নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। দুপুরের দিকে শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল।
আরিফুর রহমান দোলন ‘ঢাকা টাইমস’ এর সম্পাদক। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি এবং গত জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুরে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
এর আগে এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়ার পর আরিফুর রহমান দোলন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পান। ছয় সপ্তাহ পর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তৎকালীন বিচারক এত দিন জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করেননি। আজ ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। দোলনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট বাহারুল ইসলাম।
এদিকে এই মামলাটিতে সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। আদালত অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
গত বছর ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগ পত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগপত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।
এই মামলায় ৪৭ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
গত বছর ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাঁরা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই।
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাঁদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাঁদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। দুপুরের দিকে শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল।
আরিফুর রহমান দোলন ‘ঢাকা টাইমস’ এর সম্পাদক। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি এবং গত জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুরে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
এর আগে এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়ার পর আরিফুর রহমান দোলন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পান। ছয় সপ্তাহ পর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তৎকালীন বিচারক এত দিন জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করেননি। আজ ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। দোলনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট বাহারুল ইসলাম।
এদিকে এই মামলাটিতে সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। আদালত অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
গত বছর ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগ পত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগপত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।
এই মামলায় ৪৭ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
গত বছর ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাঁরা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই।
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাঁদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাঁদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার দায় যারা যারা এই সময়ে ক্ষমতায় ছিলেন তাদের কম-বেশি সকলেরই আছে। একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি দরকার।
৩ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের বৈঠকে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেযশোরের মুজিব সড়কের কয়েকটি সাইনবোর্ড থেকে ‘মুজিব’ শব্দটি কেটে দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকালে শহরের ঈদগাহ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে আসা কয়েকজন কর্মী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত করেন।
২৩ মিনিট আগেরামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রকে পশুর নদ ও সুন্দরবন বিনাশী আখ্যায়িত করে এটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলনকারীরা। আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার নারিকেলতলায় এক জনসমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
৪৪ মিনিট আগে