নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড নামে একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে হয় এই সংঘর্ষ। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে বিসিক শিল্প এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে অবন্তী কালার টেক্সের শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে সড়কে নেমে আসেন। আট শতাধিক শ্রমিক সড়কের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি, বাঁশ, কাঠ, ইট ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় সড়কের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। প্রচণ্ড গরমে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী ও পথচারীরা।
কারখানার শ্রমিকেরা জানান, চলতি মাসের ৮ এপ্রিল দুপুরের পর ঈদের ছুটি দেওয়া হয় তাঁদের। ঈদের আগে বোনাস দেওয়া হলেও বেতন পরিশোধ করেনি মালিক। বেতন চাওয়া হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন পরিশোধ করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা ছুটিতে চলে যান। কিন্তু সেই বেতন বুঝে পাননি শ্রমিকেরা। ঈদের পর কারখানা খুললেও এখনো বেতন পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিল্প পুলিশ ও ফতুল্লা থানা-পুলিশ যৌথভাবে শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ফের সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালালে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই বেধে যায় সংঘর্ষ। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কের বিভিন্ন যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্র হয়ে পরে সড়কটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পিছু হটেন শ্রমিকেরা। তবে সড়কে যান চলাচল করতে দেননি তাঁরা। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে দুজন শ্রমিককে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া ও খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হতে দেখা গেছে। তাঁদের একজনের হাত ভেঙে গেছে ও আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন।
পোশাককর্মী ফয়সাল বলেন, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ তাঁদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিকেল ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে আগত যানবাহনগুলো বিসিকের সড়ক এড়িয়ে ভিন্ন পথে নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জমুখী সড়কের ফতুল্লা বাজার থেকে বিসিক পর্যন্ত যানজট রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়া হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।’
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা বলেন, ‘শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে।’
এই বিষয়ে ক্রোনী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম সানি বলেন, ‘ঈদের আগে সব শ্রমিককে বোনাস দেওয়া হয়েছে। তবে শিপমেন্ট না হওয়ায় মার্চ মাসের বেতন দেওয়া যায়নি। আগামী বুধবার সব শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হবে।’
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর থেকে চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রোনী গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাত-আটবার শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে বেতন-ভাতা না দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, কারখানা লে অফ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা সড়কে নেমে আসেন।
নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড নামে একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে হয় এই সংঘর্ষ। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে বিসিক শিল্প এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে অবন্তী কালার টেক্সের শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে সড়কে নেমে আসেন। আট শতাধিক শ্রমিক সড়কের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি, বাঁশ, কাঠ, ইট ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় সড়কের উভয় পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। প্রচণ্ড গরমে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী ও পথচারীরা।
কারখানার শ্রমিকেরা জানান, চলতি মাসের ৮ এপ্রিল দুপুরের পর ঈদের ছুটি দেওয়া হয় তাঁদের। ঈদের আগে বোনাস দেওয়া হলেও বেতন পরিশোধ করেনি মালিক। বেতন চাওয়া হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন পরিশোধ করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা ছুটিতে চলে যান। কিন্তু সেই বেতন বুঝে পাননি শ্রমিকেরা। ঈদের পর কারখানা খুললেও এখনো বেতন পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিল্প পুলিশ ও ফতুল্লা থানা-পুলিশ যৌথভাবে শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ফের সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালালে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই বেধে যায় সংঘর্ষ। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কের বিভিন্ন যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্র হয়ে পরে সড়কটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পিছু হটেন শ্রমিকেরা। তবে সড়কে যান চলাচল করতে দেননি তাঁরা। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে দুজন শ্রমিককে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া ও খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হতে দেখা গেছে। তাঁদের একজনের হাত ভেঙে গেছে ও আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন।
পোশাককর্মী ফয়সাল বলেন, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ তাঁদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিকেল ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে আগত যানবাহনগুলো বিসিকের সড়ক এড়িয়ে ভিন্ন পথে নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জমুখী সড়কের ফতুল্লা বাজার থেকে বিসিক পর্যন্ত যানজট রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়া হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।’
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা বলেন, ‘শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে।’
এই বিষয়ে ক্রোনী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম সানি বলেন, ‘ঈদের আগে সব শ্রমিককে বোনাস দেওয়া হয়েছে। তবে শিপমেন্ট না হওয়ায় মার্চ মাসের বেতন দেওয়া যায়নি। আগামী বুধবার সব শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হবে।’
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর থেকে চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রোনী গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাত-আটবার শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে বেতন-ভাতা না দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, কারখানা লে অফ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা সড়কে নেমে আসেন।
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
১ few সেকেন্ড আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
১৬ মিনিট আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৪১ মিনিট আগে