সৌগত বসু, ঢাকা
একক যাত্রার টিকিটের সংকটে ভুগছে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো। স্টেশনে টিকিট বিক্রির বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ থাকছে। এতে মেট্রোরেলে যাত্রার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। মেশিনে টিকিট না থাকায় একক যাত্রার যাত্রীদের কোনো কোনো স্টেশনে কয়েক ঘণ্টা প্রবেশ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) একক যাত্রার টিকিটের এই সংকট কাটাতে কয়েক ধাপে ৪ লাখ নতুন টিকিট কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন ২০ হাজার টিকিট স্টেশনগুলোতে দেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রীর তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম হওয়ায় সংকট কাটছে না। যাত্রীর চাপ বাড়লে ভোগান্তিও বাড়ছে।
রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন গতি আনা মেট্রোরেলে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে। একটি হলো এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। র্যাপিড পাস কেনা যাত্রীরা টাকা না ফুরানো পর্যন্ত যেকোনো সময় যাত্রা করতে পারেন। আর একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছার পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক। মেট্রোরেল চালুর সময় স্টেশনগুলোতে একক যাত্রার মোট ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে ডিএমটিসিএল জানায়, ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো একক যাত্রার টিকিট খোয়া গেছে বা নষ্ট হয়েছে। খোয়া যাওয়া টিকিটগুলো যাত্রীরা ফেরত না দিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেছেন। নষ্ট টিকিটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ে বন্ধ হয়ে সেপ্টেম্বরে আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে সব মিলিয়ে একক যাত্রার ২০ হাজার টিকিট দিয়ে কার্যক্রম চলছিল। সংকট কাটাতে প্রথম ধাপে আরও ২০ হাজার এমন টিকিট আনা হয় অক্টোবরে। কিন্তু যাত্রীদের ভোগান্তি কমছে না। কারণ, জুলাইয়ে বন্ধ হওয়ার আগে মেট্রোরেলে প্রতিদিন চলাচল করতেন প্রায় তিন লাখ নগরবাসী। যাঁদের সিংহভাগই একক যাত্রার টিকিটে ভ্রমণ করতেন।
একক যাত্রার টিকিট সংকটের কারণে বর্তমানে মেট্রো স্টেশনগুলোর টিকিট বিক্রির বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ থাকছে। ফলে স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ।
মেট্রো স্টেশনে গত রোববার ও গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত টিকিটের অভাবে সব মেশিনে টিকিট নেই। যে মেশিনগুলোতে টিকিট রাখা হচ্ছে, সেগুলোর টিকিট দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ফেরত রেখে যাওয়া টিকিট আবার সংগ্রহ করে মেশিনে ভরার আগেই যাত্রীদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। যে পরিমাণ টিকিট ফেরত দেওয়া হচ্ছে, তার চেয়ে স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী বেশি। আবার পর্যাপ্ত টিকিট না হলে মেশিনে রাখা যায় না। এ অবস্থায় ফেরত আসা টিকিটের সংখ্যা কম হলে কাউন্টার থেকেও বিক্রি হচ্ছে।
টিকিট সংকটের কারণে ৮ ডিসেম্বর মিরপুর ১১ নম্বর মেট্রো স্টেশনে প্রায় চার ঘণ্টা একক টিকিটের যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই সময় শুধু এমআরটি পাসধারী যাত্রীরা স্টেশনটিতে ঢুকতে পেরেছেন। মিরপুর এলাকার বাকি স্টেশনগুলোর একই অবস্থা।
যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল ১০টার পর মিরপুরের স্টেশনগুলোতে একক যাত্রার টিকিট পাওয়া যায় না। অনেক সময় নিচের গেট বন্ধ রাখা হয়।
ডিএমটিসিএল বলেছে, মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকট কাটাতে জাপানি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ নতুন টিকিট তৈরি করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার টিকিট অক্টোবরে এসেছে। এ ছাড়া যাত্রীদের প্রতি খোয়া যাওয়া বা ফেরত না দিয়ে বের হয়ে যাওয়া টিকিট ফেরত দিতে অনুরোধও জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।
এমআরটি লাইন-৬ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ১৪ হাজার টিকিট আনা হয়েছিল। নতুন ২০ হাজার টিকিট আসায় এখন একক যাত্রার মোট টিকিট আছে মাত্র ৪০ হাজার। ১৬ ডিসেম্বর আরও ২০ হাজার এবং ২৮ ডিসেম্বর ৩০ হাজার টিকিট এয়ার মেইলে আসবে। এতে সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেন, অনেক যাত্রী ট্রেনে বসে টিকিট ধনুকের মতো বাঁকা করেন। এতে টিকিট নষ্ট হয়। সকালে বেশির ভাগ যাত্রী মতিঝিল ও সচিবালয় স্টেশনে নামেন। ফলে টিকিটগুলো সব ওদিকে চলে যাচ্ছে। উত্তরার দিকে আসে কম। এ কারণে একক যাত্রার টিকিটের ভারসাম্য হয় না।
একক যাত্রার টিকিটের সংকটে ভুগছে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো। স্টেশনে টিকিট বিক্রির বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ থাকছে। এতে মেট্রোরেলে যাত্রার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। মেশিনে টিকিট না থাকায় একক যাত্রার যাত্রীদের কোনো কোনো স্টেশনে কয়েক ঘণ্টা প্রবেশ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) একক যাত্রার টিকিটের এই সংকট কাটাতে কয়েক ধাপে ৪ লাখ নতুন টিকিট কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন ২০ হাজার টিকিট স্টেশনগুলোতে দেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রীর তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম হওয়ায় সংকট কাটছে না। যাত্রীর চাপ বাড়লে ভোগান্তিও বাড়ছে।
রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন গতি আনা মেট্রোরেলে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে। একটি হলো এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। র্যাপিড পাস কেনা যাত্রীরা টাকা না ফুরানো পর্যন্ত যেকোনো সময় যাত্রা করতে পারেন। আর একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছার পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক। মেট্রোরেল চালুর সময় স্টেশনগুলোতে একক যাত্রার মোট ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে ডিএমটিসিএল জানায়, ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো একক যাত্রার টিকিট খোয়া গেছে বা নষ্ট হয়েছে। খোয়া যাওয়া টিকিটগুলো যাত্রীরা ফেরত না দিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেছেন। নষ্ট টিকিটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ে বন্ধ হয়ে সেপ্টেম্বরে আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে সব মিলিয়ে একক যাত্রার ২০ হাজার টিকিট দিয়ে কার্যক্রম চলছিল। সংকট কাটাতে প্রথম ধাপে আরও ২০ হাজার এমন টিকিট আনা হয় অক্টোবরে। কিন্তু যাত্রীদের ভোগান্তি কমছে না। কারণ, জুলাইয়ে বন্ধ হওয়ার আগে মেট্রোরেলে প্রতিদিন চলাচল করতেন প্রায় তিন লাখ নগরবাসী। যাঁদের সিংহভাগই একক যাত্রার টিকিটে ভ্রমণ করতেন।
একক যাত্রার টিকিট সংকটের কারণে বর্তমানে মেট্রো স্টেশনগুলোর টিকিট বিক্রির বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ থাকছে। ফলে স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ।
মেট্রো স্টেশনে গত রোববার ও গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত টিকিটের অভাবে সব মেশিনে টিকিট নেই। যে মেশিনগুলোতে টিকিট রাখা হচ্ছে, সেগুলোর টিকিট দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ফেরত রেখে যাওয়া টিকিট আবার সংগ্রহ করে মেশিনে ভরার আগেই যাত্রীদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। যে পরিমাণ টিকিট ফেরত দেওয়া হচ্ছে, তার চেয়ে স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী বেশি। আবার পর্যাপ্ত টিকিট না হলে মেশিনে রাখা যায় না। এ অবস্থায় ফেরত আসা টিকিটের সংখ্যা কম হলে কাউন্টার থেকেও বিক্রি হচ্ছে।
টিকিট সংকটের কারণে ৮ ডিসেম্বর মিরপুর ১১ নম্বর মেট্রো স্টেশনে প্রায় চার ঘণ্টা একক টিকিটের যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই সময় শুধু এমআরটি পাসধারী যাত্রীরা স্টেশনটিতে ঢুকতে পেরেছেন। মিরপুর এলাকার বাকি স্টেশনগুলোর একই অবস্থা।
যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল ১০টার পর মিরপুরের স্টেশনগুলোতে একক যাত্রার টিকিট পাওয়া যায় না। অনেক সময় নিচের গেট বন্ধ রাখা হয়।
ডিএমটিসিএল বলেছে, মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকট কাটাতে জাপানি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ নতুন টিকিট তৈরি করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার টিকিট অক্টোবরে এসেছে। এ ছাড়া যাত্রীদের প্রতি খোয়া যাওয়া বা ফেরত না দিয়ে বের হয়ে যাওয়া টিকিট ফেরত দিতে অনুরোধও জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।
এমআরটি লাইন-৬ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ১৪ হাজার টিকিট আনা হয়েছিল। নতুন ২০ হাজার টিকিট আসায় এখন একক যাত্রার মোট টিকিট আছে মাত্র ৪০ হাজার। ১৬ ডিসেম্বর আরও ২০ হাজার এবং ২৮ ডিসেম্বর ৩০ হাজার টিকিট এয়ার মেইলে আসবে। এতে সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেন, অনেক যাত্রী ট্রেনে বসে টিকিট ধনুকের মতো বাঁকা করেন। এতে টিকিট নষ্ট হয়। সকালে বেশির ভাগ যাত্রী মতিঝিল ও সচিবালয় স্টেশনে নামেন। ফলে টিকিটগুলো সব ওদিকে চলে যাচ্ছে। উত্তরার দিকে আসে কম। এ কারণে একক যাত্রার টিকিটের ভারসাম্য হয় না।
হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী জরিপ, গণশুনানি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
৬ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় রাত নামতেই শুরু হয় পদ্মা নদীর বালু লুটের মহোৎসব। প্রতিদিন প্রায় ৫০টি খননযন্ত্র (ড্রেজার) সক্রিয় থাকে ভোর পর্যন্ত। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধসহ দুই উপজেলার ডান তীর রক্ষা বাঁধ। প্রশাসন বলছে, আটক-জরিমানা করেও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের আলুচাষিরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার রয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, ভারী বৃষ্টি হলে আলুর জমির অনেক ক্ষতি হবে। আলুখেতে অতিরিক্ত পান
৭ ঘণ্টা আগেমায়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের প্রবাসী আয়নাল হক। বৃদ্ধ মাকে বিদেশে ঘুরিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি এনেছেন তিনি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাকে হেলিকপ্টারে নিয়ে উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে