মননজাত পণ্য। সেখানে তিনি একক। কোনো অংশীদারত্বের বিষয় নেই।

এ বি এম মূসা ও সেতারা মূসার স্মৃতিচারণা করে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘মূসা ভাই একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ছিলেন। তুখোড় রিপোর্টার ও সম্পাদক ছিলেন। সেই মানের সাংবাদিক ও সম্পাদক এখন আমরা পাই না। সাংবাদিকতার সেই মান আর নেই। সেতারা মূসা দৈনিক জনতাসহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন। সে সময় সাংবাদিকতা করা নারীদের জন্য খুব সাহসী কাজ। অনেক আগে থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেছেন। এখনো আমরা অনেক নারী সাংবাদিক দেখি, কিন্তু শুরুর দিকে এটি অনেক কঠিন কাজ ছিল। সেগুলো আমরা মনে রাখব। সেতারা মূসা যে শুধু সাংবাদিকতা করেছিলেন তা-ই নয়, তিনি নারী সাংবাদিকদের সংগঠিত করেছিলেন।’

এ বি এম মূসা ও সেতারা মূসার মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমার সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত