আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা। রণাঙ্গনে সাহসিকতার জন্য সহযোদ্ধারা তাঁকে উপাধি দেন ‘টাইগার’। এরপর থেকে তিনি টাইগার লোকমান হিসেবে পরিচিতি পান।
লোকমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে ও তরুণদের উজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি শোয়ার ঘরকে বানিয়েছেন ছবির সংগ্রহশালায়। সেখানে তিনি নিজের জেলা মানিকগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি সংগ্রহ করে রাখছেন। ইতিমধ্যে সেখানে দুই শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধের সময়ের ছবি দিয়ে সাজিয়েছেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের আশাপুর গ্রামে বাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা টাইগার লোকমানের। ছবিঘর দেখতে তাঁর বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় করেন মানুষ। বিজয়ের মাসে দর্শনার্থীরা বেশি আসছেন।
আজ শুক্রবার টাইগার লোকমানের ছবি-সংগ্রহশালায় গিয়ে দেখা গেছে, যুদ্ধের সময় মানিকগঞ্জের শহীদরা ছাড়াও যুদ্ধপরবর্তী মৃত ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন। এসব ছাড়া সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রেখে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন বয়সীর মানুষ ছবিগুলো দেখছেন। সেই সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলছেন।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে মানিকগঞ্জের গোলাইডাঙ্গা যুদ্ধে ৮৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। সম্মুখযুদ্ধে লোকমানের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সহযোদ্ধারা তাঁকে ‘টাইগার’ উপাধি দেন। ২০০৯ সাল থেকে লোকমান হোসেন শোয়ার ঘর আস্তে আস্তে সাজিয়েছেন জেলার বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছবি দিয়ে। ২১৭টি ছবি কাছে রাখতে পারলেও সন্ধান পেলে এখনো তিনি জেলার অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি সংগ্রহ করছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন জানান, তিনি বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের, বিভিন্ন সেমিনারে ও সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান। নিজের জেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধের স্থানসহ ইতিহাস সংরক্ষণ করে আনন্দ পান তিনি।
মানিকগঞ্জের কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্ধান পেলে নিজ খরচে ছবি সংগ্রহ করে আনেন বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের কারণে সংগ্রহশালাটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারছি না। এখনো যেসব মুক্তিযোদ্ধার ছবি সংগ্রহ করতে পারিনি, তাঁদের ছবি সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান বলেন, ‘যখন জেলার কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকবেন না, তখন নতুন প্রজন্ম এই সংগ্রহশালায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে এই চেষ্টা করছি। রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে ছবিগুলো সংরক্ষণ করতে একটি পাকা কক্ষ হলে ভালো হতো।’
সিংজুরী ব্লুমিং রোজ একাডেমির শিক্ষার্থী তাসমিয়া, রিয়া ও সোহাগ এসেছে ছবিঘর দেখতে। তারা ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি গ্যালারি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়।
ছবিঘর দেখতে আসেন মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের প্রভাষক মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জেলার জীবিত ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ছবি দেখে খুব ভালো লাগল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যতিক্রমী সংগ্রহশালা।’
সিংজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান মিঠু বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা টাইগার লোকমানের সংগ্রহশালাটি আরও টেকসই করতে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে এলে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা যাবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমানের ছবি সংগ্রহের বিষয়ে সাধুবাদ জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল আজিজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘তাঁর ওই কাজের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেঁচে থাকবেন।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘লোকমান হোসেন জাতীয় বীর সেনা। তাঁর এই মহতী কাজে আমি সাধুবাদ জানাই। তাঁর ছবিঘরের জন্য সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা টাইগার লোকমান হোসেন দুর্লভ ছবির সংগ্রহশালা করেছেন। সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ করতে সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা। রণাঙ্গনে সাহসিকতার জন্য সহযোদ্ধারা তাঁকে উপাধি দেন ‘টাইগার’। এরপর থেকে তিনি টাইগার লোকমান হিসেবে পরিচিতি পান।
লোকমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে ও তরুণদের উজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি শোয়ার ঘরকে বানিয়েছেন ছবির সংগ্রহশালায়। সেখানে তিনি নিজের জেলা মানিকগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি সংগ্রহ করে রাখছেন। ইতিমধ্যে সেখানে দুই শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধের সময়ের ছবি দিয়ে সাজিয়েছেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের আশাপুর গ্রামে বাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা টাইগার লোকমানের। ছবিঘর দেখতে তাঁর বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় করেন মানুষ। বিজয়ের মাসে দর্শনার্থীরা বেশি আসছেন।
আজ শুক্রবার টাইগার লোকমানের ছবি-সংগ্রহশালায় গিয়ে দেখা গেছে, যুদ্ধের সময় মানিকগঞ্জের শহীদরা ছাড়াও যুদ্ধপরবর্তী মৃত ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন। এসব ছাড়া সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রেখে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন বয়সীর মানুষ ছবিগুলো দেখছেন। সেই সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলছেন।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে মানিকগঞ্জের গোলাইডাঙ্গা যুদ্ধে ৮৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। সম্মুখযুদ্ধে লোকমানের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সহযোদ্ধারা তাঁকে ‘টাইগার’ উপাধি দেন। ২০০৯ সাল থেকে লোকমান হোসেন শোয়ার ঘর আস্তে আস্তে সাজিয়েছেন জেলার বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছবি দিয়ে। ২১৭টি ছবি কাছে রাখতে পারলেও সন্ধান পেলে এখনো তিনি জেলার অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি সংগ্রহ করছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন জানান, তিনি বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের, বিভিন্ন সেমিনারে ও সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান। নিজের জেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধের স্থানসহ ইতিহাস সংরক্ষণ করে আনন্দ পান তিনি।
মানিকগঞ্জের কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্ধান পেলে নিজ খরচে ছবি সংগ্রহ করে আনেন বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের কারণে সংগ্রহশালাটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারছি না। এখনো যেসব মুক্তিযোদ্ধার ছবি সংগ্রহ করতে পারিনি, তাঁদের ছবি সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান বলেন, ‘যখন জেলার কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকবেন না, তখন নতুন প্রজন্ম এই সংগ্রহশালায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে এই চেষ্টা করছি। রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে ছবিগুলো সংরক্ষণ করতে একটি পাকা কক্ষ হলে ভালো হতো।’
সিংজুরী ব্লুমিং রোজ একাডেমির শিক্ষার্থী তাসমিয়া, রিয়া ও সোহাগ এসেছে ছবিঘর দেখতে। তারা ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি গ্যালারি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়।
ছবিঘর দেখতে আসেন মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের প্রভাষক মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জেলার জীবিত ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ছবি দেখে খুব ভালো লাগল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যতিক্রমী সংগ্রহশালা।’
সিংজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান মিঠু বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা টাইগার লোকমানের সংগ্রহশালাটি আরও টেকসই করতে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে এলে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা যাবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমানের ছবি সংগ্রহের বিষয়ে সাধুবাদ জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল আজিজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘তাঁর ওই কাজের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেঁচে থাকবেন।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘লোকমান হোসেন জাতীয় বীর সেনা। তাঁর এই মহতী কাজে আমি সাধুবাদ জানাই। তাঁর ছবিঘরের জন্য সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা টাইগার লোকমান হোসেন দুর্লভ ছবির সংগ্রহশালা করেছেন। সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ করতে সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
৪ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
২৬ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
৩৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২ ঘণ্টা আগে