Ajker Patrika

ই-ক্যাবে ইভ্যালির চিঠি, লাভের টাকায় পুরোনো দেনা মেটাবার আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২২, ২২: ৫১
ই-ক্যাবে ইভ্যালির চিঠি, লাভের টাকায় পুরোনো দেনা মেটাবার আশা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নতুন করে কার্যক্রম শুরুর পর ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছে। এই লাভের টাকা দিয়েই তারা পুরোনো দায়দেনা মেটাতে পারবে বলেও মনে করছে। ই-ক্যাবে (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পাঠানো এক চিঠিতে এ সব কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ই-ক্যাবের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) চিঠিটি পাঠানো হয়। 

ইভ্যালি চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আমাদের বর্তমান ক্যাম্পেইনে আমরা লাভবান হচ্ছি যা থেকে আমরা পূর্ববর্তী গ্রাহক এবং মার্চেন্টদের দায় মেটাতে পারব বলে আশা ব্যক্ত করছি। আমরা যেহেতু পুনরায় নতুন করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছি সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসায়িক অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য আমরা পর্যায়ক্রমে ই-ক্যাবকে অবহিত করব। অতএব ই-ক্যাবের কাছে আমাদের আবেদন ই-ক্যাবের সদস্যপদ নবায়ন করে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।’ 

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর ই-ক্যাবের সদস্যপদ ফিরে পেতে প্রথম চিঠি দেয় ইভ্যালি। এর জবাবে ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠানটির কাছে দায় দেনা নিষ্পন্ন সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায়। এর উত্তরে ১৬ নভেম্বর আসে দ্বিতীয় চিঠি। 

এ বিষয়ে ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্যক্রম শুরুর পর গত অক্টোবরে ইভ্যালি সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করে। আমরা তাদের জানাই, যে সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিল তা নিষ্পন্ন সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। এ বিষয়ে সোমবার তাদের চিঠি এসেছে। তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আমাদের ইসি কমিটি। 

অভিযোগ নিষ্পন্ন সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়, ই-ক্যাব পূর্ববর্তী যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছে তার কোন তথ্য বা দলিল আমাদের কাছে নেই। এখানে উল্লেখ্য যে, পূর্ববর্তী সার্ভার পুনরুদ্ধার করার জন্য, আমরা প্রতিনিয়ত আমাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলছি, এ ছাড়া এস্ক্রোতে আটকে থাকা গ্রাহকের অর্থ, আমাদের বর্তমান ওয়্যারহাউস যে সকল পণ্য রয়েছে, সকল বিষয়াদি যাতে দ্রুত সমাধান হয় সে বিষয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যা সময় সাপেক্ষ এবং এ সকল বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। 

গ্রাহকের ও পণ্য সরবরাহকারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছর সেপ্টেম্বরে ইভ্যালির সদস্যপদ স্থগিত করে ই-ক্যাব। টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। এ বছর এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। এরপর ২৮ অক্টোবর নতুন করে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত