চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ ৮ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৫৬
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৫: ০৩

চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন নিহতের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে তাদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় তারা। সমাবেশ শেষে উপ-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে আট দফা দাবিসহ স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।

সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে বরিশাল হোটেলের ছয় শ্রমিক নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে শ্রমিকদের মারা যাওয়ার কারণ স্পষ্ট। সারা রাত ডিউটি শেষে হোটেলের এক কোণে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ জায়গায় ঘুমাতে দেওয়া হয়। ঘুমন্ত অবস্থায়ই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।

সভাপতি আরও বলেন, দেশের হোটেল শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই খাতে প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল রয়েছে পরিবার। অথচ এই খাতের মালিকদের শুধু মুনাফাকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা ও শ্রমিকদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার মানসিকতার কারণে শ্রমিকদের জীবনযাপন আজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। অথচ শ্রমিকদের মজুরি আগের চেয়ে কমানো হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের অন্যান্য গরিব মানুষের মতো হোটেল শ্রমিক পরিবারগুলোকেও অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার ঘোষিত বিগত ১৭ মার্চ ২০২২ নিম্নতম মজুরিকাঠামোর মেয়াদ অতিক্রম করেছে। কিন্তু নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে হোটেল শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঘোষণার কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। 

এ সময় স্মারকলিপিতে শ্রমিকদের স্বার্থসংবলিত আট দফা দাবি পেশ করা হয়। তাঁদের দাবিগুলো হলো—
 ১. প্রতিষ্ঠান আইন যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে এবং অনিয়ম দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। 
২. চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রতিটি শ্রমিক পরিবারকে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। 
৩. শ্রমিক ও তার পরিবারের নিশ্চয়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল গঠন করতে হবে। 
৪. শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থাসহ তাদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 
৫. বিধি অনুযায়ী নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। 
৬. দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সব হোটেল শ্রমিকের জন্য স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও ৭০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। 
৭. অবিলম্বে হোটেল সেক্টরে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে বাঁচার মতো নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। 
৮. ছাঁটাই, নির্যাতন বন্ধ ও শ্রম আইন স্বীকৃত সব অধিকার ও সুবিধা শ্রমিকদের দিতে হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত